সীমান্তে সিরিয়া অংশের ‘বাফার জোন’ দখলেরও ডাক দিয়েছেন তিনি।
কিন্তু ১৮ নভেম্বর ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটে দেওয়া এক বক্তৃতায় নেতানিয়াহু জানান, লেবাননে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব গ্রহণ করা হলেও সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণে অভিযান চালিয়ে যাবে ইসরায়েলি বাহিনী।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের পাশাপাশি ব্রিটেন, কানাডা, জার্মানি, ফ্রান্স ও জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরাও যোগ দেবেন। এই সম্মেলনে সভাপতির ভূমিকায় থাকবেন ইতালির আন্তোনিও তাজানি।
নেতানিয়াহু বলেন, ‘কাগজে কী (প্রস্তাব) থাকবে, সেটা গুরুত্বপূর্ণ না। কাগজে (যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব) সই করা হলেও আমাদের (ইসরায়েল) উত্তরে আক্রমণ চালিয়ে যেতে হবে। যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হলেও সেটা মানার...
হামলার সময় নেতানিয়াহু বা তার পরিবারের কেউ সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। কোনো ক্ষয়ক্ষতির খরবও পাওয়া যায়নি।
ডাচ পুলিশের মুখপাত্র জানান, এ ঘটনার জেরে ৫৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে হতাহতের বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি।
গত সপ্তাহে সিজারিয়া এলাকায় নেতানিয়াহুর বাড়িতে ড্রোন হামলা হয়। ড্রোনটি লেবানন থেকে ধেয়ে এসেছিল। এতে কেউ হতাহত না হলেও ড্রোন হামলার বিরুদ্ধে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার দুর্বলতা প্রকাশ পায়।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এই তথ্য উপস্থাপন করে মন্তব্য করেন, যুদ্ধের লক্ষ্য পূরণ হতে আর বেশি দেরি নেই।
এ বিষয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ইউএনআরডব্লিউএর কর্মীরা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত। তাদের এসব কর্মকাণ্ডের জন্য ইসরায়েলের কাছে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।
এতে যুদ্ধবিরতির আশা ম্লান হয়ে গেছে এবং যার ফলে সর্বাত্মক আঞ্চলিক যুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে।
বেনি গ্যান্টজ আগামী ৮ জুনের মধ্যে যুদ্ধ–পরবর্তী গাজা নিয়ে পরিকল্পনা উপস্থাপনের জন্য আল্টিমেটাম দিয়েছেন নেতানিয়াহু সরকারকে।
তবে এই নথি হাতে পেয়েও ইসরায়েলের সামরিক ও গোয়েন্দা কর্মকর্তারা তা গুরুত্ব দেয়নি।
গাজায় যুদ্ধাপরাধ চালানো এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের জন্য ইসরায়েলকে ‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্র’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।