যা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদায় স্বীকৃত ও বিশ্বজুড়ে বন্দিত। দেশের এই শক্তি-অনন্য বৈশিষ্ট্য আমরা জাহানারা ইমামের মধ্যেও প্রবলভাবে দেখতে পাই।
আমাদের বিশ্বাসকে অমূলক ও অসার প্রমাণ করে অসাধ্য এক কর্মযজ্ঞ সম্পন্ন করেছেন মশিউল আলম। প্রকাশ করেছেন পত্রিকাটির দস্তইয়েফ্স্কি সংখ্যা।
এই শহর-এই দেশে, আমরা যারা বেঁচে আছি ধ্রুব এষ-এর সময়ে আমাদের কতোই না সৌভাগ্য যে আমরা এরকম একজন মানুষকে চোখের সম্মুখে কিংবা কিছুটা আড়ালে আবডালে নাজেল হতে দেখছি।
জসীম উদদীনকে বাঙালির-আকাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশের অপর নাম বলায় সঙ্গত ও যুক্তিযুক্ত। কারণ, তিনি বাঙালি সংস্কৃতির আদি ও অকৃত্রিম রূপটাই তুলে ধরেছেন সৃজনশৈলীতে।
অসাম্প্রদায়িকতার মূল্যায়নপূর্বক অতীতের আলোয় নিজেদের বর্তমানকে সমৃদ্ধ করা; অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যতকে একসূত্রে গেঁথে বাঙালিত্বের গৌরবের ডালিতে তাকে মহিমা ও মর্যাদা দান করা। যা হয়নি আজও
প্রশ্ন হল, বৌদ্ধিকতায় সেই পরম্পরা কি প্রবহমান রয়েছে? মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, আবুল মনসুর আহমদ, হাসান হাফিজুর রহমানের মতো বুদ্ধিজীবীদের উত্তরসূরি তৈরি হয়েছে?
আমরা মনে করি, সাংবাদিক মোনাজাতের ক্ষেত্রে যে ধর্ম পালন করেছে রাষ্ট্র, কার্টুনিস্ট কুদ্দুসের ক্ষেত্রেও একই ধর্ম পালন করা রাষ্ট্রের কেবল দায় নয়, কর্তব্যও বটে।
বাঙালি মুসলমান ঘরের নারীমাত্রই তখন অন্তঃপুরে আবদ্ধ। বাইরে বেরোনোর কোন অধিকার নেই, প্রত্যাশাও করেন না। প্রকৃতি-পরিবেশ-প্রতিবেশ বলতে কিছুই বোঝে না।
যখন কবির দরবারে হাজির হই ঘড়ির কাঁটা মধ্যাহ্নে। কবি থাকেন রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় একটি হোটেলে। সেখানেই দীর্ঘদিনের আবাসন-ঘর-সংসার একাকী জীবন এবং কবিতাযাপন।
এই রাষ্ট্র কবে বুঝবে রাধাপদর ওপর আঘাত কেবল একজন ব্যক্তিকে অবমাননা বা আঘাত নয়, এ আঘাত রাষ্ট্রের হৃদয়ের ওপর, বাঙালিত্ব ও বাঙালি সংস্কৃতির ওপর।
সৈয়দ হকের বিশাল সৃজনসম্ভারকে আমরা অবলোকন-বিশ্লেষণ-ব্যাখ্যা করলে তো বটেই, তার এই সিগনেচার রাইটিংসের আলোকে আমরা বলতে পারি, তিনি ছিলেন সব্যসাচী এক গল্পকার।
যিনি ছিলেন প্রখ্যাত কবি, প্রাবন্ধিক, গবেষক ও গীত রচয়িতা। যশস্বী হয়েছিলেন অধ্যাপনায়, বাগ্মিতায়, উপস্থাপনায় ও প্রশাসকরূপে।
সেই পরম বন্ধুর ৮০ বছরের ইহজাগতিক পরিভ্রমণ শেষ হল শনিবার, ভারতের রাজধানী দিল্লীতে। গীতা মেহতা খ্যাতিমান ছিলেন জনপ্রিয় ও দায়িত্বশীল একজন সাহিত্যিক হিসেবে।
যে হেমেন্দ্রনাথ দত্তের সঙ্গে মতবিরোধের কারণে আবুল মনসুর আহমদ ‘কৃষক’ ছেড়েছিলেন। আকস্মিকভাবে তিনি আবার ‘ম্যানেজিং ডিরেক্টর রূপে ‘নবযুগে’ আবির্ভূত হন।
তিনি বিশ্বাস করতেন প্রকৃতির যে শিক্ষা বহুর মধ্যে ঐক্য এই মন্ত্রে নিষ্ঠাবান হলেই আমরা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পোঁছতে পারব। যার মধ্যে দিয়ে সার্থক হবে দেশপ্রেম, মানবহিতৈষণা, জাতীয়তাবাদ এবং নৈতিক ও...
রুদ্রর কবি প্রতিভার সহজাত বৈশিষ্ট্য হল তিনি কবিতায় প্রশ্ন জারি রেখেছিলেন নানাভাবে, প্রভূত মাত্রাকে অবলম্বিত করে। না, এই প্রশ্ন পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের মতো প্রশ্ন না করেও যে প্রশ্ন করা যায় তার সবিশেষ...
দেশে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ক্রম বর্ধিষ্ণু, ঝাঁকের কৈ-এর মতো বাড়ছে এর সংখ্যা। উচ্চশিক্ষায়, বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে শিক্ষার্থীরা পাঠ নিচ্ছেন এ বিষয়ে। এসবই আশাবাদের জায়গা। সেই আশাবাদকে আরও বৃহত্তর...
বিশেষভাবে উল্লেখ করা প্রয়োজন, শুধু ‘নজরুল রচনাবলী’ সম্পাদনা নয়, নজরুলকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে চর্চায় এবং নজরুলকেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠান নির্মাণে যারা সর্বাগ্রে স্বপ্ন দেখেছিলেন-নানামুখী চেষ্টায় নিমগ্ন...