ত্রাণকেন্দ্রে ৩১ ফিলিস্তিনি নিহতের ঘটনার ‘নিরপেক্ষ’ তদন্তের দাবি জাতিসংঘের

antonio guteres
আন্তোনিও গুতেরেস

গাজায় যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে পরিচালিত ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের সামনে বন্দুক হামলায় অন্তত ৩১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

আজ সোমবার এএফপি এই তথ্য জানিয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য দপ্তর এই ঘটনার জন্য ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীকে (আইডিএফ) দায়ী করেছে।

এক বিবৃতিতে গুতেরেস বলেন, 'গতকাল গাজায় ত্রাণ সংগ্রহ করতে আসা ফিলিস্তিনিদের হতাহতের খবর শুনে আমি স্তম্ভিত হয়েছি। এটা একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না যে ফিলিস্তিনিরা খাবারের জন্য তাদের জীবনকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিতে বাধ্য হচ্ছেন।'

'আমি এসব ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে জবাবদিহির আওতায় আনার জন্য অবিলম্বে নিরপেক্ষ তদন্ত প্রক্রিয়া চালানোর দাবি জানাচ্ছি', যোগ করেন তিনি।

গাজার স্বাস্থ্য দপ্তরের অভিযোগ, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফের সদস্যরা ত্রাণ নিতে আসা নিরপরাধ ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালিয়েছে। কিন্তু ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, রাফার আল-আলম জেলার ত্রাণ সরবরাহ কেন্দ্রে আইডিএফের সদস্যরা গুলি চালায়। এই ঘটনায় ৩১ ফিলিস্তিনি নিহত হন। তাদের মাথায় বা বুকে বুলেটের আঘাত দেখা গেছে বলেও দাবি করেছে স্বাস্থ্য দপ্তর।

আইডিএফ অবশ্য এসব দাবি অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, ওই অঞ্চলে সেনা সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি।

গাজার জাবালিয়ায় একটি লঙ্গরখানা থেকে শরণার্থীদের খাবার দেওয়া হচ্ছে। ছবি: এএফপি
গাজার জাবালিয়ায় একটি লঙ্গরখানা থেকে শরণার্থীদের খাবার দেওয়া হচ্ছে। ছবি: এএফপি

একই সঙ্গে, ইসরায়েল সমর্থিত ত্রাণ সংস্থা গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন বা জিএইচএফও এই দাবি অস্বীকার করেছেন।

তারা জানিয়েছে, রোববার রাফার ত্রাণ কেন্দ্র থেকে খাবার সরবরাহ করা হয়েছে। সেখানে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

দাবির সমর্থনে জিএইচএফ একটি তারিখবিহীন ভিডিও প্রকাশ করে। এতে দেখা যায় বহু মানুষ ত্রাণ কেন্দ্রে অপেক্ষা করছেন।

 

Comments

The Daily Star  | English

Record toll collection on Padma and Jamuna bridges

Padma Bridge generated a record toll revenue of Tk 54.32 crore, while Jamuna Tk 41.81 crore

1h ago