স্বাধীন ফিলিস্তিনের সমর্থক ভারত যেভাবে ইসরায়েলের ‘বন্ধু’ হলো

নরেন্দ্র মোদি ও বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু। ছবি: সংগৃহীত

হামাসের হামলার পর ইসরায়লের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্ররা। যেসব দেশ ইসরায়েলের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তার মধ্যে আছে ভারতও। ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন জানিয়ে গত ৪ দিনে ২ বার টুইট করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

গত শনিবার ইসরায়েলে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা চালায় ফিলিস্তিনের সংগঠন হামাস। গণমাধ্যমে এই খবর আসার পর মোদি টুইট করে বলেন, 'ইসরায়েলে সন্ত্রাসী হামলার খবরে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। হামলায় যেসব নিরীহ মানুষ নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি এবং আমাদের প্রার্থনা তাদের সঙ্গে রয়েছে। এই কঠিন সময়ে আমরা ইসরায়েলের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছি।'

গতকাল মঙ্গলবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন নরেন্দ্র মোদি। টুইট করে এই খবর জানিয়ে মোদি বলেন, 'ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী আমাকে ফোন করে সেখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে জানিয়েছেন। পরিস্থিতি সম্পর্কে জানানোর জন্য আমি নেতানিয়াহুকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। তাকে বলেছি, এই কঠিন সময়ে ভারতবাসী দৃঢ়ভাবে ইসরায়েলের পাশে রয়েছে। ভারত দ্ব্যর্থহীন ভাষায় সমস্ত ধরনের সন্ত্রাসবাদের নিন্দা করছে।'

ভারতের প্রধানমন্ত্রী এখন যেভাবে ইসরায়েলকে সমর্থন জানাচ্ছেন তাতে বোঝা যায়—এক সময় ফিলিস্তিনের মুক্তি সংগ্রামে সমর্থক ভারত আর নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ভারত সম্পূর্ণ আলাদা।

ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার দুই দশক আগে ১৯৩৮ সালে ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধী ফিলিস্তিন সম্পর্কে বলেছিলেন, 'ফিলিস্তিন ঠিক সেভাবেই আরবদের, যেভাবে ইংল্যান্ড ইংরেজদের এবং ফ্রান্স ফরাসিদের।'

স্বাধীন হওয়ার পর থেকে ভারত ইসরায়েলি দখলদারিত্বের বিরোধিতা করেছে এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। তবে ভারতের ভেতরে সক্রিয় হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো সব সময়ই ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।

সময়ের পরিক্রমায় ভারতের মোদি সরকার এখন ইসরায়েলের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে বিবেচিত। ২০১৭ সালে ইসরায়েল সফরে যাওয়ার পর থেকে নেতানিয়াহুর সঙ্গে মোদির সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হতে শুরু করে। বিমানবন্দরে আলিঙ্গন করে মোদিকে 'বন্ধু' বলেও সম্বোধন করেছেন নেতানিয়াহু।

শুরুর দিকের কথা

ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু ইউরোপে নিপীড়নের শিকার ইহুদিদের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন। তবে ফিলিস্তিন সমস্যাকে তিনি জাতীয়তাবাদী সমস্যা হিসেবেই প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করেছিলেন। ফিলিস্তিন তখন ব্রিটিশ শাসনাধীন ছিল। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী জনগণ ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রামের পথ বেছে নিলেও ইহুদিরা নিজেদের নিরাপত্তার জন্য ব্রিটেনের পক্ষ নেয়।

ভারত স্বাধীন হওয়ার আগে ও পরে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার প্রশ্নে ভারতের সমর্থন ছিল দ্ব্যর্থহীন। ফিলিস্তিন নিয়ে জাতিসংঘের বিশেষ কমিটির নির্বাচিত সদস্য ছিল ভারত। ফিলিস্তিনিদের ভূখণ্ডে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে ১৯৪৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জাতিসংঘে যে ১৩টি দেশ বিপক্ষে ভোট দিয়েছিল তার মধ্যে ছিল ভারত।

জাতিসংঘে ভারতের তৎকালীন প্রতিনিধি স্যার আব্দুর রহমান বলেছিলেন, ফিলিস্তিনের জনগণ আজ এমন এক পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে যখন তাদের স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে আর বিলম্ব করা যায় না। ফিলিস্তিনিরা এশিয়ার অন্যান্য স্বাধীন দেশের তুলনায় কোনো অংশেই পিছিয়ে নেই।

তিনি আরও বলেন, ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে ব্যর্থ হলে ওই অঞ্চলে দীর্ঘস্থায়ী সংঘাত তৈরি হবে।

বিশ্বের শক্তিধর বিভিন্ন দেশ ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়ার পর ১৯৫০ সালে ভারত এক প্রকার বাধ্য হয়েই দেশটিকে স্বীকৃতি দেয়। এর পর যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে চলা স্নায়ুযুদ্ধের পুরো সময়টা ভারত মস্কোর পক্ষে ছিল। জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের অগ্রভাগে থাকায় আরব মিত্রদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার নীতি ছিল নয়াদিল্লির।

মিসর ১৯৫৬ সালে ব্রিটেন ও ফ্রান্সের হাত থেকে সুয়েজ খালের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর সংঘাতে জড়ায় ইসরায়েল। সে সময় ভারত সরকার মিসর ও জামাল আবদেল নাসেরকে সমর্থন দেয়। ১৯৭৪ সালে, ফিলিস্তিনি জনগণের একমাত্র ও বৈধ প্রতিনিধিত্বকারী হিসেবে প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনকে (পিএলও) স্বীকৃতি দেয় ভারত। আরব বিশ্বের বাইরে পিএলওকে স্বীকৃতি দেওয়া প্রথম দেশ ছিল ভারত। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা সংগ্রামের স্বীকৃতি হিসেবে ভারত সরকার ১৯৭৫ সালে পিএলওকে নয়াদিল্লিতে কার্যালয় খোলার অনুমতি দেয়। ১৯৮৮ সালে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয় ভারত এবং ১৯৯৬ সালে ফিলিস্তিনে কূটনৈতিক কার্যক্রম শুরু করে।

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন

সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের সঙ্গে সঙ্গে ইতিহাসের বাঁক বদল ঘটে। ভারতও অর্থনৈতিক উদারীকরণের পথ নিয়ে বিশ্বজুড়ে নতুন মিত্রদের খোঁজ শুরু করে। ১৯৯২ সালে প্রধানমন্ত্রী পিভি নরসিমা রাওয়ের নেতৃত্বে ইসরায়েলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে ভারত। তবে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার প্রশ্নে ভারত তখনও বিচ্যুত হয়নি। অর্থনৈতিক স্বার্থে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গেও ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক রক্ষা করে চলে নয়াদিল্লি।

২০২০-২১ অর্থবছরে ভারতের সঙ্গে ইসরায়েলের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৪ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলার। ভারতের প্রধান বাণিজ্য অংশীদার দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষ ২৫ এ-ও ইসরায়েলের অবস্থান নেই। সেই তুলনায় রাজনৈতিক ও কৌশলগত দিক থেকে ইসরায়েলকে এখন অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করছে ভারত।

২০২০ সালের ডিসেম্বরে স্বাস্থ্যসেবা এবং ওষুধের ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তি করে ভারত। কোভিড-১৯ মহামারির সময় ভারতীয় এবং ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ 'র‍্যাপিড টেস্ট কিট' তৈরি করতে একসঙ্গে কাজ করেছে। ২০২১ সালের মার্চে ভারতের ওষুধ কোম্পানি প্রেমাস বায়োটেক এবং ইসরায়েলের ওরামেড যৌথভাবে একটি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন তৈরির ঘোষণা দেয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, সাংস্কৃতিক বিনিময়, পর্যটন এবং মানুষে মানুষে যোগাযোগ বাড়াতেও ভারত ও ইসরায়েলকে উদ্যোগ নিতে দেখা গেছে।

বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ২০১৮ সালে ভারত সফরে এসে মুম্বাইতে 'শালোম বলিউড' শীর্ষক একটি ইভেন্টে যোগ দেন। বলিউডের বেশ কয়েকজন তারকা এতে অংশ নেন। এক বছর পরে, ইসরায়েলে চিত্রায়িত প্রথম বলিউড সিনেমা 'ড্রাইভ' নেটফ্লিক্সে মুক্তি পায়।

তবে নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সবসময়ই ভারত ও ইসরায়েলের সম্পর্কের মূল ভিত্তি ছিল এবং এখনও তাতে কোনো পরিবর্তন হয়নি।

ইসরায়েলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৩ দশক আগে ১৯৬২ সালের চীন-ভারত যুদ্ধের সময় ইসরায়েল ভারতকে অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করেছিল। এরপর ভারত ১৯৬৫ সালে এবং ১৯৭১ সালের যুদ্ধেও ইসরায়েলি অস্ত্র ব্যবহার করেছিল। ১৯৬৮ সালে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (র) প্রতিষ্ঠার পর প্রথম গোয়েন্দা প্রধান আরএন কাওকে ইসরায়েলের মোসাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের দায়িত্ব দিয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধী।

রাজনৈতিকভাবে কোনো শর্ত ছাড়াই বিভিন্ন সময় ভারতকে সামরিক সহায়তা দিয়েছে ইসরায়েল। ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধের সময় এরকম একটি পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যায় ভারত। এক বছর আগেই পোখরানে পারমাণবিক বোমা পরীক্ষা করায় ভারতের ওপর সামরিক ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দেয় ক্লিনটন প্রশাসন। তখনও ভারতের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে নিরবতা বজায় রাখে ইসরায়েল। কার্গিল যুদ্ধের সময় অস্ত্র ও নজরদারির প্রযুক্তি দিয়ে ভারতকে সহায়তা করে ইসরায়েল।

ভারত এখন ইসরায়েলি অস্ত্রের সবচেয়ে বড় ক্রেতা। ভারতে অস্ত্র সরবরাহকারী দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে দেশটি। ২০১৫ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ইসরায়েল থেকে অস্ত্র আমদানি ১৭৫ শতাংশ বাড়িয়েছে ভারত। বর্তমানে ভারতে প্রতি বছর প্রায় এক বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র রপ্তানি করে ইসরায়েল। ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা (ডিআরডিও) এবং ইসরায়েলি অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ (আইএআই) এখন ভারতের জন্য 'সারফেস টু এয়ার মিসাইল সিস্টেম' তৈরিতে কাজ করছে।

ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীতে ইসরায়েলি ড্রোন, রাডার সিস্টেম, নজরদারি প্রযুক্তি, বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র যুক্ত হয়েছে। ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে দায়িত্ব দেওয়া বহু পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে ইসরায়েলের ন্যাশনাল পুলিশ একাডেমিতে।

ভারত এতদিন প্রকাশ্যে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের সমর্থন এবং অন্তরালে ইসরায়েলের সঙ্গে সামরিক সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার নীতিতে চললেও ২০০৮ সালে মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলার পর সন্ত্রাসবাদ দমনে ইসরায়েলি কৌশল গ্রহণ করার ঘোষণা দেয় নয়াদিল্লি।

যদিও, মুম্বাই হামলার অনেক আগে থেকেই ইসরায়েলকে সমর্থনে বিজেপির মধ্যে কোনো কুণ্ঠা ছিল না। বিজেপির অটল বিহারী বাজপেয়ী প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় ১৯৯৮ থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ২০০০ সালে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এল কে আদভানি ভারতের প্রথম কোনো মন্ত্রী হিসেবে তেলআবিব সফর করেন। এক বছর পর যশবন্ত সিং ভারতের প্রথম পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দেশটি সফরে যান। ২০০৩ সালে প্রথম ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল শ্যারন ভারত সফর করেন।

মোদির সঙ্গে নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠতার কথা কারও অজানা নয়। ভারত ও ইসরায়েলের দ্বিপাক্ষিক স্বার্থের বাইরেও নেতানিয়াহু-মোদির সম্পর্ককে দুজন ডানপন্থী নেতার ঘনিষ্ঠতা হিসেবে দেখার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। দুজনই নিজেদের দেশকে শত্রু পরিবেষ্ঠিত এবং ইসলামী সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিজেদের অপরিহার্য হিসেবে দেখাতে আগ্রহী।

যেকোনো পরিস্থিতিতে ইসরায়েলকে সমর্থন করে যাওয়ার ব্যাপারে বিজেপির নীতি প্রথম সামনে আসে ২০১৫ সালে। সে বছর ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধ নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে মাত্র ৫টি দেশ ভোটদানে বিরত ছিল। ভারত ছিল এর অন্যতম। ২০১৭ সালে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদি ইসরায়েল সফর করেন। সফরে তিনি ফিলিস্তিনি কোনো প্রতিনিধির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেননি। তখনই বিজেপি সরকার পরিষ্কার ইঙ্গিত দেয় যে তারা কোনো পক্ষে।

হিন্দুত্ববাদ ও ইসরায়েল

হিন্দুত্ববাদীদের মধ্যে ইসরায়েলকে সমর্থনের ইতিহাস বেশ পুরোনো। ভারতে সাম্প্রদায়িকতা ও হিন্দুত্ববাদের জনক হিসেবে যার নাম সবার আগে আসে সেই বিনায়ক দামোদর সাভারকর ১৯২০-এর দশকে লিখেছিলেন, 'ইহুদিবাদীদের স্বপ্ন যদি কখনো বাস্তবায়িত হয়—যদি ফিলিস্তিন একটি ইহুদি রাষ্ট্র হয়ে যায়—এতে আমরা ততটাই আনন্দিত হব যতটা আমাদের ইহুদি বন্ধুরা হবে।'

ইসরায়েলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করতে ১৯৯২ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নরসিমা রাওকে রাজি করাতে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) এর নেতা ভাউরাও দেওরাস।

আরএসএসের বর্তমান নেতা মোহন ভাগবতও বলেছেন, 'চারদিক থেকে শত্রু বেষ্ঠিত থাকার পরও কীভাবে নিজেকে রক্ষা করতে হয় সেটা ইসরায়েলের কাছ থেকে শেখা উচিত ভারতের। ইসরায়েলিদের মতো ঐক্যবদ্ধ না থাকলে একদিন আমাদের জনগণ ও রাজনীতিকদের অনুশোচনা করতে হবে।'

এসবের বিনিময়ে মোদি ও তার সরকারের সব নীতির প্রতি সমর্থন দিয়ে গেছে ইসরায়েল।

 

আল জাজিরা ও টাইমস অব ইন্ডিয়া অবলম্বনে

Comments