ইচ্ছে করলেই আপনি যে-কোনো মানুষের দোষ-ত্রুটি-খুঁত খুঁজে বের করতে পারেন, কারণ কোনো মানুষই নিখুঁত নয়।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ লেখকদের একজন লিও তলস্তয়। তার ব্যাখ্যাটা লক্ষ করুন প্রিয় পাঠক। তিনি নাকি প্রথম পাঠে এন্ডারসনের লেখা বুঝতেই পারেননি!
পরিবার-সমাজ-রাষ্ট্র আমাদের ওপর কিছু দায়িত্ব চাপিয়ে দেয়, সেগুলো পালন করতে গিয়েই আমরা হাঁপিয়ে উঠি এবং অধিকাংশ সময়ই ব্যর্থ হই।
স্বাধীনতার ঘোষণায় যে নীতি, লক্ষ্য ও স্পিরিট আছে আমরা সেখানে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছি। এ স্পিরিট অবৈধ কর্তৃত্বের বিরুদ্ধে। এই স্পিরিট সেই শক্তির বিরুদ্ধে যা মানুষদের তাদের জীবন, স্বাধীনতা, ও সুখ...
‘মানুষ’ হওয়া বলতে কী বোঝায় সে সম্বন্ধেও পরিষ্কার ধারণা নেই আমাদের। পড়াশোনায় ভালো করা, তারপর একটা ‘ভালো’ চাকরি। এই তো? নাকি এরচেয়ে বেশি কিছু আছে?
অলঙ্ঘনীয় অনুশাসনগুলো পালন করতে গিয়ে এসব ধর্মের অধিকাংশ অনুসারী হারিয়ে ফেলেছে দর্শনের মর্মবাণী, হারিয়ে গেছে সরল পথ অসুন্ধানের আকাক্ষা।
স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশকে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছিল। এই শব্দগুলো কি অর্থহীন?
মানুষ যে নানা কারণে অপেক্ষা করে তা তো সত্যি, তিনি কি কেবল সেটিরই রূপায়ন করেছেন? নাকি হাজার বছরের বিবিধ মিথ থেকেও ধারণাটি গ্রহণ করেছেন? বিভিন্ন ধর্মে এবং মিথে কিন্তু এই ব্যাপারটি আছে।
আমাদের বাড়িতে একজন দেহাতি মহিলা ছিল, গৃহকর্মী। তখন অবশ্য গৃহকর্মী শব্দটা চালু হয়নি, আমরা বলতাম - কাজের মানুষ। দীর্ঘদেহী, স্বাস্থ্যবতী, প্রাণবন্ত এবং শক্তিশালী। তার চলাফেরা, কাজকর্ম, কথাবার্তার...
বাজারে যাই, যেতেই হয়– কাঁচাবাজারের কথা বলছি – দেখেশুনে নিজের পছন্দমতো জিনিসপত্র কেনার বাতিক আছে আমার, সেজন্য নিজেই বাজার করতে পছন্দ করি। কিন্তু যতবার যাই ততবার নানা কারণে আমার মন খারাপ হয়ে যায়। তার...
মনে হয়, যেন এক আদিম যুগে ফিরে গেছে দেশ, যখন খাদ্যের সন্ধান ছাড়া মানুষের আর কিছু করার ছিল না। বাজারে গেলে, রাস্তায় বেরুলে মানুষের মুখের দিকে তাকানো যায় না। সেইসব মুখে গভীর বিষাদ ও বিপন্নতা, ক্লান্তি...
অনেকদিন আগের কথা, অন্তত তিরিশ বছর তো হবেই। ছোট্ট একটা ঘরে কয়েকজন তরুণ বসে আছে, অপেক্ষায়। তাদের সবার চোখে ও বুকে লেখক হবার স্বপ্ন। কাজটা সহজ নয়, জানে তারা। জানে এ-ও, খাতার পর খাতা নানারকম লেখা লিখে...
গুন্টার গ্রাসের একটা চমৎকার বই আছে : ‘শো ইওর টাং’ (‘জিভ কাটো লজ্জায়’)। এক বছর কলকাতায় থাকবেন বলে সস্ত্রীক তিনি চলে এসেছিলেন জার্মানি থেকে, কিন্তু সম্ভবত মাস চারেকের মধ্যেই হাঁপিয়ে উঠেছিলেন, ফিরে...
পৃথিবীর নিঃসঙ্গতম মানুষটি মারা গেছেন- এরকম শিরোনামের কোনো খবর দেখলে মনে হওয়ার কথা, বাক্যটি রূপকার্থে বা প্রতীকী অর্থে বলা হয়েছে, যেমনটি বলা হয় কবিতায়। পৃথিবীর সব মানুষই তো কমবেশি নিঃসঙ্গ, কেউ কেউ...
তাঁর বাড়িতে কোনো কারণ ছাড়াই অনেকবার গিয়েছি আমি। একা গিয়েছি, বন্ধুদের সঙ্গে দল-বেঁধে গিয়েছি; নিমন্ত্রিত হয়ে গিয়েছি, আবার বিনা নিমন্ত্রণেও গিয়েছি; সকালে-দুপুরে-বিকেলে এমনকি মধ্যরাতেও তার বাড়িতে হানা...
কোনো এক মার্চের সকাল। গ্রামে গেছি বেড়াতে। সকালে, বেলা বাড়ার আগেই, হাঁটতে বেরিয়েছি। শহরের পার্কে কেডস পরে হাঁটার চেয়ে গ্রামের মেঠোপথে ঘাসের ওপর দিয়ে খালি পায়ে হাঁটার আনন্দ বহুগুণ বেশি। ক্যালেন্ডারে...
নীরবতা নিয়ে কথা বলতে গেলে ব্যবহার করতে হয় শব্দ আর সেই শব্দ ভেঙে দেয় নীরবতাকেই। নীরবতার এই ভেঙে পড়া নিয়ে অস্তিত্ববাদী দার্শনিক সোরেন কিয়ের্কেগাদ হয়তো বিচলিত ছিলেন, কারণ, তার ডায়েরির একটি ভূক্তিতে...
বাসা বদল করেছি। এটা আসলে কোনো খবরই নয়, এই শহরের ভাড়াটিয়ারা নানা কারণে বাসা বদল করেন, আমিও তার ব্যতিক্রম নই। সেই গল্প বলতেও বসিনি আজ, বলবো অন্য কথা। বলবো, দুটো পুরনো বাড়ির গল্প, সেই সঙ্গে পুরনো...