স্বামী হাসান আজাদকে নিয়ে কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিন ঘুরে ঢাকায় ফিরেছেন গতকাল।
বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘর্ষের মধ্যে আগামী শনিবার থেকে টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন দ্বীপের মধ্যে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত...
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সেন্টমার্টিনে দ্বীপে তিন দিনের জন্য পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন।
পর্যটকদের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপে আনা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে বৈরি আবহাওয়া বিরাজ করায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।
মূল ভূখণ্ড থেকে নয় কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই দ্বীপটির জন্য অক্টোবর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সময়কে পর্যটন মৌসুম ধরা হয়। কারণ, এসময় বঙ্গোপসাগর যথেষ্ট শান্ত থাকে, তাই পর্যটকরা নিরাপদে ভ্রমণ করতে পারেন।
প্রায় ১০০-১৫০ পর্যটক স্বেচ্ছায় দ্বীপে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ভরা মৌসুমে পর্যটকরা সেন্টমার্টিনে প্রতিদিন প্রায় তিন হাজার কেজি একবার ব্যবহৃত প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলেন বলে জানিয়েছে কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট এবং পরিবেশ নিয়ে কাজ করে এমন অলাভজনক সংস্থা দ্য আর্থ।
তবে ১৭ পর্যটকসহ স্পিডবোটে থাকা বাকি ২৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোখা ঘণ্টায় ১৪৭ কিলোমিটার বাতাসের গতি নিয়ে সেন্টমার্টিনে আঘাত হেনেছিল।
ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবের পর সেন্টমার্টিনের পরিস্থিতি আজ সোমবার অনেকটাই স্বাভাবিক। তবে শনিবার বিকেল থেকে টেকনাফে বিদ্যুৎ না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছে স্থানীয়রা।
সকাল ১১টার দিকে সেন্টমার্টিনে অবস্থানরত পর্যটন ব্যবসায়ী তৈয়ব উল্লাহ ও তকি উসমানি খোকা দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য জানান।
ঘূর্ণিঝড় মোখা সেন্টমার্টিন দ্বীপে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দ্বীপটিতে কয়েকশ ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে, গাছপালা উপড়ে গেছে।
ক্রেতাদের অভিযোগ, এসব পণ্যের দাম দেড় থেকে ২ গুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন বিক্রেতারা।
‘এখন বাইরে বের হয়ে দাঁড়াতেও পারছি না।’
বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, জোয়ার চলাকালে ঘূর্ণিঝড় মোখা সেন্টমার্টিনে আঘাত হানতে পারে।
এই মূহুর্তে তৈয়ব উল্লাহ পরিবারের সদস্য ও কিছু প্রতিবেশীদের নিয়ে তাদের নিজস্ব রিসোর্টে আছেন। আজ সকাল পৌনে ১১টার দিকে সেখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মনে হচ্ছে ঝড় খুব কাছে চলে...
‘৪০ শতাংশ মানুষ খাবার পেয়েছেন। বাকি ৬০ শতাংশ খাবার পায়নি।’
ঘূর্ণিঝড় মোখা ধেয়ে আসায় কক্সবাজারের প্রায় ১ লাখ ২৮ হাজার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে।