দ্বিতীয় দফায় মুক্তি পাবে ৪ ইসরায়েলি জিম্মি, আজ তালিকা দেবে হামাস

রাফায় যুদ্ধবিরতি উপভোগ করছেন দুই ফিলিস্তিনি। ছবি: এএফপি
রাফায় যুদ্ধবিরতি উপভোগ করছেন দুই ফিলিস্তিনি। ছবি: এএফপি

হামাসের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দ্বিতীয় দফা বন্দি বিনিময়ের অংশ হিসেবে শনিবার চার ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে। 

আজ শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল। 

যুদ্ধবিরতি চুক্তির অন্যতম শর্ত অনুযায়ী, বন্দি বিনিময়ের ২৪ ঘণ্টা আগে, আজই এই জিম্মিদের নাম প্রকাশ করবে হামাস। এমনটাই বলেছেন ওই হামাস নেতা। 

বৃহস্পতিবার কাতারের আল-আরাবি সংবাদমাধ্যমকে জ্যেষ্ঠ হামাস নেতা জাহের জাবারিন জানান, 'আগামীকাল আমরা মুক্তি পেতে যাওয়া চার জিম্মির নাম মধ্যস্থতাকারীদের জানাব।'

পশ্চিম তীরে হামাসের কার্যক্রমের দায়িত্বে আছেন জাবারিন। তিনি মূলত একজন নির্বাসিত হামাস নেতা। তুরস্কের ইস্তাম্বুলে থাকেন তিনি। 

শনিবার বিকেলে যুদ্ধবিরতির ৪২ দিনব্যাপী প্রথম পর্যায়ে দ্বিতীয়বারের মতো বন্দি-জিম্মি বিনিময় হতে যাচ্ছে। 

ইসরায়েলে জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ। ছবি: এএফপি
ইসরায়েলে জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ। ছবি: এএফপি

এ সময় হামাস চার নারীকে মুক্তি দেবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে সেনা সদস্য ও বেসামরিক মানুষ, উভয়ই থাকবেন। 

সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, যুদ্ধবিরতির এ পর্যায়ে মুক্তি পেতে যাওয়া আরও ৩০ জিম্মিদের সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যও আগামীকালই প্রকাশ করবে হামাস। 

বস্তুত, অনেক জিম্মি বেঁচে আছেন না মারা গেছেন, সে তথ্যও গোপন রেখেছে হামাস। 

তবে ইসরায়েলি গণমাধ্যম ক্যান নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, হামাস খুব সম্ভবত জীবিত জিম্মিদের সংখ্যা জানাবে। কে কে বেঁচে আছেন বা মারা গেছেন, সে বিষয়টি গোপন রাখবে। 

তা সত্ত্বেও, জীবিত জিম্মির সংখ্যা জানতে পারলে সে অনুযায়ী ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি নির্ধারণ করতে পারবে ইসরায়েল। 

বুধবার হিব্রু গণমাধ্যমে জানানো হয়, ইসরায়েল হামাসকে বলেছে শনিবার আরবেল ইয়েহুদ নামের জিম্মিকে মুক্তি দিতে। 

তবে ধারণা করা হয়, হামাস নয়, ইসলামিক জিহাদ নামে অপর এক সংগঠনের হাতে বন্দি আছেন ইয়েহুদ। যে কারণে আগামীকাল তাকে মুক্তি দেওয়ার ঝামেলাপূর্ণ হতে পারে। 

ইসরায়েল প্রত্যেক জন নারী সেনার মুক্তি বিনিময়ে ৫০ জন করে ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি দেবে। সোমবার তিন বেসামরিক নারী জিম্মির বিপরীতে ৩০ জন করে মোট ৯০ বন্দিকে মুক্তি দেয় দেশটি। 

প্রায় ১৫ মাসের সংঘাতের পর ১৯ জানুয়ারি স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ১৫ মিনিট গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। তবে ইতোমধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই চুক্তির স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। চুক্তিতে প্রতিবাদ জানিয়ে পদত্যাগ করেছেন নেতানিয়াহুর প্রশাসনের এক প্রভাবশালী মন্ত্রী। 

৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ হামলার পর দেশটি হামাসের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু করে, যা ১৫ মাস ধরে চলে। ইসরায়েলি সহিংসতায় প্রায় ৪৭ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন লাখেরও বেশি মানুষ। 

খান ইউনিসে আশ্রয় শিবির। ছবি: এএফপি
খান ইউনিসে আশ্রয় শিবির। ছবি: এএফপি

৭ অক্টোবর ২৫১ ব্যক্তিকে জিম্মি করেছিল হামাস। তাদের মধ্যে এখনো ৯১ জন গাজায় অবস্থান করছেন। এই ৯১ জনের মধ্যে অন্তত ৩৪ জন নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ।  

তাদের মরদেহ ফিরে পাওয়া বন্দি বিনিময়ের অন্যতম লক্ষ্য। 

 

Comments

The Daily Star  | English

Salehuddin hopes to get better results in meeting with US on tariff

'The final tariff will be fixed in the one-to-one negotiation with the USTR... The rate is not final yet...,' says finance adviser

1h ago