নিউজিল্যান্ডকে 'বড়' লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ

৬০ রানে অলআউট হওয়ার ধাক্কাটা এখনও তরতাজা নিউজিল্যান্ডের। সেখানে এবার তাদের লক্ষ্য ১৪২ রান। মিরপুরের উইকেটের চরিত্র অনুযায়ী বেশ বড় লক্ষ্যই পেয়েছে নিউজিল্যান্ড।

উইকেট যথারীতি ছিল মন্থর ও টার্নিং। যদিও প্রথম ম্যাচের মতো অতটা প্রতিকূল নয়। ব্যাটসম্যানদেরও ততটা ভুগতে হয়নি। ভালো শুরুর পর মাঝে কিছুটা ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। তবে শেষ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যই ছুঁড়ে দিয়েছে টাইগাররা।

শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৬ উইকেটে ১৪১ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ।

দুই ওপেনার লিটন দাস ও মোহাম্মদ নাঈম বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশকে। যদিও ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ভাঙতে পারত ওপেনিং জুটি। শর্ট মিড উইকেটে সহজ ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন লিটন। সে সুযোগ লুফে নিতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। জীবন ঠিকভাবেই কাজে লাগাতে পারেন লিটন।

মন্থর উইকেটে যেভাবে রান তোলার প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের, সেভাবেই তুলতে থাকেন দুই ওপেনার। ফলে পাওয়ার প্লেতে আসে ৩৬ রান। জুটির হাফসেঞ্চুরি পূরণ হয় ৮.৩ ওভারে। আট ম্যাচ পর ওপেনিং জুটিতে পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের দেখা পায় বাংলাদেশ, মিরপুরের মাঠে ছয় ম্যাচ পর। এ মাঠে জিম্বাবুয়ে বাদে অন্য কোনো দলের বিপক্ষে এটাই প্রথম পঞ্চাশোর্ধ্ব উদ্বোধনী জুটি।

দলীয় ৫৯ রানে ভাঙে ওপেনিং জুটি। হতে পারতো আরও বড়। অফ স্টাম্পের বেশ বাইরে রাখা রাচিন রবীন্দ্রর বল টেনে এনে বোল্ড হয়ে যান লিটন। পরের বলে আগের ম্যাচের উইনিং শট খেলা মুশফিকুর রহিমকেও তুলে নেন রবীন্দ্র। স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন এ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।

পরপর দুই বলে উইকেট হারানো বাংলাদেশকে চাপমুক্ত করতেই হয়তো উইকেটে নেমেই আগ্রাসী ঢঙে খেলার চেষ্টা করেন সাকিব আল হাসান। প্রথম ছয় বলে ১২ রান তুলে নেওয়া এ বাঁহাতি তারকা আউট হন ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে। যদিও তার ক্যাচ হাত থেকে প্রায় ফসকেই গিয়েছিল অভিষিক্ত বেন সিয়ার্সের। তবে দ্বিতীয় দফায় লুফে নেন এ পেসার। বাংলাদেশের রান তখন ৩ উইকেটে ৭২।

এরপর নাঈমকে নিয়ে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। ৩৪ রানের জুটিও গড়েন। লং অনের উপর দিয়ে শট খেলতে গিয়ে রবীন্দ্রর তৃতীয় শিকারে পরিণত হন নাঈম। এরপর খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি আফিফ হোসেনও। ফলে কিছুটা চাপে পড়ে বাংলাদেশ।

আফিফের বিদায়ের পর ষষ্ঠ উইকেটে নুরুল হোসেন সোহানকে নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন মাহমুদউল্লাহ। ইনিংসের শেষ বলে উইল ইয়াংয়ের অসাধারণ এক ক্যাচে আউট হন সোহান। তবে এর আগে ৩২ রানের দারুণ এক জুটিতে দলকে লড়াকু পুঁজি এনে দেন তারা।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন নাঈম। ৩৯ বলে ৩টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ৩৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। ৩২ বলে ৫টি চারে ইনিংস সাজান তিনি। ২৯ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩৩ রান আসে লিটনের ব্যাট থেকে। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ২২ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নেন রবীন্দ্র।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৪১/৬ (নাঈম ৩৯, লিটন ৩৩, মুশফিক ০, সাকিব ১২, মাহমুদউল্লাহ ৩৭*, আফিফ ৩, সোহান ১৩; প্যাটেল ১/২০, ম্যাককনকি ১/২৪, বেনেট ১/৩২, ব্রেসওয়েল ০/৩০, রবীন্দ্র ৩/২২, সিয়ার্স ০/১১)।

Comments