১ জুলাই চালু হচ্ছে টিসিবির স্থায়ী দোকান: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

‘আমরা অন্ততপক্ষে দেড় থেকে দুই মাস—প্রয়োজনে তিন মাসের বাফার স্টক আমরা তৈরি করব।’
১ জুলাই চালু হচ্ছে টিসিবির স্থায়ী দোকান: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

আগামী ১ জুলাই থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর স্থায়ী দোকান চালু হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

জায়গা পাওয়া সাপেক্ষে কোথাও কোথাও সময় লাগতে পারে বলেও জানান তিনি।

আজ মঙ্গলবার সকালে বারিধারায় টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

পেঁয়াজের ঘাটতি নেই জানিয়ে তিনি বলেন, 'আমাদের এখন মৌসুম চলছে। পেঁয়াজ যেহেতু পচনশীল পণ্য, আমরা স্থানীয়ভাবে (নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য হিসেবে) কিনে দিতে চাই না। যেহেতু যথেষ্ট পরিমাণ সরবরাহ আছে, আমরা তখন সরবরাহ বাড়ানোর জন্য বিদেশ থেকে পেঁয়াজ এনে দিয়েছিলাম।

'আর চিনি আমরা রমজান মাসে দেই। রমজান মাসে চাহিদা বেশি থাকে। রমজান মাসের বাইরে চিনির চাহিদা অত বেশি থাকে না, সে জন্য চিনি আমরা দেইনি। এক কোটি পরিবারকে আমরা ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে (নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য) দিচ্ছি। দোকানগুলো হলে প্রয়োজন মতো পরামর্শ করে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ন্যায্য মূল্যে দেওয়ার জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি চাইব। তিনি যদি অনুমতি দেন, আমরা পরবর্তীতে সেটার ব্যবস্থা করব,' বলেন তিনি।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের টিসিবি বাফার স্টকের চিন্তা করছে। আমরা অন্ততপক্ষে দেড় থেকে দুই মাস—প্রয়োজনে তিন মাসের বাফার স্টক আমরা তৈরি করব। বাফার স্টকটা যদি আমরা তৈরি করতে পারি, তাহলে সাপ্লাই স্মুদ রাখতে পারব। বিশেষ করে তেলের ব্যাপারে আমাদের নজরদারি আছে; তেল কীভাবে বাল্ক আনা যায়। আমরা তো এখন বোতলে আনি। টিসিবি কাজ করছে এটা নিয়ে।'

তিনি বলেন, 'আমরা ট্যারিফের প্রস্তাব দিয়েছি। মৌসুমে এক রকম ট্যারিফ থাকবে, যখন অফ সিজন তখন আমরা ট্যারিফ চেঞ্জ করে দেবো। এই ডায়নামিক জিনিসগুলো আমরা করার চেষ্টা করছি। লক্ষ্য একটাই, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের সরবরাহ যেন নিরবচ্ছিন্ন থাকে। কোনো ঘাটতি না থাকে। আমি মনে করি, যথেষ্ট পরিমাণে পণ্য যদি বাজারে থাকে তাহলে যৌক্তিক মূল্যে আমাদের ভোক্তারা পণ্য পাবে।'

কৃষি, খাদ্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একসঙ্গে কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, 'প্রয়োজনে আমরা শিল্প মন্ত্রণালয়ের সহায়তা নেব।'

তিনি আরও বলেন, 'একটা ব্যাপক পরিবর্তন আমাদের প্রধান খাদ্য চালে এসেছে। চালের বস্তায় আগে মূল্য নির্দেশিকা ছিল না, জাত নির্দেশিকা ছিল না। এটা কিন্তু আমাদের সমন্বিত উদ্যোগের একটি ফসল। এটার সুফল আমাদের সাধারণ ভোক্তারা পাবেন।

'আমি মনে করি, আমাদের এই উদ্যোগ সফল হলে কোনো গোষ্ঠী আমাদের ভোক্তাদের ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারবে,' যোগ করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Post-August 5 politics: BNP, Jamaat drifting apart

The taunts and barbs leave little room for doubt that the 33-year-old ties have soured. Since the fall of Sheikh Hasina’s government on August 5, BNP and Jamaat-e-Islami leaders have differed in private and in public on various issues, including reforms and election timeframe.

9h ago