ইরানের ১০০ স্থাপনার ওপর হামলায় ইসরায়েলের ২০০ যুদ্ধবিমান

ইরানের বিরুদ্ধে হামলায় ২০০ ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান ব্যবহার হয়েছে। ফাইল ছবি: রয়টার্স
ইরানের বিরুদ্ধে হামলায় ২০০ ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান ব্যবহার হয়েছে। ফাইল ছবি: রয়টার্স

ইরানের পরমাণু ও সামরিক স্থাপনা এবং শীর্ষ সামরিক কমান্ডার ও পরমাণু বিজ্ঞানীদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। দেশটি বলেছে, এই অভিযান চলমান থাকবে এবং আরও 'অনেক অর্জন' বাকি আছে।

এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তেহরান, আশেপাশের এলাকা ও একটি গুরুত্বপূর্ণ ইউরেনিয়াম পরিশোধনাগারের কাছে বিস্ফোরণের তথ্য পাওয়া গেছে।

কোথায় কোথায় হামলা হয়েছে 

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তাদের যুদ্ধবিমান 'অসংখ্য সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে, যার মধ্যে আছে ইরানের বিভিন্ন এলাকার পরমাণু স্থাপনা।'

২০০টি যুদ্ধবিমান প্রায় ১০০টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসরায়েল।

ইসরায়েলি হামলায় তেহরানের এই ভবনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ছবি: এএফপি
ইসরায়েলি হামলায় তেহরানের এই ভবনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ছবি: এএফপি

ইরানের সরকারি টিভি চ্যানেল জানিয়েছে, ইরানের বিপ্লবী রক্ষীবাহিনীর একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও শহরের পূর্বাঞ্চল আক্রান্ত হয়েছে। এসব জায়গায় আগুন ও ধোঁয়া দেখা গেছে এবং বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

আবাসিক ভবনের ক্ষয়ক্ষতি বেসামরিক মানুষ হতাহতের তথ্যও জানানো হয়েছে।

রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেলটি আরও জানায়, ইরানের ইসফাহান প্রদেশের কেন্দ্রে অবস্থিত নাতাঞ্জ পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র লক্ষ্য করে 'বেশ কয়েকবার' হামলা চালানো হয়েছে। ভিডিও ফুটেজে পরমাণু স্থাপনাটি থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখা গেছে। 

আক্রান্ত হলেও পরমাণু স্থাপনার ক্ষতি হয়নি 

জাতিসংঘের পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) নিশ্চিত করেছে, হামলার অন্যতম লক্ষ্য ছিল নাতাঞ্জ। তারা ইরান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে ওই অঞ্চলে 'তেজস্ক্রিয়তার মাত্রার' ওপর নজর রাখছে।

পরবর্তীতে ইরান দাবি করে, হামলার পরও তেজস্ক্রিয়তার মাত্রায় কোনো পরিবর্তন আসেনি। 

আইএইএ সামাজিক মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) জানায়, 'নাতাঞ্জ স্থাপনায় তেজস্ক্রিয়তার মাত্রায় কোনো পরিবর্তন নেই।'

ইরানের নাতাঞ্জ পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র। ফাইল ছবি: এএফপি
ইরানের নাতাঞ্জ পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র। ফাইল ছবি: এএফপি

ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর নগরী বেশেহেরে অবস্থিত দেশটির একমাত্র পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা হয়নি বলে আইএইএ নিশ্চিত করেছে।

ইসফাহানের পুলিশ বাহিনীর উপপ্রধানের বরাত দিয়ে ইরনা সংবাদমাধ্যম জানায়, 'নাতাঞ্জে হামলা হলেও এতে পরমাণু বিপর্যয় দেখা দেয়নি।'

ওই হামলায় কেউ নিহত হয়নি বলেও নিশ্চিত করেন তিনি।  

ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যমে বিপ্লবী রক্ষীবাহিনী প্রধান হোসেন সালামি ও সশস্ত্রবাহিনী প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরির মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তা ও অন্তত দুইজন শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানীও নিহত হয়েছেন।

সংবাদমাধ্যমটি উল্লেখ করে, এসব হামলায় নারী ও শিশুসহ ৫০ জন আহত হয়েছেন।

অপরদিকে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফি ডেফরিন বলেছেন, পাল্টা হামলা চালাতে ইসরায়েলের দিকে প্রায় ১০০ ড্রোন পাঠিয়েছে ইরান। তবে তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সেগুলো প্রতিহত করতে কাজ করছে।

Comments

The Daily Star  | English

Nahid calls for preparations for another mass uprising if ‘old game’ doesn’t end

He made these remarks during a street rally at Chashara intersection, Narayangaj

1h ago