কনওয়ের চওড়া ব্যাটে বাংলাদেশের হতাশার সেশন
দিনের শুরুতে পেসাররা দেখিয়েছিলেন ঝলক। কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের। উইকেট যদিও পড়েছিল কেবল একটি, তবু সুযোগ তৈরির আভাস মিলছিল অনেক। তবে শুরুর সেই ঝাপ্টা সামলে নিউজিল্যান্ড আছে বড় রানের পথে। ডেভন কনওয়ের সঙ্গে বড় জুটি গড়ে উইল ইয়ং রান আউটে ফিরলেও কনওয়ে বাড়াচ্ছেন মুমিনুল হকদের দুশ্চিন্তা।
শনিবার মাউন্ট মাঙ্গানুই টেস্টে প্রথম দিনের চা বিরতি পর্যন্ত ৫৪ ওভারে কিউইরা তুলেছে ২ উইকেটে ১৪৭ রান।
১ রানে প্রথম উইকেট পড়ার পর দ্বিতীয় উইকেটে ১৩৮ রান যোগ করেন কনওয়ে- ইয়ং। ৫২ করে ইয়ং বিদায় নিলেও কনওয়ে ব্যাট করছেন ৮৮ রানে। দ্বিতীয় সেশনে ২৭ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে আরও ৮১ রান যোগ করে স্বাগতিকরা।
অথচ প্রথম ঘণ্টায় ম্যাচে দাপট ছিল বাংলাদেশের। তাসকিন ইসলাম-শরিফুল ইসলামদের ঝাঁজে ১৩ ওভারে কিউইরা নিতে পেরেছিল মাত্র ১৫ রান। তাসকিন শুরুতেই বাউন্স-মুভমেন্টে কাঁপিয়ে দেন। তবে সাফল্য আসে শরিফুলের হাত ধরে। বাঁহাতি এই পেসার দুই দিকেই বল মুভ করাচ্ছিলেন।
চতুর্থ ওভারে কিউই কাপ্তান টম ল্যাথাম তার মুভমেন্টে পরাস্ত হয়ে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। বাম দিকে ঝাঁপিয়ে দুর্দান্ত ক্যাচ হাতে জমান লিটন দাস।
কনওয়েকেও এরপর দ্রুতই ফিরিয়ে দিতে পারতেন শরিফুল। ভেতরে ঢোকা বলে পরাস্ত হয়ে প্যাডে লাগান কনওয়ে। আম্পায়ার জোরালো আবেদন নাকচ করার পর রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। কিন্তু বল ট্রেকিং প্রযুক্তিতে দেখা যায় আম্পায়ার্স কলে বেঁচে যান কনওয়ে।
পেসাররা চাপ বহালই রাখছিলেন। তাসকিন তার প্রথম ৫ ওভারে দেন মাত্র ১ রান। তিনি সরে যাওয়ার পর ইবাদত হোসেন এসে আর সেই চাপ রাখতে পারেননি। ফুললেন্থে বল ফেললেও বাকি দুজনের মতো কোন মুভমেন্ট আদায় করতে পারছিলেন না। তার বল খেলা তাই সহজ হয়ে যায় ব্যাটসম্যানদের।
প্রথম ঘন্টার পর তাসকিন-শরিফুলের বল থেকেও বেরুতে থাকে রান। নিউজিল্যান্ড পেয়ে যায় স্বস্তির সময়।
লাঞ্চের পর ফিরে খেলা অনেক সহজ হয়ে যায় কিউইদের। কনওয়ে মেলতে থাকেন ডানা। ইয়ং দেন যোগ্য সঙ্গ। বাংলাদেশের বোলাররা আর কোন চাপই বাড়তে পারেননি।
বড় জুটির পর দ্রুত এক রানের চিন্তায় উইকেট পড়ে নিউজিল্যান্ডের। অন সাইডে ঠেলে প্রান্ত বদল করতে চেয়েছিলেন ইয়ং। নাজমুল হোসেন শান্তর ক্ষিপ্র থ্রো ধরে দ্রুত স্টাম্প ভেঙ্গে দেন লিটন।
এরপর কনওয়ের সঙ্গে মিলে সেশনের বাকিটা সময় পার করে দেন শেষ টেস্ট সিরিজ খেলতে নামা অভিজ্ঞ রস টেইলর।
Comments