ঢাকা মহানগরীতে ৫০টি ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২০টি ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে তেল, ডাল ও খাদ্য অধিদপ্তরের সরবরাহ করা চাল বিক্রয়ের ব্যবস্থা নিয়েছে টিসিবি।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর প্রতি ডজন ডিম ১৪২ টাকা ও প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭৯ টাকায় কেজি দরে বিক্রির ঘোষণা দেয় কৃষি বিপণন অধিদপ্তর।
এক কোটি পরিবার সাশ্রয়ী মূল্যে পাবে চাল, ভোজ্যতেল ও মসুর ডাল।
গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশের বাজারে খোলা ও বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে যথাক্রমে প্রায় তিন থেকে ছয় টাকা ও পাঁচ টাকা বেড়েছে।
ঢাকার মিরপুর এলাকার খুচরা বিক্রেতা নুরুল আলম সিকদার জানান, তিনি গতকাল এক ডজন ডিম ১৬০ টাকায় বিক্রি করেছেন। এক সপ্তাহ আগে যা ছিল ১৫০ টাকা।
চলতি মাসে শুরু হওয়া নতুন অর্থবছরে সব মিলিয়ে ২৮ হাজার ৪৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকা লোকসান গুনবে সরকারি সংস্থাগুলো।
‘আমরা অন্ততপক্ষে দেড় থেকে দুই মাস—প্রয়োজনে তিন মাসের বাফার স্টক আমরা তৈরি করব।’
গত এক মাসে আলুর খুচরা দাম বেড়েছে ১৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ। এক বছর আগের তুলনায় তা ৪৯ দশমিক ২৫ শতাংশ বেশি।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সারা বছর আমদানির পরিকল্পনা
আজ সোমবার সকালে চালানটি খালাস দেওয়া হয়েছে
রোজায় ঢাকার ভেতরে ছোলা ও খেজুর বিক্রি করবে টিসিবি।
তারা মনে করেন, আমদানি বন্ধ হওয়ায় আলুর সরবরাহ আরও কমে গেছে। তাই ক্রেতাদের এখন তুলনামূলক বেশি দামে আলু কিনতে হচ্ছে।
‘যথাসময়ে চালান খালাস না নেওয়ায় পেঁয়াজে পচন ধরতে শুরু করেছে।’
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, গতকাল রোববার ঢাকায় খুচরা পর্যায়ে মোটা চাল বিক্রি হয়েছে ৫১ টাকা কেজি দরে। গত নভেম্বরে যা ছিল ৫০ টাকা ও অক্টোবরে ৪৯ টাকা।
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করা ৯০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ পাঁচ দিনেও খালাস হয়নি। ফলে সেগুলো পচতে শুরু করেছে।
বাংলাদেশ স্থানীয়ভাবে চালের চাহিদার সিংহভাগ পূরণ করতে পারলেও, গমের চাহিদা মেটাতে মূলত বৈশ্বিক বাজারের ওপর নির্ভর করতে হয়।
বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের অক্টোবরে খাদ্যমূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশে, যা গত এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ।
টিসিবি এমন এক সময় ট্রাকে করে পণ্য বিক্রি শুরু করলো যখন দেশে প্রায় এক যুগের মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতি সবচেয়ে বেশি।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য ১ কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কিনবে সরকার।