অধিকৃত পশ্চিম তীরের ২২ এলাকায় নতুন বসতি স্থাপনের ঘোষণা ইসরায়েলের

কট্টর ডানপন্থি ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মৎরিচ অধিকৃত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ২২ নতুন অবস্থানে ইহুদিদের বসতি স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছেন। আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে সেখানে বসতি স্থাপনের উদ্যোগ অবৈধ।
আজ বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা এএফপি এই তথ্য জানিয়েছে।
সমাজমাধ্যম এক্সে পোস্ট করে ওই মন্ত্রী বলেন, 'আমরা নতুন বসতি তৈরির ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি। জুদেয়া ও সামারিয়ায় ২২টি নতুন সম্প্রদায় সৃষ্টি এবং সামারিয়ার উত্তরের বসতিগুলো নবায়নের মাধ্যমে ইসরায়েলের উত্তর সীমান্তকে আরও মজবুত করা হচ্ছে।'

এই পোস্টে তিনি পশ্চিম তীরের ইসরায়েলি নাম 'সামারিয়া' ব্যবহার করেন। ১৯৬৭ সাল থেকে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর দখল করে রেখেছে দেশটি।
'পরের ধাপ: সার্বভৌমত্ব অর্জন!' যোগ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দল লিকুদ পার্টি বিষয়টি নিয়ে সমাজমাধ্যম টেলিগ্রামে বিবৃতি দিয়েছে।
সেখানে একে 'যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত' বলে অভিহিত করে বলা হয়। স্মৎরিচ ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল ক্যাটজের যৌথ নেতৃত্বে এই উদ্যোগের বাস্তবায়ন হচ্ছে। এটি ইতোমধ্যে নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, 'এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে জর্ডানের সঙ্গে পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তে চারটি নতুন সম্প্রদায় সৃষ্টি করা হবে। এটি ইসরায়েলের পূর্বাঞ্চলকে আরও শক্ত ভিত্তি দেবে, জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এবং ওই অঞ্চলে কৌশলগত নিয়ন্ত্রণ আরও শক্তিশালী করবে।'
নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টি ২২টি সেটেলমেন্টের মানচিত্রও প্রকাশ করেছে।

পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকে জাতিসংঘ ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদে শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হিসেবে বিবেচনা করে।
এমন সময় এই ঘোষণা এলো যখন আর এক মাসেরও কম সময় পর নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদরদপ্তরে ফ্রান্স ও সৌদি আরবের নেতৃত্বে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত নিরসনে দুই রাষ্ট্র সমাধানকে নতুন করে সবার সামনে নিয়ে আসার কথা আছে।
গতকাল বুধবার মধ্যপ্রাচ্যে নিযুক্ত বিশেষ মার্কিন প্রতিনিধি স্টিভ উইটকফ জানান, ইসরায়েল-হামাসের সংঘাত নিরসন ও গাজায় যুদ্ধবিরতি চালুর বিষয়ে তিনি 'ইতিবাচক মনোভাব' পোষণ করেন।
উইটকফ আরও জানান, খুব শিগগির নতুন প্রস্তাবের প্রত্যাশা করছেন তিনি।
Comments