আওয়ামী লীগের আমলে একজন আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে তার বাবার হত্যায় ন্যায়বিচার পাবেন না বলে যে মন্তব্য করলেন, সেখানে ‘বিটুইন দ্য লাইন’ অনেক কথা আছে। দেশের বিচার ব্যবস্থা বোঝার জন্য এটিও একটি সূত্র।
‘৭০ অনুচ্ছেদ আরও সহজ এবং তুলনামূলক গণতান্ত্রিক করলেও যে সংসদে এমপিরা নিজের দলের বিপক্ষে যায় এমন বিষয়ে কথা বলবেন—তার সম্ভাবনা কম।’
ভারতীয় গণমাধ্যম ও নেতাদের উচিত তাদের মন ও হৃদয়কে উন্মুক্ত করা, মুসলিম বাংলার সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় ঐতিহ্য গভীরভাবে বোঝা এবং আমরা যেমন আছি, সেভাবেই আমাদের গ্রহণ করা, যেভাবে তারা চায় সেভাবে নয়।
শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের দাবিতে জীবনের ঝুঁকি নেওয়া সেই মানুষগুলোকেই সুচিকিৎসার দাবিতে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পথ আটকাতে হলো!
অস্বীকার করার সুযোগ নেই, সংবিধানে এই যে ১৭ বার সংশোধন আনা হলো, তার অনেকগুলোই আনা হয়েছে ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তি ও দলের রাজনৈতিক স্বার্থে এবং সেজন্য অনেক ক্ষেত্রে মানুষের মৌলিক অধিকারও সংকুচিত হয়েছে।
ভবিষ্যতে ‘২০২৪ সালের ২০ অক্টোবর’ বাংলাদেশের সংবিধান ও বিচার বিভাগের ইতিহাসে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন হিসেবে হয়তো উল্লিখিত হবে।
ঢাকা ও কুয়ালালামপুরে ক্ষমতার বলয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি স্বার্থান্বেষী মহলের চক্রান্তের অংশ হিসেবে ধারাটি চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। শুধু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এ ধরনের ধারা অন্তর্ভুক্ত করা...
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য জনসাধারণের ভোটের প্রতি আস্থা তৈরি করা, নির্বাচন প্রক্রিয়াকে অলিগার্কদের প্রভাব থেকে মুক্ত রাখা এবং জনসম্পৃক্ততা বাড়ানো জরুরি।
এই সময়ের বাংলাদেশে সংবিধানের যেসব অনুচ্ছেদ নিয়ে সবচেয়ে বেশি বিতর্ক ও সমালোচনা হয়, তার অন্যতম সংসদ সদস্যদের পদ বাতিলসম্পর্কিত ৭০ অনুচ্ছেদ। এটি এমন এক বিধান যা সংসদ সদস্যদের বাকস্বাধীনতা হরণ করে এবং...
বাংলাদেশ একটা অদ্ভুত অবস্থার মধ্যে আছে। এখানে রাজনীতিবিদরাই দেশটাকে অচল করেছেন। রাজনীতির বাইরের মানুষরা সেটা মেরামতের চেষ্টা করছেন।
সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে ১৯৯৬ সালে ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে গৃহীত হয়। ২০১১ সালের ৩০ জুন সংসদে গৃহীত সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল...
বাংলাদেশের নদীগুলো সচল ও প্রবহমান থাকলে; নদীতে পানির ধারণ ক্ষমতা বাড়ানো গেলে; রিজার্ভার তৈরি করা গেলে এবং সর্বোপরি উন্নয়নের নামে যেসব প্লাবন ভূমি, নিম্নাঞ্চল, বিল ও জলাধার ভরাট করা হয়েছে, সেগুলো...
কর্তৃত্বপরায়ণ সরকারগুলো বিরোধীপক্ষের কণ্ঠরোধ করতে এই পন্থা অবলম্বন করে থাকে। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর বিরোধী মত দমনে এই ঘৃণ্য পথ বেছে নেয় শেখ হাসিনার সরকার।
বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দুর্নীতিবাজরা ঘাপটি মেরে বসে থাকার কথা। দুর্নীতির পথ বন্ধ না হলে সুযোগ বুঝে আবারো তারা মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। সেজন্য আর্থিক দুর্নীতি চিরতরে বন্ধ করতে এই সরকারের কিছু...
কিছু ঘটনায় হিতে-বিপরীত হচ্ছে
সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার জন্য ভারতকে যেমন বাংলাদেশের প্রয়োজন, তেমনি বাংলাদেশকেও ভারতের প্রয়োজন। সেটা শুধু নদীর পানি বণ্টন কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলাই নয়, বরং সব ক্ষেত্রেই।
আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে আমরা কীভাবে এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করব।
এখন যদি কেউ এই সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করেন, তাহলে তাকেও কি টেলিভিশনে না ডাকার ব্যাপারে আগের মতো অলিখিত নির্দেশনা দেওয়া হবে?
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের থেকে এমন বক্তব্য প্রত্যাশিত, যা দিয়ে সমাজে বিভ্রান্তি-বিতর্ক দূর হবে, তৈরি হবে না।