দেশি পেঁয়াজের সংকট, এক সপ্তাহে কেজিতে দাম বেড়েছে ২৫-৩০ টাকা
সরবরাহ কমে যাওয়ায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে ঢাকার কারওয়ান বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২৫ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, আমদানি করা পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ আছে। আমদানি করা পেঁয়াজের দামও তুলনামূলকভাবে কম। কিন্তু মানুষ দেশি পেঁয়াজ কিনতে বেশি আগ্রহী। এতে করে আমদানি করা পেঁয়াজ ও দেশি পেঁয়াজের দামের মধ্যে ফারাক তৈরি হয়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, কৃষকরা নিজেদের জেলাতে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করেন। ব্যবসায়ীরা সেই পেঁয়াজ কিনে আনেন রাজধানীতে। জেলা পর্যায়েই দেশি পেঁয়াজের সংকট তৈরি হয়েছে। এ কারণে দাম বেড়েছে।
তেজতুরীবাজারের বাসিন্দা সবুজ মিয়া কারওয়ান বাজারের এসেছিলেন সবজি কিনতে। তিনি জানান, গত সপ্তাহেও তিনি ১২০ টাকা দরে দুই কেজি দেশি পেঁয়াজ কিনেছিলেন।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে আজ এই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা দরে। ভারত থেকে আমদানি করা প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম গত সপ্তাহেও ছিল ১০০ টাকা। আজ এই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা দরে। এভাবে দাম বাড়তে থাকলে সংসার চালানোই কঠিন হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেন সবুজ মিয়া।
কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সজিব শেখ জানান, তিনি সাধারণত মানিকগঞ্জ, পাবনা, রাজবাড়ী ও ফরিদপুর জেলার বাজার থেকে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পেঁয়াজ নিয়ে আসেন।
তিনি বলেন, গত এক সপ্তাহে জেলাগুলোর স্থানীয় বাজারে কম পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। এ কারণে জেলা পর্যায়ে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২ থেকে ১৫ টাকা বেশি দামে।
গতকাল তিনি মানভেদে এই পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন প্রতি কেজি ১২২ টাকা থেকে ১৩২ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে তিনি একই জাতের পেঁয়াজ বিক্রি করেছিলেন ১০৭ টাকা থেকে ১১৭ টাকা দরে।
আজ কারওয়ান বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম আরও এক দফা বেড়েছে। আজ পাইকারিতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ১৪০ টাকায়। ক্রেতারা খুচরা পেঁয়াজ কিনেছেন ১৫০ টাকা দরে।
Comments