সেন্টমার্টিন নিয়ে কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত হবে ২০ অক্টোবরের মধ্যে: পরিবেশ উপদেষ্টা

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। ছবি: ইউএনবি থেকে নেওয়া

সেন্টমার্টিন দ্বীপে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করা, দ্বীপে রাত্রিযাপন এবং পর্যটকের সংখ্যা নির্ধারণসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে একটি কর্মপরিকল্পনা আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে 'সুন্দরবন বাঘ জরিপ-২০২৪' এর ফলাফল ঘোষণা উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা এ কথা জানান।

সেন্টমার্টিন দ্বীপ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠকে করা সুপারিশ প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, 'সেখানে যারা হোটেল ও জাহাজ চালায় তারা একমত হয়েছেন যে সেখানে একবার ব্যবহারযোগ্য কোনো প্লাস্টিক ঢুকতে দেওয়াই উচিত নয়। চানাচুর, চিপস, আচার—এগুলো ওখানে ঢুকতে দেওয়াই উচিত না।'

তিনি আরও বলেন, 'সরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেগুলো ঐক্যমতের ভিত্তিতে নেওয়া সিদ্ধান্ত। কিন্তু সেগুলো কেন বাস্তবায়িত হয়নি। আমরা যদি সেগুলো বাস্তবায়ন করতে চাই, তাহলে সেখানে তাদের বক্তব্য কী? তারা আমাদের বলেছেন, তাদের যে বাকি সদস্যরা রয়েছেন, তাদের সঙ্গে কথা বলে আমাদের জানাবেন। তারা বলেছেন তাদের সঙ্গে আলোচনা না করে আগের সরকার একতরফাভাবে ওই সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছিল।'

রিজওয়ানা হাসান বলেন, 'সরকারি সিদ্ধান্ত ছিল সেন্টমার্টিনে পর্যটকদের রাতে থাকতে দেওয়া যাবে না, সিদ্ধান্ত ছিল নির্দিষ্ট সংখ্যার বেশি পর্যটক সেন্টমার্টিনে যেতে পারবেন না—এখানে তাদের বক্তব্য কী? তারা একমত হয়েছেন যে সেখানে পর্যটক নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কিন্তু নির্দিষ্ট সংখ্যা নিয়ে তারা তাদের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানাবেন।'

পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা আরও বলেন, 'পর্যটন বিভাগেরও এ বিষয়ে বক্তব্য আছে। জাহাজ যারা চালায় তাদেরও একটা বক্তব্য আছে। আমরা হোটেল মালিক ও সেখানকার জাহাজ মালিকদের মতামত আমরা পাব। সেখানে পর্যটকদের রাত্রিযাপন ও পর্যটকের সংখ্যা সীমিত করার বিষয়ে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে তাদের মতামত জানাবেন।'

সরকারি সংস্থাগুলোর সঙ্গে কথা বলে ২০ অক্টোবরের মধ্যে সেন্টমার্টিনের ব্যাপারে কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন উপদেষ্টা।

সেন্টমার্টিনের কুকুরের সংখ্যা বাড়ছে, সে বিষয়ে জানতে চাইলে রিজওয়ানা হাসান বলেন, 'কুকুর নিয়ে যে বিশেষজ্ঞ সংস্থাগুলো কাজ করে, তারা ওখানে গিয়ে কুকুর বন্ধ্যাকরণের কাজ শুরু করলে হোটেল মালিকরা সহযোগিতা করবেন।'

Comments

The Daily Star  | English
compensation for uprising martyrs families

Each martyr family to get Tk 30 lakh: Prof Yunus

Vows to rehabilitate them; govt to bear all expenses of uprising injured

3h ago