পেসারদের উন্নতিতে গণমাধ্যমের অবদানও দেখছেন মুমিনুল!

Ebadat Hossain
চমকে দেওয়া উন্নতি বাংলাদেশের পেসারদের।

২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে কোনো পেসারই একাদশে রাখেনি বাংলাদেশ। স্পিন নির্ভর দলের বিপক্ষে স্পিন উইকেট বানানো এবং পেসার না রাখা নিয়ে সেসময়কার অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে প্রশ্ন করা হয়েছিল সংবাদ সম্মেলনে। সাকিব জানিয়েছিলেন, মানসম্মত না হওয়ায় শুধু শুধু পেসার খেলানো দরকার মনে করছেন না তারা। ঘরের মাঠে সেসময় প্রায়ই পেসার ছাড়া কিংবা এক পেসার নিয়ে খেলেছে বাংলাদেশ। পেসারদের না রাখা নিয়ে গণমাধ্যমেও বারবারই উঠেছে প্রশ্ন। মুমিনুল হক মনে করেন, সেই চাপে একাদশে নিয়মিত হয়েছেন পেসাররা। পেসারদের উন্নতির পেছনে গণমাধ্যমের ভূমিকার কথাও তুলে ধরেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

উপমহাদেশের বাইরে টেস্ট ম্যাচ জিততে হলে পেসারদের ভূমিকা সবচেয়ে জরুরি। এমনকি ঘরের মাঠেও পেসাররা হতে পারেন ম্যাচ উইনার। কিন্তু বাংলাদেশ পেসারদের প্রতি ছিল বিমাতাসুলভ। যার ফল ইতিবাচকও হয়নি। আফগানিস্তান টেস্টের উদাহরণের কথা এসেছে আগে। সেই টেস্টে পেসারবিহীন একাদশ বানিয়ে বাংলাদেশ খেলেছিল টার্নিং উইকেটে।

আফগানিস্তানের স্পিনাররা আরও ভালো মানের হওয়ায় বৃষ্টি বাধার পরও হারের বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছিল। পেসারদের একাদশে না রাখা নিয়ে এরপর আলোচনার উত্তাপ আরও চড়া হয়েছিল তখন।

পেসাররা অধারাবাহিক থাকলেও এরপর পেসারদের সুযোগ দিয়ে এসেছে বাংলাদেশ। যার ফল মিলল এতদিনে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ে ২০ উইকেটের ১৩টি নেন পেসাররা, স্পিনাররা পান ৬ উইকেট। ৪৬ রানে ৬ উইকেট নিয়ে ম্যাচ জয়ের নায়কও পেসার ইবাদত হোসেন।

ম্যাচ শেষে কথা বলতে এসে মুমিনুল জানান, পেসারদের উপর ছিল তাদের আস্থা। আর সেই আস্থার জায়গা তৈরি হয়েছে গণমাধ্যমের চাপেই,  'আমার মনে হয়, এই ক্ষেত্রে আপনাদের বিরাট ভূমিকা রয়েছে। এই কারণে বলছি, আমরা যখন পেস বোলার খেলাতাম না, তখন আপনারা অনেক বেশি প্রশ্ন করতেন, কেন খেলান না। দেশের বাইরে খেলাতাম, দেশে খেলাতাম না, তখন প্রশ্ন করতেন কেন দেশে খেলান না। তো দেশের ভেতরে খেলতে খেলতে পেস বোলাররা অনেক বেশি পরিপক্ব হয়েছে। এটা আপনাদেরও সাধুবাদ দেওয়া উচিত।'

'আপনারা সারাদিন আমাকে পুশ করতেন কেন পেস বোলার খেলান না দেশে-দেশের বাইরে। এটা ছিল কমন প্রশ্ন। টেস্ট বোলাররা যত ম্যাচ খেলবে, অনেক পরিপক্ব হবে।'

ক্যারিয়ারের শুরু থেকে ১০ টেস্ট পর্যন্ত গড়পড়তা ছিলেন ইবাদত। গড়-স্ট্রাইক রেট ছিল হতশ্রী। তিনি কতটা কার্যকর হতে পারবেন তা নিয়ে ছিল প্রশ্ন। কিন্তু সেই ইবাদতই নিজেকে একদম বদলে ফেললেন। মাউন্ট মঙ্গানুইতে যেরকম স্কিল দেখিয়েছেন তা তাক লাগিয়েছে অনেককে। এই উন্নতির পেছনে টানা খেলা আর পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসনের অবদান দেখছেন মুমিনুল, 'ও টানা কয়েকটা টেস্ট খেলেছে। এটা একটা কারণ। ও নিজে বলতে পারবে কীসে উন্নতি। আমার মনে হয়, বোলিং কোচের এখানে বড় অবদান আছে।'

 

 

Comments

The Daily Star  | English

Nation mourns lost children

The death toll from the jet crash at Milestone School and College rose to 32 yesterday, as the nation reeled from shock and grief following the country’s deadliest aviation tragedy in years.

8h ago