জানিয়েছেন পুষ্টিবিদ শরীফা আক্তার শাম্মী।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যে দেখা গেছে—রাজধানীতে পেঁয়াজের খুচরা দাম ৪০ থেকে ৬৫ টাকা। আগের মাসের তুলনায় দাম সাড়ে ২৩ শতাংশ বেশি।
পেঁয়াজের দর গত বছরজুড়ে বেশি থাকলেও এ বছরের চিত্র সম্পূর্ণ বিপরীত। নতুন পেঁয়াজ বাজারে এলেও প্রত্যাশা অনুযায়ী বাড়েনি চাহিদা। দাম কমে যাওয়ায় উৎপাদন খরচ উঠবে কি না—শঙ্কায় পাবনা ও ফরিদপুরের চাষিরা।
মুদ্রানীতি কড়াকড়ি ও আমদানি কমিয়েও যখন মূল্যস্ফীতি রোধ করা সম্ভব হয় না, তখন সাধারণ মানুষের জন্য এই লড়াই আরও কঠিন হয়ে ওঠে।
বছরজুড়েই পেঁয়াজের বাজার চড়া থাকায় বেশিরভাগ কৃষক পেঁয়াজের বীজ তৈরি করার চেয়ে দানাদার পেঁয়াজ বিক্রিতে জোর দিয়েছেন। পেঁয়াজ চাষের ভরা মৌসুমেও কৃষকরা এখন কেনা বীজের ওপর নির্ভরশীল।
ঢাকার বাইরে কিছু এলাকায় প্রতিকেজি পেঁয়াজ ১৬৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
রাজধানীর পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ সংকটের কারণে পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে ১২০ টাকার পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা দরে। ভারত থেকে আমদানি করা প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম গত সপ্তাহেও ছিল ১০০ টাকা। আজ এই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা দরে।
যুক্তরাষ্ট্রে ম্যাকডোনাল্ডসের পাশাপাশি টাকো বেল, পিৎজা হাট ও কেএফসির কয়েকটি শাখায় আপাতত কাঁচা পেঁয়াজ ব্যবহার করা হচ্ছে না।
হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির কারণে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
‘আমাদের প্রধান লক্ষ্য কৃষকদের ইন্টারেস্ট। দেশে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ আছে। কৃষকের ঘরেও যথেষ্ট মজুত আছে। পেঁয়াজের দাম এত বেশি হওয়ার যৌক্তিক কোনো কারণ নেই।’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমাদের দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন পর্যাপ্ত হয়েছে। কিন্তু বেশি মুনাফার আশায় পেঁয়াজ মজুত রেখে সংকট তৈরি করে বাজারকে অস্থিতিশীল করা হয়েছে।’
‘মাঠ থেকে তথ্য পেয়েছি যে যথেষ্ট পেঁয়াজ মজুত আছে। তবে, দাম আরও বৃদ্ধির আশায় তারা বাজারে বিক্রি করছে না।’
আজ শনিবার কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি আদার দাম ৪৬০ টাকা, পেঁয়াজ ৭৬ টাকা।
‘এটি আমার দায়িত্বে নেই। কাঁচাবাজারের সবকিছু আমরা নিয়ন্ত্রণ করি না। এর জন্য কয়েকটি মন্ত্রণালয় আছে। তবে সব মিলিয়ে পরিস্থিতি খুব একটা খারাপ নয়। কাঁচাবাজারে পণ্যের দাম উঠানামা করে। কখনো শাক-সবজির দাম...
প্রাচীন পদ্ধতিতে পেঁয়াজ সংরক্ষণে ঘাটতি কমপক্ষে ৩০ শতাংশ। কিন্তু, এ পদ্ধতিতে পেঁয়াজের পচন রোধ হবে এবং দেশে পেঁয়াজ সংরক্ষণে বড় ভূমিকা রাখবে।
গত বছর হেক্টরপ্রতি প্রায় ১৪ দশমিক ১৭ মেট্রিকটন পেঁয়াজের ফলন হলেও এ বছর ১৩ দশমিক ৬০ মেট্রিকটনের বেশি ফলন পাওয়া যায়নি।
বর্তমান বাজার মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি করে উৎপাদন খরচ উঠবে না বলে আশঙ্কা করছেন চাষিরা।
তুমি কি কখনো পেঁয়াজ কেটেছ? যদি কেটে থাক তাহলে নিশ্চয়ই জানো, পেঁয়াজ কাটার সময় চোখে পানি আসে। আমাদের কমবেশি সবারই এ অভিজ্ঞতা আছে। কিন্তু, কেন এমন হয়?