গাজার ত্রাণকেন্দ্রে গুলিতে নিহত ৩১, অভিযোগ অস্বীকার করল ইসরায়েল

রোববার দক্ষিণ গাজায় একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে বন্দুক হামলার ঘটনায় ৩১ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৬৯ জন।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য দপ্তর ও রেড ক্রসের ফিল্ড হাসপাতাল এ তথ্য জানিয়েছে।
স্বাস্থ্য দপ্তরের অভিযোগ, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফের সদস্যরা ত্রাণ নিতে আসা নিরপরাধ ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালিয়েছে। কিন্তু ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
জাতিসংঘ আগেই জানিয়েছিল, ১১ সপ্তাহ ধরে ইসরায়েল ত্রাণ নিয়ে ঢুকতে বাধা দেওয়ার ফলে গাজার ২০ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের ঝুঁকির মুখে দাঁড়িয়ে আছে।
ফিলিস্তিনের দাবি

ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, রাফার আল-আলম জেলার ত্রাণ সরবরাহ কেন্দ্রে আইডিএফের সদস্যরা গুলি চালায়। এই ঘটনায় ৩১ ফিলিস্তিনি নিহত হন। তাদের মাথায় বা বুকে বুলেটের আঘাত দেখা গেছে বলেও দাবি করেছে স্বাস্থ্য দপ্তর।
স্থানীয় বাসিন্দা ও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, রাফার ত্রাণকেন্দ্রে আসা ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক থেকেও গুলি চালানো হয়।
রেড ক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটি জানিয়েছে, রাফার হাসপাতালে ১৭৯ জন গুলি বা বোমার আঘাত নিয়ে ভর্তি হয়েছে।
'আহতরা সবাই জানিয়েছেন তারা ত্রাণকেন্দ্রে যাচ্ছিলেন। এক বছর আগে স্থাপিত ওই হাসপাতালে এই প্রথম একসঙ্গে এত জন মানুষ আহত হয়ে ভর্তি হলেন', যোগ করে রেড ক্রস।
আইডিএফের অস্বীকার

আইডিএফ অবশ্য এসব দাবি অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, ওই অঞ্চলে সেনা সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি।
একই সঙ্গে, ইসরায়েল সমর্থিত ত্রাণ সংস্থা গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন বা জিএইচএফও এই দাবি অস্বীকার করেছেন।
তারা জানিয়েছে, রোববার রাফার ত্রাণ কেন্দ্র থেকে খাবার সরবরাহ করা হয়েছে। সেখানে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
দাবির সমর্থনে জিএইচএফ একটি তারিখবিহীন ভিডিও প্রকাশ করে। এতে দেখা যায় বহু মানুষ ত্রাণ কেন্দ্রে অপেক্ষা করছেন।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ওই ভিডিওর সত্যতা বা তারিখ যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
এর আগেই জাতিসংঘ জানিয়েছিল ১১ সপ্তাহ ধরে ইসরায়েল ত্রাণ নিয়ে ঢুকতে বাধা দেওয়ার জন্য গাজার ২০ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের ঝুঁকির মুখে দাঁড়িয়ে আছে। গত সপ্তাহ থেকে ত্রাণ সরবরাহ শুরু করে জিএইচএফ। আরো ত্রাণ সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সংস্থাটি।
আইডিএফ জানিয়েছে, জিএইচএফ এখনো পর্যন্ত চারটি ত্রাণ কেন্দ্র খুলেছে।
এপি, এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স
Comments