মার্কিন নিউজ চ্যানেল ফক্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘এখনও চুক্তি হওয়ার মতো অবস্থা আসেনি।’
নেতানিয়াহুর দাবি, হামাস দরকষাকষির সময় ‘সব প্রস্তাব নাকচ করেছে’।
শনিবার গাজার দক্ষিণে রাফার একটি ভূগর্ভস্থ সুরঙ্গে ছয় ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ উদ্ধার করে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। এই ঘটনার পর থেকে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে ইসরায়েলিরা। এই ঘটনার দুই দিন পর এলো...
নেতানিয়াহু ব্লিঙ্কেনকে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র যে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে তা তিনি মেনে নিচ্ছেন। এখন হামাসও যেন তা মেনে নেয়।
ব্লিঙ্কেন বলেন, চলমান আলোচনা ‘খুব সম্ভবত যুদ্ধ বন্ধের চুক্তি বাস্তবায়নের শেষ সুযোগ’।
কমলা জানিয়েছেন, নেতানিয়াহুর সঙ্গে তার গঠনমূলক ও খোলাখুলি কথা হয়েছে।
অধিকার সংস্থাটি অবিলম্বে গাজায় যুদ্ধবিরতি চালুর এবং নিখোঁজ শিশুদের নিয়ে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।
টানা আট মাস ইসরায়েলের নির্বিচার হামলা ও গণহত্যার মধ্য দিয়ে যাওয়া ফিলিস্তিনিদের জন্য এবারের ঈদে আনন্দের তেমন কোনো উপলক্ষ নেই।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বারবার বলেছেন, তিনি হামাসের প্রশাসনিক ও সামরিক সক্ষমতা নির্মূল করতে চান। এই দুই লক্ষ্য পূরণ হওয়ার আগে যুদ্ধের অবসান হবে এমন কোনো চুক্তিতে সম্মতি দেবেন না...
এএফপি এক সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, হামাস এ মুহুর্তে ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে ছয় সপ্তাহের বিরতির নতুন প্রস্তাব যাচাই-বাছাই করছে। গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সর্বশেষ উদ্যোগ...
হামাসের নীতিনির্ধারকদের অন্যতম মুহাম্মাদ নাজাল কাতারের টিভি চ্যানেল আল আরাবিকে জানান, হামাসের লক্ষ্য স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও ‘বন্দি’ বিনিময়
স্থায়ীভাবে গাজার সংঘাত নিরসনের সম্ভাব্য উপায় নিয়ে দুই পক্ষের দ্বিমতের কারণে এখনো এই পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়নি।
এই প্রস্তাবে হামাসের সর্বশেষ দাবি মানা হয়নি। সংগঠনটি এর আগে জানায়, গাজায় স্থায়ী ভাবে আগ্রাসন বন্ধ না হলে বাকি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে না।
তবে এতে তাৎক্ষণিকভাবে যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। বরং, আগ্রাসন স্থায়ীভাবে বন্ধ করার ‘পরিবেশ সৃষ্টির’ বিষয়ে বলা হয়েছে।
তবে চলতি আলোচনায় দুই পক্ষ ঐক্যমত্যে পৌঁছাতে পারবে কী না, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সন্দেহ। দুই পক্ষের শর্তে রয়েছে উল্লেখযোগ্য ব্যবধান।
গত ১ ডিসেম্বর সাত দিনের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হলে গাজায় হামলার তীব্রতা বাড়িয়ে দেয় ইসরায়েল। যার ফলে আন্তর্জাতিক মহল থেকে যুদ্ধবিরতির চাপ বেড়ে যায়।
‘ইসরায়েলকে ক্রমাগত অস্ত্র ও কূটনৈতিক সহায়তা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র নৃশংসতায় জড়িয়ে পড়েছে। তারা গাজায় সব ফিলিস্তিনিকে শাস্তি দিচ্ছে।’
আজ গাজা শহরে নতুন করে বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণের খবর পাওয়া গেছে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী আজ জানিয়েছে, ‘মধ্যস্থতাকারীদের জিম্মি মুক্তির প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার উদ্যোগ ও চুক্তির শর্ত মেনে চলার’ শর্তে গাজা উপত্যকার যুদ্ধে সাময়িক বিরতি অব্যাহত থাকবে।