আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩

ফাইনালে কামিন্সের দুর্দান্ত স্পেলের ব্যাখা দিলেন অশ্বিন

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেমিফাইনালে ৫১ রানে ৩ উইকেট নেন কামিন্স। ফাইনালে কামিন্স ছিলেন আরও দুর্দান্ত। ১০ ওভারের স্পেলে স্রেফ ৩৪ রান দিয়ে তিনি আউট করেন বিরাট কোহলি আর শ্রেয়াস আইয়ারকে।

ফাইনালে কামিন্সের দুর্দান্ত স্পেলের ব্যাখা দিলেন অশ্বিন

বিশ্বকাপ ফাইনালে কামিন্সের  বোলিং

গোটা বিশ্বকাপে খুব আহামরি বল করছিলেন না প্যাট কামিন্স। সাদামাটা অবস্থা থেকে নকআউট ম্যাচে আমূল বদলে ফেলেন নিজেকে। সেমিফাইনাল ও ফাইনালে কামিন্সকে পাওয়া যায় ভিন্ন রূপে। ফাইনালে ভারতীয় স্কোয়াডে থেকেও ম্যাচ না খেলা রবীচন্দ্রন অশ্বিন ব্যাখ্যা করে দেখিয়েছেন কীভাবে এমন সাফল্য পেয়েছিলেন কামিন্স।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেমিফাইনালে ৫১ রানে ৩ উইকেট নেন কামিন্স। ফাইনালে কামিন্স ছিলেন আরও দুর্দান্ত। ১০ ওভারের স্পেলে স্রেফ ৩৪ রান দিয়ে তিনি আউট করেন বিরাট কোহলি আর শ্রেয়াস আইয়ারকে।

বিশ্বকাপে শেষে নিজের চ্যানেলে পর্যালোচনায় কামিন্সকে নিয়ে লম্বা ব্যাখ্যা দেন অশ্বিন, 'ওয়ানডে বোলার হিসেবে প্যাট কামিন্স ভুগছিল কদিন ধরে। কিন্তু ফাইনালসহ গত ৪-৫ ম্যাচে তার ৫০ শতাংশ বল ছিল কাটার।'

ফাইনালে কামিন্স কীভাবে কৌশল সাজিয়েছিলেন তা তুলে ধরেন ভারতের অফ স্পিনার,  'ফাইনালে, আমি জানি না কতজন টিভিতে ব্যাখ্যা করেছে। সে চারজন অফ সাইড ও পাঁচজন লেগ সাইডে রেখে বল করছিল।'

'সে স্টাম্প লাইনে ৬ মিটার মার্কে কেবল তিনটা বল করেছে। পুরো ১০ ওভারের স্পেলে সে ফুল লেন্থে বল করেনি যাতে ব্যাটাররা ড্রাইভ করতে পারে।'

একাদশ ওভারে অফ স্টাম্পের বাইরে থেকে বাড়তি বাউন্সের ভেতরে ঢোকা দারুণ ডেলিভারিতে তিনি ফেরান শ্রেয়াসকে। লোকেশ রাহুল-কোহলির জুটিও ভাঙেন ২৯তম ওভারে। গতি আর বাউন্সের তফাৎ এনে প্লেইড অন করান কোহলিকে।

অশ্বিন বলেন ফিল্ডিং পজিশন সাজিয়ে ব্যাটারদের বিভ্রান্ত করে সাফল্য পান অজি অধিনায়ক, 'সে ফাইনালে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ উইকেট পেয়েছে। পাঁচজন ফিল্ডার ছিল অন সাইডে, স্কয়ার লেগ, মিড উইকেট, ডিপ মিড উইকেট, মিড অন, লং লেগ। পুরো ১০ ওভার শেষে মিড অফ ছাড়া বল করেছে। টসের ঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর মোড় ঘোরানো স্পেল করেছে।'

Comments