গাজার যুদ্ধবিরতির স্থায়িত্ব নিয়ে ‘নিশ্চিত নই’: ট্রাম্প

আবারও হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প। ছবি: এএফপি
আবারও হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প। ছবি: এএফপি

সদ্য শপথ নেওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, গাজার যুদ্ধবিরতি বেশিদিন স্থায়ী হবে, এমনটা মনে করছেন না তিনি। এ বিষয়ে তিনি 'আত্মবিশ্বাসী নন' বলে জানিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।

হোয়াইট হাউসে এক সাংবাদিক ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেন, দুই পক্ষ (হামাস-ইসরায়েল) সব শর্ত মেনে চলে যুদ্ধবিরতি অব্যাহত রাখবে কী না। এর জবাবে ট্রাম্প বলেন, 'আমি নিশ্চিত নই।'

'ওটা আমাদের যুদ্ধ নয়; তাদের যুদ্ধ। কিন্তু আমি নিশ্চিত না', যোগ করেন তিনি।

যুদ্ধবিরতি চালুর পর গাজার দক্ষিণে রাফা শহরের দৃশ্য। ছবি: এএফপি
যুদ্ধবিরতি চালুর পর গাজার দক্ষিণে রাফা শহরের দৃশ্য। ছবি: এএফপি

তবে ট্রাম্প মত দেন, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালানোর পর হামাস এখন ইসরায়েলি পাল্টা হামলায় অনেকটাই 'দূর্বল' হয়ে পড়েছে।

ট্রাম্প বলেন, 'আমি গাজার একটি ছবি দেখেছি। দেখে মনে হয়েছে, সেখানে অসংখ্যবার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে।'

আবাসন ব্যবসায়ী থেকে জনপ্রিয় রাজনীতিবিদে পরিণত হওয়া ট্রাম্প জানান, সব কিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী চললে 'অসামান্য' পুনর্নিমাণের মধ্য দিয়ে যাবে গাজা।

'সমুদ্রের কাছে অবস্থিত অসাধারণ একটি জায়গা সেটি (গাজা)—আবহাওয়াও সেরা। আপনারা জানেন, সেখানে সবকিছুই ভালো। আমার মতে, জায়গাটিকে নিয়ে খুব সুন্দর কিছু কাজ করা সম্ভব', যোগ করেন ট্রাম্প।

রোববার থেকে ইসরায়েল-হামাসের যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়েছে। চুক্তির আওতায় ইতোমধ্যে দুই পক্ষ জিম্মি ও বন্দি বিনিময় শুরু করেছে।

মে মাসে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দেওয়া রুপরেখার ভিত্তিতে এই চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। পরবর্তীতে ট্রাম্প-বাইডেনের যৌথ কূটনীতিক প্রতিনিধিদলের উদ্যোগে এটি বাস্তবায়িত হয়।

ইসরায়েলি জিম্মিদের পরিবারের সদস্যরা ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন। ছবি: এএফপি
ইসরায়েলি জিম্মিদের পরিবারের সদস্যরা ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন। ছবি: এএফপি

এই চুক্তি নিয়ে চাপ দেওয়ার সময় ট্রাম্প নিশ্চিত করেছেন, তিনি ইসরায়েলকে অকুণ্ঠচিত্তে সমর্থন দেবেন।  

বাইডেন প্রশাসন ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর জন্য অধীকৃত পশ্চিম তীরে কিছু কট্টর অবৈধ ইসরায়েলি অধিগ্রহণকারীদের (সেটলার) বিরুদ্ধে বিদিনিষেধ আরোপ করেছিল।

তার প্রথম কর্মদিবসের অন্যতম পদক্ষেপ হিসেবে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে এই বিধিনিষেধ বাতিল করেন ট্রাম্প।

 

Comments

The Daily Star  | English

Reforms, justice must come before election: Nahid

He also said, "This generation promises a new democratic constitution for Bangladesh."

3h ago