আজ মুক্তি পাবেন ৮ জিম্মি ও ১১০ ফিলিস্তিনি বন্দি
৪২ দিনের যুদ্ধবিরতির মাঝে তৃতীয় বারের মতো ইসরায়েল-হামাস জিম্মি ও বন্দি বিনিময় করতে যাচ্ছে। আজ দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতে মুক্তি পাবেন হামাসের হাতে আটক তিন ইসরায়েলি ও পাঁচ থাই নাগরিক। পাশাপাশি মুক্তি পাবেন বিভিন্ন ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি ১১০ জিম্মি।
আজ বৃহস্পতিবারের এই বিনিময়ের বিষয়টি জানিয়েছে এএফপি।
এই সপ্তাহান্তেই চতুর্থ দফায় জিম্মি-বন্দি বিনিময় হতে পারে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
তবে বুধবার হামাস অভিযোগ করেছে, ইসরায়েল শর্ত অনুযায়ী গাজায় ত্রাণ প্রবেশ করতে দিচ্ছে না, যা যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে।
যথারীতি, ইসরায়েল এই অভিযোগকে 'ভুয়া খবর' বলে উড়িয়ে দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে মুক্তি পেতে যাওয়া তিন ইসরায়েলির নাম জানানো হয়েছে। তারা হলেন আরবেল ইয়েহুদ, আগাম বার্জার ও গাদি মোজেস। সঙ্গে মুক্তি পাবেন আরও পাঁচ থাই নাগরিক। তারা সবাই ২০২৩ এর অক্টোবর থেকে গাজায় আটক আছেন।
১৯ জানুয়ারি থেকে চলছে গাজায় যুদ্ধবিরতি। এই যুদ্ধবিরতি অনেকাংশেই নির্ভর করছে হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের মুক্তির ওপর। সব জিম্মি মুক্তি পেলে একইসঙ্গে ছাড়া পাবেন এক হাজার ৯০০ ফিলিস্তিনি বন্দি।
এখন পর্যন্ত হামাস সাত জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে। বিনিময়ে মুক্তি পেয়েছেন ২৯০ ফিলিস্তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার মুক্তি পেতে যাওয়া ১১০ ফিলিস্তিনির মধ্যে ৩০ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক। এই তথ্য জানিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রিজনার্স ক্লাব নামের সংস্থা।
শনিবারে পরবর্তী দফায় আরও তিন ইসরায়েলি পুরুষ মুক্তি পাবে বলে জানিয়েছে নেতানিয়াহুর কার্যালয়।
ত্রাণ বিতরণ নিয়ে অভিযোগ
হামাসের দুই শীর্ষ কর্মকর্তা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ত্রাণ বিতরণে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন। এক কর্মকর্তা জানান, গাজার ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য যেসব উপকরণ জরুরি, সেগুলো ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। উদাহরণ হিসেবে তিনি জ্বালানি তেল, তাঁবু, ভারী যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য উপকরণ।
এক কর্মকর্তা জানান, 'চুক্তি অনুযায়ী প্রথম সপ্তাহেই এসব উপকরণ গাজায় প্রবেশ করার কথা'।
হুশিয়ারি দিয়ে কর্মকর্তা বলেন, 'জরুরি উপকরণ পাওয়ার ক্ষেত্রে যদি এভাবে বিলম্ব ও ব্যর্থতা অব্যাহত থাকে, তাহলে তা যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময়ের চুক্তিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।'
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোগ্যাট নামের সংস্থাটি ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের বেসামরিক কার্যক্রমের দেখভাল করে। কোগ্যাটের এক মুখপাত্র এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন 'এটা পুরোপুরি ভুয়া খবর'।
মুখপাত্র দাবি করেন, রোববার থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত গাজায় 'তিন হাজার ট্রাক' প্রবেশ করেছে।
'চুক্তি মতে, সাত দিনে চার হাজার ২০০ ট্রাক প্রবেশের কথা', যোগ করেন তিনি।
কাতার, মিশর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় তৈরি যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিস্তারিত গণমাধ্যমের কাছে প্রকাশ করা হয়নি। যার ফলে এএফপি নিরপেক্ষভাবে দুই পক্ষের সব দাবি যাচাই করতে পারেনি।
Comments