বিশ্বকাপ শেষের ঠিক চারদিনের মধ্যেই আজ বিশাখাপত্তমে শুরু হচ্ছে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি সিরিজ। নিয়মিত তারকাদের অনুপস্থিতিতে সিরিজটিতে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সূর্যকুমার
বিশকাপ জিতে নেওয়ার ঘোর যেন এখনও কাটিয়ে উঠতে পারছেন না অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।
বাংলাদেশ রিভিউয়ে ভালো, এমন কোনো ধারণা কারো মনেই বোধহয় না থাকবে। উল্টো খারাপ বলে উঠতে একটুও দ্বিধায় পড়বেন না কেউ কেউ। তবে ২০২৩ বিশ্বকাপের রিভিউয়ের হিসাব-নিকাশ দেখলে চমকেই উঠতে পারেন।
পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে আগ্রাসী ব্যাটিং, কিন্তু নকআউট রাউন্ডের মহা গুরুত্বপূর্ণ লড়াইতে এসে নিজেদের আমূল বদলে ফেলা, গুটিয়ে রেখে অতি সতর্ক হওয়া। আড়ষ্ট এই অ্যাপ্রোচ শেষ পর্যন্ত হয়েছে বুমেরাং।
অবশ্য বিশ্বকাপ দলেই থাকার কথা ছিল না লাবুশেনের
পুরো স্টেডিয়ামকে চুপ করিয়ে দিবেন তা অবশ্য আগের দিনই বলেছিলেন কামিন্স
গত সেপ্টেম্বর থেকে বিশ্বকাপের ফাইনালের দিন পর্যন্ত যাত্রায় কীভাবে লাবুশেন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেলেন, নিজেও জানেন না!
টানা দশ ম্যাচ জিতে দাপটের সঙ্গে ফাইনালে উঠে ভারত হেরে যায় অস্ট্রেলিয়ার কাছে। আসল ম্যাচটা হারলেও গোটা টুর্নামেন্টে তাদের দারুণ খেলার প্রভাব পড়েছে বিশ্বকাপের সেরা একাদশ নির্বাচনে।
পাঁচ বোলার নিয়ে গোটা টুর্নামেন্টে খেলে দাপট দেখিয়েই ফাইনালে উঠেছে ভারত। একটা নির্দিষ্ট ছকে এগিয়েছেন রোহিত শর্মারা। তবে ফাইনালেও একই রকম সমন্বয় থাকার নিশ্চয়তা দিলেন না তিনি, বরং রেখে দিলেন রহস্য।
বিধ্বংসী বোলিংয়ে প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দেওয়া শামিকে ব্যাখ্যা করতে অভিধানে কোন শব্দ খুঁজে পাচ্ছেন না সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি।
শুধু নিজেদের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ভবিষ্যদ্বাণী করেই ক্ষান্ত হননি মার্শ, 'ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া ৪৫০ রান করবে ২ উইকেটে, ভারত ৬৫ রানে অলআউট হবে।'
২০১১ বিশ্বকাপের আগে ভারতীয় দলের অংশ ছিলেন রোহিত। যদিও শেষমেশ বিশ্বকাপের স্কোয়াডে জায়গা হয়নি এই ডানহাতি ব্যাটারের।
এত বেশি রান, ছক্কা, চার, সেঞ্চুরি— বিশ্বমঞ্চে আগের কোনো আসরেই দেখা যায়নি।
আরেকটি ‘জুজু’ কাটাতে হবে ভারতের এই তারকাকে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ফাইনালের ভেন্যু আহমেদাবাদে যে বড্ড মলিন তার ব্যাট!
শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের পিচ দেখে ব্যবহৃতই মনে হয়েছে প্যাট কামিন্সের। তবে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক কোনো দলের জন্যই বাড়তি সুবিধা দেখছেন না।
আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে রোববার বিশ্বকাপের ফাইনালে নামবে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই মাঠে আছে ১১টি উইকেট। প্রতিটা উইকেটের ধরণই আলাদা।
প্রত্যেক ম্যাচেই ম্যাচের কোনও না কোন অংশে প্রতিপক্ষ দলই ছিল ফ্রন্টফুটে। ম্যাচের পুরোটা জুড়েই দাপট রেখে জিততে পারেনি অস্ট্রেলিয়া, প্যাট কামিন্স বলতে চাইছেন সেটাই। তবে এখানেই কামিন্স খুঁজে নিচ্ছেন...
বিশ্বকাপের ফাইনাল ঘিরে বিপুল আয়োজনের জন্য প্রস্তুত হয়েছে আহমেদাবাদ। গুজরাতের শহরটিতে বড় মঞ্চ রাঙাতে বেশ কয়েকটি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে