পরিবার ও সমাজ কি ব্যক্তির টাকার উৎস নিয়ে প্রশ্ন করে?

সরকারি কর্মকর্তারা সাধারণত অন্যকে অবৈধ সুযোগ-সুবিধা পাইয়ে দিতে মোটা অংকের ঘুষ নেন। তার মানে এখানে অপরাধ শুধু যিনি ঘুষ নিলেন তার নয়, যিনি ঘুষ দিয়ে অবৈধ সুবিধা নিলেন—তার নামটিও মানুষের জানা দরকার। কিন্তু সেই নামগুলো কি জানা যাবে?

অমিতাভ বচ্চন যার হাত ধরে সিনেমায় আসেন, তিনি প্রখ্যাত ভারতীয় লেখক, সাংবাদিক ও চলচ্চিত্রকার খাজা আহমদ আব্বাস। তার আত্মজীবনীর ভূমিকায় অমিতাভ বচ্চন লিখেছেন, 'আব্বাস সাহেব অত্যন্ত নীতিবান ব্যক্তি ছিলেন। স্বভাবগতভাবে স্পষ্টবাদী ও সৎ। তিনি কখনো বিরাট বাণিজ্যিক প্রত্যাশা বা আকাঙ্ক্ষা দ্বারা প্রলুব্ধ হননি। তিনি ন্যূনতম প্রয়োজন নিয়ে থাকতেন এবং কখনো অধিক আশা করেননি অথবা সেই লক্ষ্যে কাজও করেননি।'

জীবনের শেষ দিনগুলোতে তিনি যখন গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় শয্যাশায়ী, তখনও তার মনের ভারসাম্যবোধ হারিয়ে ফেলেননি। অমিতাভ লিখছেন, 'তার চিকিৎসার জন্য অর্থের প্রয়োজন যখন চরমে, তখনও তিনি অনুভব করেছেন যে তাকে যদি কারও কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য চাইতে হয়, তাহলে তা হবে তার মর্যাদার ওপর আঘাত। এমনকি তিনি যাদের আবিষ্কার করেছেন ও চলচ্চিত্রে এনেছেন এবং যারা আর্থিকভাবে ভালো অবস্থান গড়ে তুলেছেন, তাদের কাছ থেকেও তিনি অর্থ সাহায্য নেননি। তিনি তার চিকিৎসার জন্য যতটুকু অর্থের প্রয়োজন, ঠিক সেই পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে "সাত হিন্দুস্তানি" সিনেমার স্বত্ব বিক্রি করে দেন। অথচ তখন তিনি এই ছায়াছবি বিক্রি করে বিপুল অর্থ লাভ করতে পারতেন। এমনকি তিনি তার পরিচিত কারও কাছে বিক্রয়লব্ধ অর্থের পরিমাণও প্রকাশ করেননি। তার ভয় ছিল, তারা স্বেচ্ছায় তাকে অর্থ সাহায্য করতে চাইবেন, যা তার নীতিবিরুদ্ধ।' (আই অ্যাম নট অ্যান আইল্যান্ড, মাতৃভাষা প্রকাশ/২০২৩, পৃ. ১৩)

খাজা আহমদ আব্বাস পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন প্রায় চার দশক আগে। এত বছর পরেও তার আত্মীজীবনী কোটি কোটি মানুষের পাঠ্য। একজন প্রভাবশালী সাংবাদিক, শক্তিমান লেখক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং অতিতাভ বচ্চনের মতো সুপারস্টারদের 'জন্মদাতা' হওয়ার পরেও তিনি যে অতি সাধারণ জীবনযাপন করেছেন; প্রয়োজনের অতিরিক্ত কিছুই অর্জনের চেষ্টা করেননি, এমনকি মৃত্যুশয্যায় থাকা অবস্থায় নিজের চিকিৎসা খরচ জোগানোর জন্য সিনেমার স্বত্ব বিক্রির সময়েও তিনি যে পরিমিতিবোধের পরিচয় দিয়েছেন—খাজা আব্বাস হয়তো এ কারণেই আরও একশো বছর পরেও পাঠকের কাছে সমানভাবে পঠিত হবেন। মানুষের নীতিবোধ ও মূল্যবোধের অবক্ষয় যত বাড়তে থাকবে—তিনি হয়তো আরও বেশি প্রাসঙ্গিক হবেন।

এই কথাগুলো বলার কারণ হচ্ছে একের পর এক দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তির খবর গণমাধ্যমের শিরোনাম হচ্ছে—যাদের মধ্যে অনেকে রাষ্ট্রের অনেক বড় বড় দায়িত্ব পালন করেছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ শুদ্ধাচার পুরস্কারও পেয়েছেন। অথচ অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসছে তাদের বিপুল বিত্ত-বৈভবের খবর—যে বিশাল সম্পদ বৈধ পথে অর্জন করার সুযোগ নেই।

বছর বিশেক আগেও এই দেশে এক কোটি টাকা মানে ছিল অনেক টাকা। অসংখ্য মানুষ কোটি টাকার স্বপ্নও দেখে না। অথচ এখন প্রজাতন্ত্রের এমন অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীর হাজার কোটি টাকার সম্পদের তথ্য বেরিয়ে আসছে, যা তাদের সারা জীবনের বৈধ আয়ের কয়েকশো বা কয়েক হাজার গুণ বেশি।

প্রশ্ন হলো, একজন মানুষের বেঁচে থাকার জন্য কত টাকার প্রয়োজন? শত বা হাজার কোটি টাকার মালিকও দিন শেষে যে একা; জীবনের অন্তিম সময়ে হাজার কোটি টাকাও যে তার এক সেকেন্ডের অক্সিজেনের নিশ্চয়তা দিতে পারে না, সেটি করোনা মহামারি আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে।

অনেকের মনে এই বিশ্বাস জন্মেছিল যে, করোনা যে শিক্ষাটি মানুষেকে দিয়েছে, তার ফলে মানুষের ভোগবাদিতা, লোভলালসা, অবৈধ পথে শত বা হাজার কোটি টাকা উপার্জনের প্রবণতা বন্ধ হবে। মানুষ অনেক বেশি মানবিক, পরোপকারী ও দেশপ্রেমিক হবে। মানুষ অনেক বেশি সংবেদনশীল হবে। মৃত্যুকে সে আরও বেশি ভয় পাবে এবং সেই ভয় তাকে সব ধরনের অন্যায় থেকে দূরে রাখবে।

কিন্তু চারপাশের বাস্তবতা এবং একের পর এক দুর্নীতির খবরে মনে হচ্ছে, করোনা মহামারি অন্তত এই দেশের মানুষকে কিছুই শেখাতে পারেনি। বিশেষ করে যাদের হাতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা আছে; যাদের দুর্নীতি করে শত বা হাজার কোটি টাকা কামানোর সুযোগ আছে—তাদের মনে করোনা মহামারি কিংবা অসহায় অবস্থায় হাসপাতালের বেডে শুয়ে থাকার অভিজ্ঞতাও কোনো রেখাপাত করতে পারেনি। এর একটি বড় কারণ জবাবদিহির সংকট। যে জবাবদিহি শুধু রাষ্ট্রীয় নয়, বরং সামাজিক ও পরিবার থেকেও আসার কথা।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান বদিউর রহমান সম্প্রতি একটি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশোতে নিজের প্রথম চাকরির অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গিয়ে বলেছেন, তিনি তার কর্মজীবন শুরু করেছিলেন শিক্ষক হিসেবে। ভোলার একটি কলেজে তিনি যোগ দিয়েছিলেন। প্রথম মাসের বেতন পাওয়ার পরে মানি অর্ডার করে বাড়িতে একশো টাকা পাঠিয়েছিলেন। টাকা পাওয়ার পরে তার বাবা তাকে চিঠি লিখে জানতে চেয়েছেন, তিনি যে একশো টাকা পাঠালেন, তার বেতন কত? নিজের সব খরচের পরেও তিনি কী করে একশো টাকা পাঠালেন?

পরের চিঠিতে বদিউর রহমান তার বাবাকে লেখেন, ইংরেজির শিক্ষক হিসেবে তার বেতন ধরা হয়েছে ৬০০ টাকা (ওই সময়ের বাস্তবতায় বেশ ভালো অংক)। ৬০০ টাকা থেকে ২০০ টাকা তিনি যে পরিবারের পেয়িং গেস্ট হিসেবে ছিলেন, তাকে দিয়েছেন। তিনশো টাকা কিছু জরুরি বইপত্র কেনার জন্য রেখে বাকি একশো টাকা বাড়িতে বাবার কাছে পাঠিয়েছেন। বদিউর রহমান বলেন, কর্মজীবনের শুরুতেই আমি পরিবারের কাছ থেকে যে জবাবদিহির সম্মুখীন হলাম, সেটি আমাকে সারা জীবন সৎ থাকতে বাধ্য করেছে। অনুপ্রাণিত করেছে।

প্রশ্ন হলো, এই সময়ের বাংলাদেশে কতজন বাবা তার সন্তানকে এই প্রশ্ন করেন যে, তুমি ৩০ হাজার টাকা বেতন পেয়েও ঢাকায় ফ্ল্যাট কেনার টাকা কোথায় পেয়েছ? কতজন মা তার সন্তানকে জিজ্ঞেস করেন, ৪০ হাজার টাকা বেতন পাওয়ার পরেও ২ লাখ টাকা দিয়ে তুমি কী করে কোরবানির গরু কিনলে? বিলাসবহুল জীবনে অভ্যস্ত কতজন স্ত্রী তার স্বামীর অবৈধ আয়ের খবর রাখেন বা প্রশ্ন করেন? কতজন সন্তান তার বাবাকে জিজ্ঞেস করেন যে, কোটি টাকা দামের গাড়ি কেনার মতো বৈধ অর্থ তার আছে কি না? না থাকলে তিনি টাকাটা কোথায় পেলেন?

প্রতি বছর রোজার ঈদের সময় অসংখ্য মানুষ নিজের গ্রামে গিয়ে গরিব আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশিদের মধ্যে অনেক দান করেন। কারো মেয়ের বিয়েতে ৫০ হাজার টাকা; মসজিদ বানাতে ৫ লাখ টাকা; মন্দিরে ২ লাখ টাকা; এতিমখানা বা অন্যান্য সামাজিক প্রতিষ্ঠানেও প্রচুর টাকা-পয়সা দান করেন। যদি তিনি বড় ব্যবসায়ী না হন; যদি তিনি সরকারি-বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানে লাখ টাকা বেতনও চাকরি করেন, তারপরেও নিজের ও পরিবারের খরচ মেটানোর পরে এরকম লাখ লাখ টাকা মানুষকে দান করা সম্ভব?

কিন্তু সমাজের কতজন মানুষ ওই 'দানশীল' ব্যক্তিদের এই প্রশ্ন করে যে, আপনি যে মসজিদে ৫ লাখ টাকা দান করলেন, এই টাকার উৎস কী? এটা কি আপনার বৈধ টাকা, নাকি ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত? মানুষ এই প্রশ্ন করে না। কারণ তারা দেখছে এই লোকগুলোই সমাজের গরিব মানুষকে সহযোগিতা করেন। এই লোকগুলোই মসজিদ পাকা করে দেন। এই লোকগুলোই শত শত মানুষকে দাওয়াত করে খাওয়ান। সুতরাং তার আয়ের উৎস নিয়ে তারা আর প্রশ্ন করতে চায় না।

এই যে তারা প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছেন না—সেটা না পরিবার থেকে, না সমাজ থেকে—তার ফলে তারা আরও বেশি দুর্নীতিতে উৎসাহী হন। তারা সমাজে দানশীল ও সমাজসেবক হিসেবে হিসেবে পরিচিত হন। একসময় ওই সমাজের মানুষই তাকে ভোটে দাঁড়াতে উৎসাহ দেয়। তিনি একসময় নির্বাচনে দাঁড়ান এবং টাকা দিয়ে ভোট কিনে জনপ্রতিনিধি হয়ে যান। অর্থাৎ ব্যক্তি যে তার আয়ের উৎস নিয়ে কোনো ধরনের প্রশ্নের মুখে পড়ছেন না; তিনি যে কোনো জবাবদিহির সম্মুখীন হচ্ছেন না এবং বড় কোনো অপরাধ বা দুর্নীতিতে জড়িয়ে ধরা পড়ার আগ পর্যন্ত যেহেতু তার অবৈধ আয় সম্পর্কে মানুষ কিছু জানতেও পারছে না—সে কারণেই সমাজ থেকে দুর্নীতি বন্ধ হচ্ছে না।

রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে যারা থাকেন তারা সব সময় দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স বা শূন্যসহনশীল নীতির কথা বলেন। তাদের নির্বাচনি ইশতেহারেও এটা থাকে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, দুর্নীতিবাজরা সব সময়, সব আমলে ক্ষমতাসীন দল ও সরকারের ছত্রছায়াতেই থাকে। কোথাও না কোথাও তাদের প্রটেকশন থাকে। বিশেষ করে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা লোকজন যেহেতু সরকার ও ক্ষমতাসীন দলের নানাবিধ স্বার্থরক্ষা করেন, ফলে তাদের মনে একধরনের বিশ্বাস ও ভরসা তৈরি হয় যে, বিপদে পড়লে তাকে রক্ষা করতে কেউ না কেউ এগিয়ে আসবে।

সবার ক্ষেত্রে এটি হয়তো হয় না। কিন্তু রাষ্ট্রের সিস্টেমটাই এমন হয়ে গেছে যে এখানে ঘুষ, দুর্নীতি ও লুটপাটকে ততক্ষণ পর্যন্ত খারাপ বলে বিবেচনা করা হয় না, যতক্ষণ না সেটি নিয়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তোলপাড় হচ্ছে।

সম্প্রতি সরকারের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার 'বে-নজীর' দুর্নীতির যে ফিরিস্তি গণমাধ্যমে এসেছে তাতে কয়েকটি প্রশ্ন সামনে আসছে। যেমন:

১. আরও কতজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির এই খবর প্রকাশিত হবে?

২. যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির খবর আসছে বা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিপুল সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠছে, সেই সংখ্যাটি বাস্তবতার কত শতাংশ?

৩. এখন পর্যন্ত পুলিশ ও এনবিআরের একাধিক সিনিয়র কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বেসুমার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেলেও সরকারের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের নামও কি আসবে?

৪. সরকারের নানা প্রকল্প থেকে যারা হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছেন এবং বিদেশে পাচার করেছেন বলে শোনা যায়, তাদের সবার নাম কি জানা যাবে?

৫. এই ধরনের খবর কি নিতান্তই কিছু গণমাধ্যমের নিজস্ব অনুসন্ধানের ফল নাকি সরকার তার দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এগুলো সামনে আনছে?

৬. গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে থেকেই সরকার যে ধরনের আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে আছে, দুর্নীতির ইস্যুটা কি সেই চাপ মোকাবিলার একটা কৌশল?

৭. এসব খবরের পরিণতি কী হবে? সবাই কি শাস্তির আওতায় আসবেন?

৮. এই ঘটনাগুলো কি দুর্নীতিবাজদের মনে ভয় ঢুকিয়ে দিচ্ছে? তারা সবাই কি নিজেদের নাম প্রকাশের ভয়ে আতঙ্কিত?

৯. দুর্নীতির ইস্যুটি নিয়ে এখন সারা দেশে তোলপাড় চলছে। এর পরিণতি কী হবে? এর মধ্য দিয়ে কি দুর্নীতির বিরুদ্ধে একটা বড় ধরনের সামাজিক আন্দোলন গড়ে উঠবে এবং দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এই ঘটনাগুলো কোনো ভূমিকা রাখবে, নাকি বড় কোনো ইস্যু আড়াল করার জন্য অপেক্ষাকৃত জনপ্রিয় এই ইস্যুটিকে সামনে আনা হলো এবং অন্য কোনো ইস্যু এলে এটিও মানুষ ভুলে যাবে?

১০. বড় বড় দুর্নীতিবাজরা কি তাদের টাকা-পয়সা নিরাপদে সরিয়ে ফেলতে শুরু করেছেন এবং দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন? এরইমধ্যে কতজন এই কাজ করেছেন, সেই তথ্য কি সরকারের কাছে আছে?

১১. বলা হয়, বাংলাদেশের পুরো অর্থনৈতিক ব্যবস্থাটিই দুর্নীতির দুষ্টুচক্রে ঘুরপাক খাচ্ছে। এরকম একটি ব্যবস্থায় কিছু সরকারি কর্মকর্তার যে সম্পদের বিবরণ সামনে আসছে, সেখানে রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, বেসরকারি চাকরিজীবীদের অনিয়ম ও দুর্নীতির খবরগুলো কি আড়ালে থাকবে?

১২. সরকারি কর্মকর্তারা সাধারণত অন্যকে অবৈধ সুযোগ-সুবিধা পাইয়ে দিতে মোটা অংকের ঘুষ নেন। তার মানে এখানে অপরাধ শুধু যিনি ঘুষ নিলেন তার নয়, যিনি ঘুষ দিয়ে অবৈধ সুবিধা নিলেন—তার নামটিও মানুষের জানা দরকার। কিন্তু সেই নামগুলো কি জানা যাবে?

আমীন আল রশীদ: সাংবাদিক ও লেখক

Comments