ক্রাইস্টচার্চে মঙ্গলবার লিটনের সেঞ্চুরি এল অনেকটা ওয়ানডে গতিতে। কাইল জেমিসনের বলে ১০৭ বলে তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন লিটন। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরির পথে ১৪ চার আর ১ ছক্কা এসেছে তার ব্যাটে।
উপমহাদেশের বাইরে টেস্ট ম্যাচ জিততে হলে পেসারদের ভূমিকা সবচেয়ে জরুরি। এমনকি ঘরের মাঠেও পেসাররা হতে পারেন ম্যাচ উইনার। কিন্তু বাংলাদেশ পেসারদের প্রতি ছিল বিমাতাসুলভ।
রোববার মাউন্ট মাঙ্গানুই টেস্টে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে স্পষ্ট দাপট বাংলাদেশের। নিউজিল্যান্ডকে ৩২৮ রানে গুটিয়ে দিয়ে ২ উইকেটে ১৭৫ রান তুলে ফেলেছে মুমিনুল হকের দল।
শনিবার মাউন্ট মাঙ্গানুই টেস্টে শুরুটা তাই দারুণ হলে তা ধরে রাখা যায়নি। প্রথম দিনের লাঞ্চ বিরতি পর্যন্ত ২৭ ওভারে কিউইরা তুলেছে ১ উইকেটে ৬৬ রান।
শনিবার নতুন বছর প্রথম দিন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে টস ভাগ্য পক্ষে আসে মুমিনুল হকের। মাউন্ট মাঙ্গানুইতে বাংলাদেশ অধিনায়ক উইকেটের শুরুর মুভমেন্ট কাজে লাগাতে বেছে নেন বোলিং।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচেও টসে হেরেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এবারও আগে ফিল্ডিং পেয়েছে বাংলাদেশ।
ইতোমধ্যে টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের ইতিহাসের সফলতম বছরের দেখা পেয়ে গেছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।
প্রথম অংশে বাংলাদেশের ইনিংস চলাকালে টার্ন ও অসমান বাউন্সের দেখা মেলে। তবে পরের ভাগে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিংয়ের সময় রান তোলা হয়ে যায় তুলনামূলক সহজ।
দ্বিতীয় সারির নিউজিল্যান্ড দলে অধিনায়ক ল্যাথাম অভিজ্ঞদের একজন। সেই তিনিই বেশ ভোগান টাইগারদের। এক প্রান্ত আগলে বুক চিতিয়ে লড়াই করেন। কিন্তু তার আপ্রাণ চেষ্টাও যথেষ্ট হয়নি সতীর্থদের ব্যর্থতায়।
১০৪ উইকেট নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
৬০ রানে অলআউট হওয়ার ধাক্কাটা এখনও তরতাজা নিউজিল্যান্ডের। সেখানে তাদের লক্ষ্য ১৪২ রান। মিরপুরের উইকেটের চরিত্র অনুযায়ী বেশ বড় লক্ষ্যই পেয়েছে নিউজিল্যান্ড।
অনভিজ্ঞতায় ভরা কিউইরা বাংলাদেশের বোলারদের বিপক্ষে রীতিমতো খাবি খেয়েছে। ১৬.৫ ওভারে তারা অলআউট হয় ৬০ রানে।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে জিতে মাশরাফিকে ছাড়িয়ে এককভাবে শীর্ষ উঠলেন মাহমুদউল্লাহ।
সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডকে ৭ উইকেটে গুঁড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ।
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ড অলআউট হয়েছে মাত্র ৬০ রানে। টি-টোয়েন্টিতে এটাই তাদের যৌথ সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ। এর আগের ঘটনাও বাংলাদেশে।
বাঁহাতি সৌম্য বাদ পড়লেও টিকে গেছেন আরেক ওপেনার নাঈম শেখ। অনুমিতভাবেই ফিরেছেন লিটন দাস। সব ধরনের সংস্করণ মিলিয়ে তিন সিরিজ পর ফিরেছেন মুশফিকুর রহিমও।