মা-মেয়েকে মুক্তি দিয়ে যে বার্তা দিল হামাস

মার্কিন দুই নাগরিক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলছেন। তারা হামাসের হাতে জিম্মি হয়েছিলেন। পরবর্তীতে কাতারের মধ্যস্থতায় ২১ অক্টোবর অজ্ঞাত স্থান থেকে তারা মুক্তি পান। একটি তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমের ছবিটি রয়টার্সের হাতে আসে।

জিম্মি করে রাখা দুই মার্কিন নাগরিককে মুক্তি দিয়েছে হামাস।

তারা হলেন—জুডিথ রানান (৫৯) ও তার মেয়ে নাতালি রানান (১৭)।

আজ শনিবার বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলে হামলার পর যে ২০০ জনকে জিম্মি করা হয়েছে, তাদের মধ্যে এই প্রথম দুইজনকে মুক্তি দিলো হামাস।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই মার্কিন নাগরিককে মুক্তি দেওয়ার পর হামাস বলেছে, 'কাতারের প্রচেষ্টার প্রতিক্রিয়ায় "মানবিক কারণে" জিম্মি দুই মার্কিন নাগরিককে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।'

এর আগে হামাস জিম্মি 'বিদেশি' নাগরিকদের 'অতিথি' হিসেবে উল্লেখ করে জানিয়েছিল, উপযুক্ত পরিস্থিতি তৈরি হলে তাদের মুক্তি দেওয়া হবে। কিন্তু শুধু বিদেশিদের নাকি ইসরায়েলিদেরও মুক্তি দেওয়া হবে, সেই বিষয়ে হামাস নির্দিষ্ট করে কিছু বলেনি।

হামাসের হাতে জিম্মি মার্কিন দুই নাগরিক ২১ অক্টোবর অজ্ঞাত স্থান থেকে মুক্তি পান। ছবি: রয়টার্স

সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, দুই মার্কিন নাগরিককে মুক্তি দেওয়ার ঘটনাটি 'প্রথম পদক্ষেপ'। আরও অনেকের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা চলছে।

হামাস দুই মার্কিন নাগরিককে মুক্তি দেওয়ার পর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, জিম্মি বাকিদের উদ্ধারে তাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। একইসঙ্গে 'জয়ের আগ পর্যন্ত' ইসরায়েলি বাহিনী তাদের যুদ্ধ চালিয়ে যাবে।

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই মার্কিন নাগরিককে মুক্তি দেওয়ার উদ্যোগের প্রশংসা করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য জিম্মিদের মুক্তির প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।

দুই মার্কিন নাগরিককে মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি ঘোষণা করেন হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবাইদা। এর কিছুক্ষণ পরেই নেতানিয়াহু এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার বিমান হামলায় চার হাজার ১৩৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত ১৩ হাজারের বেশি মানুষ।

নিহতদের মধ্যে শিশু এক হাজার ৫২৪, আর নারী এক হাজারের বেশি। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ১১ সাংবাদিকও। এ ছাড়া, পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের হামলায় বৃহস্পতিবার পাঁচ শিশুসহ ১৩ জন নিহত হয়েছেন।

ইসরায়েল বলছে, হামাসের হামলায় এক হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত চার হাজার ৬২৯ জন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৩৬৩ জন সেনা ও পুলিশ সদস্য।

Comments

The Daily Star  | English

Teknaf customs in limbo as 19 mt of rice, authorised by AA, reaches port

The consignment of rice weighing 19 metric tonnes arrived at Teknaf land port on Tuesday evening with the documents sealed and signed by the Arakan Army

6h ago