‘দেশের মানুষ কোনো একটি দলকে সত্যিই যদি ৯০ শতাংশ আসনে বিজয়ী করে, তাহলে তার পক্ষে স্বৈরাচার না হয়ে উপায় থাকবে না। কেননা, যখনই কোনো একটি দল এত বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়, তখন বিরোধী দল বলে কিছু থাকে না।’
বিচার ও সংস্কারের দোহাই দিয়ে নির্বাচন যেমন দীর্ঘদিন ঝুলিয়ে রাখার সুযোগ নেই, তেমনি শুধুমাত্র একটি দলের পরে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় এনে পুরোনো পদ্ধতির চক্রে দেশকে ঠেলে দেওয়াটাও কোনো কাজের কথা নয়।
নির্বাচন ও এসএসসি—দুটি বড় পরীক্ষা এক মাসে আয়োজন করা যাবে কি না, সেটি বিরাট প্রশ্ন।
বাংলাদেশের ইতিহাসে এ পর্যন্ত যে ১২টি জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে তার মধ্যে মাত্র একটি হয়েছে জুনে, একটি মে মাসে। বাকি ১০টি নির্বাচন হয়েছে তুলনামূলক শুকনো মৌসুমে।
শেখার জন্য সুযোগ দিতে হয়, আর সেই সুযোগ না দিলে আমরাও এক জায়গায় আটকে থাকব, সুযোগ হারাব।
স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদ্রাসা, মাঠপর্যায়ের সাধারণ প্রশাসন, ভূমি প্রশাসন, কৃষি সম্প্রসারণ ও সমবায় বিভাগসহ তৃণমূলের বিভিন্ন অবকাঠামো ও সংগঠন ব্যবহার করে ভোটারদের সচেতনতা...
তরুণদের সহানুভূতিশীল ও শান্তিপ্রিয় মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পুরো সমাজকে সচেষ্ট হতে হবে। এটাই জাতিকে টিকিয়ে রাখার একমাত্র পথ।
নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিকাশকে ঠেকিয়ে জীবাশ্ম জ্বালানিকেই মুখ্য করে তোলার ট্রাম্পের নয়ানীতি তাই পুরো পশ্চিমা বিশ্ব তো বটেই, এশিয়া-আফ্রিকাকেও দারুণভাবে উদ্বিগ্ন করছে।
বাস্তবতা হলো, দুটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলের প্রধান শুধুই সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বা একজন আরেকজনের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে গেলেও সেখানে যে রাজনীতির আলোচনা হয় না—সেটি ভাবার কোনো কারণ নেই।
নিরঙ্কুশ ক্ষমতার দাপটে অন্ধ হয়ে নতুন বাস্তবতাকে মেনে নিতে চাচ্ছে না সরকার।
সুশাসন থেকে বঞ্চিত, পদে পদে বৈষম্যের শিকার, দুর্নীতিপিড়ীত, দ্রব্যমূল্যের যাঁতাকলে পিষ্ঠ মানুষকে আর রাজাকার তকমা দিয়ে দানবীকরণ করে ঠেকিয়ে রাখা যাবে না।
কাঠামো ঠিক থাকলে প্রশাসনের সর্বোচ্চ পদে থেকেও একজন লোকের দুর্নীতির মাধ্যমে এক লাখ টাকা কামানোরও সুযোগ নেই।
কারণে-অকারণে এই অন্ধ আনুগত্য, স্তুতি-স্তাবকতা আর প্রতিবাদহীন থাকার কারণে শিক্ষকদের আজকের অপাঙ্ক্তেয় হয়ে পড়ার কোনো যোগসূত্র আছে কি না, তা ভেবে দেখা যেতে পারে। আমার ধারণা, এর সংযোগ আছে। শতভাগ আছে।...
‘প্রত্যয়’ পরিকল্পনার সাফাই গেয়ে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের কর্তাব্যক্তিরা ভারতের উদাহরণ টেনেছেন। কিন্তু ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন স্কেল আর বাংলাদেশের স্কেল কি এক? পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা...
সরকারি কর্মকর্তারা সাধারণত অন্যকে অবৈধ সুযোগ-সুবিধা পাইয়ে দিতে মোটা অংকের ঘুষ নেন। তার মানে এখানে অপরাধ শুধু যিনি ঘুষ নিলেন তার নয়, যিনি ঘুষ দিয়ে অবৈধ সুবিধা নিলেন—তার নামটিও মানুষের জানা দরকার।...
নিশ্চিতভাবেই এই আন্দোলনে শিক্ষকদের দাবি ও যুক্তিগুলো যৌক্তিক। কিন্তু দাবি আদায়ে ক্লাস ও অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হওয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
একটি রাজনৈতিক দল জনগণের দৃষ্টিতে কেমন, তা জানা বা বোঝার জন্য গুরুত্বপূর্ণ মাপকাঠি হচ্ছে নির্বাচন। কিন্তু, বাংলাদেশে আর গ্রহণযোগ্য নির্বাচনই হয় না।
ধরা যাক, কোনো পত্রিকা বা পত্রিকার মালিকপক্ষের সঙ্গে তাদের ব্যক্তিগত বিরোধের কারণে এই ধরনের সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু যেসব অভিযোগ এসেছে, সেগুলো কি মিথ্যা?
নাগরিকের সুরক্ষা এবং অপরাধীর শাস্তি তথা অপরাধ দমনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আইন কতটুকু সহায়ক হবে, সেটি পুরোপুরি নির্ভর করে আইনের প্রয়োগকারীদের ইনটেনশন বা উদ্দেশ্য এবং সেই আইনটি বাস্তবায়নে সরকারের...