ফাইনালে খেলবেন আগের রাত ১০টায় জেনেছেন লাবুশেন
বিশ্বকাপে এবার নিজের নামের প্রতি খুব একটা সুবিচার করতে পারছিলেন না মার্নাস লাবুশেন। ফাইনালের আগে দুটি পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস ছাড়া তেমন কিছুই করতে পারেননি। তাই ফাইনালে তার জায়গায় মার্কাস স্টয়নিসকে দলে নেওয়ার প্রবল চাপ ছিল। অবস্থা এমন যে আগের রাতেও ঠিকঠাক জানতেন না ফাইনাল খেলবেন কি-না। শেষ পর্যন্ত তার উপর আস্থা রাখে টিম ম্যানেজমেন্ট।
আর আস্থার প্রতিদানও দারুণভাবে দিয়েছেন লাবুশেন। ৪৭ রানে অজিরা যখন তিন উইকেট হারিয়ে রীতিমতো বিপদে পড়ে তখন ট্রাভিস হেডকে সঙ্গ দিয়ে খেলেছেন দারুণ এক ইনিংস। হেড শেষ দিকে ফিরলেও অপর প্রান্তটা শেষ পর্যন্ত ধরে রেখেছেন লাবুশেন। ম্যাচ জিতিয়েই তবেই মাঠ ছাড়েন।
আহমেদাবাদে ভারতকে হারিয়ে ষষ্ঠবারের জন্য বিশ্বকাপ জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া। হেডের সেঞ্চুরিতে ঢাকা পড়লেও এই জয়ে লাবুশেনের ইনিংসের মাহাত্বও কম নয়। ১১০ বল খেলেছেন ৫৮ রানের ইনিংস। ম্যাচ শেষে, নিজের উচ্ছ্বাসটা যেন আটকাতে পারছিলেন না এই ব্যাটার। 'এই জয় আমি চিরকাল মনে রাখবো এবং এই ইনিংস আমার দৃষ্টিতে সেরা ইনিংসের মধ্যে একটি হয়ে থাকবে।'
'যেভাবে টুর্নামেন্ট আমাদের পক্ষে গিয়েছে, সত্যি বলতে কি আমি বিশ্বাসই করতে পারছি না। তবে আমি নিজের উপর বিশ্বাস রাখি এবং ঈশ্বরের উপরেও বিশ্বাস রাখি। আগেরদিন রাত ১০টা বাজেও জানতাম না যে আমি সুযোগ পাবো কি-না। কিন্তু অবশেষে আমি পেয়েছি এবং করে দেখিয়েছি যা দল চেয়েছিল আমার কাছ থেকে,' যোগ করেন লাবুশেন।
রাত ১০টার দিকে দলে থাকার সংবাদ পান জানিয়ে আরও বলেন, 'গতকাল রাতে বিছানায় বসে ভাবছিলাম দলে জায়গা পাবো কি-না আর পেলেও আমার ভূমিকা কি হবে। তবে রাত দশটার দিকে জানতে পারি যে আমি একাদশে সুযোগ পেয়েছি এবং তাতে চাপমুক্ত হই। এমনকি আমি দক্ষিণ আফ্রিকার সফরেও সুযোগ পাইনি, কিন্তু অবশেষে পেয়ে যাই। তারপর থেকে বিশ্বকাপ পর্যন্ত টানা ম্যাচ খেলেছি।'
অবশ্য শুধু ফাইনাল নয়, এবারের বিশ্বকাপেই খেলার কথা ছিল না তার। বিশ্বকাপ দলে ছিলেন না তিনি। তবে আসর শুরুর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ক্যামেরুন গ্রিনের চোটে কনকাশন সাব হয়ে মাঠে নেমে খেলেন অতিমানবীয় এক ম্যাচজয়ী ইনিংস। সেই ইনিংসেই জায়গা করে দেয় বিশ্বকাপ দলে। অ্যাস্টন অ্যাগার চোটে পড়লে তার পরিবর্তে স্পিনার না নিয়ে লাবুশেনকে নেয় অজিরা।
Comments