তেল আবিবে নজিরবিহীন আতঙ্ক, উদ্বেগ ও আশঙ্কা

টানা চার দিন ধরে চলছে ইসরায়েল-ইরানের সংঘাত। হামলা ও পাল্টা হামলা যেন এক মুহূর্তও থেমে নেই। চলমান পরিস্থিতি 'নিরাপদে' থাকতে অভ্যস্ত তেল আবিবের বাসিন্দাদের এক নজিরবিহীন আতঙ্ক ও উদ্বেগে দিন কাটাতে বাধ্য করেছে।
আজ সোমবার সিএনএনের প্রতিবেদনে ইসরায়েলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর তেল আবিবের এই চিত্র ফুটে উঠেছে।
ইরানের সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর আজ সকালে তেল আবিবের বাসিন্দারা ছিলেন উদ্বেগ-আতঙ্কে। সর্বত্র বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি লক্ষ্য করেন সিএনএনের জেরুজালেম সংবাদদাতা জেরেমি ডায়মন্ড।
জেরেমি জানান, তিনি তেল আবিবের রাস্তাগুলোতে ভেঙে পড়া স্থাপনা ও অন্যান্য আবর্জনা দেখতে পেয়েছেন। একটি অবস্থানে চারটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার পর সেখানে উদ্ধারকারী দল ও সামরিক বাহিনীর সদস্যরা ধ্বংসস্তুপের ভেতর আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারে ব্যস্ত ছিলেন।
এ সময় এক নারী জানান, ঘরের বেসমেন্টে লুকিয়ে থেকে প্রাণে বেঁচে গেছেন তিনি ও তার পরিবার।

তবে মাটির নিচের বেসমেন্টে থেকেও 'ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রভাব' টের পাওয়ার অভিজ্ঞতার বর্ণনা দেন ওই নারী।
'আমরা অনেক ভীত ছিলাম। এ কারণে খুব ধীরে ধীরে বের হয়ে আসি। আমরা হেঁটে হেঁটে আগানোর সময় টের পাই, আশেপাশে একের পর এক ভবন ভেঙে পড়ছে', যোগ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, 'পোড়া ধোঁয়ার গন্ধ পাচ্ছিলাম…আমি টি-শার্ট দিয়ে নিজের নাক ঢেকে রাখতে বাধ্য হই। রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে খেয়াল রাখছিলাম যাতে নিঃশ্বাসের সঙ্গে ওই ধোঁয়া ফুসফুসে ঢুকে না যায়।'
ঘটনাস্থলের কাছে একটি আবাসিক ভবন আংশিকভাবে ধসে পড়ে। বেশ খানিকটা দূর থেকেও ওই ভবনের ধ্বংসস্তূপ দেখা যাচ্ছিল বলে জানান সিএনএনের সংবাদদাতা।
তিনি আরও জানান, অন্তত ১০ ব্যক্তিকে সেখান থেকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে।
নজিরবিহীন হামলার মুখে তেল আবিবের বাসিন্দারা হতভম্ব হয়ে পড়লেও হামলার পর ধীরে ধীরে নিজ নিজ বাড়িতে ফিরতে শুরু করেন তারা।
এ সময় অনেক মানুষকে দেখা যায় তাদের পরিবার-পরিজন ও বন্ধুদের আলিঙ্গন করতে।

ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, চার দিনের সংঘাতে ইসরায়েলে নিহতের সংখ্যা ১৩। আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ।
অপরদিকে, ইরানে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২৪ হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও এক হাজার ২০০ জন।
Comments