সিকদার ইন্স্যুরেন্স: নিয়ম ভেঙে ন্যাশনাল ব্যাংকের শেয়ারে বিনিয়োগ, তবু আইপিও অনুমোদন

সিকদার ইন্স্যুরেন্স, ন্যাশনাল ব্যাংক, সিকদার গ্রুপের দুর্নীতি, ন্যাশনাল ব্যাংকের দুর্নীতি, রন হক সিকদার,

সিকদার ইন্স্যুরেন্সের বেশিরভাগ সম্পদ নিয়ম ভেঙে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করেছে। তারচেয়েও বড় বিষয় হলো এই বিনিয়োগের সিংহভাগই করা হয়েছে আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জর্জরিত ন্যাশনাল ব্যাংকে। যে ব্যাংকের মালিকানাতেও আছেন সিকদার পরিবারের সদস্যরা।

বিমা প্রতিষ্ঠানটি ন্যাশনাল ব্যাংকে অতিরিক্ত বিনিয়োগ করতে গিয়ে ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগের যে ন্যূনতম সীমা আছে তা পূরণ করতে পারেনি।

আইনভঙ্গের এত নজির থাকার পরও বিমা কোম্পানিটি জনগণের কাছ থেকে তহবিল সংগ্রহের জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদন দিয়েছে।

টাকা তোলার পথ প্রশস্ত করতে একটি রেটিং এজেন্সি বিমা প্রতিষ্ঠানটিকে বেশি ক্রেডিট রেটিং দিয়েছে। নিরীক্ষক প্রতিষ্ঠান বা অডিটর এসব নিয়ম লঙ্ঘনের বিষয়ে আপত্তি জানায়নি। বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষও (আইডিআরএ) বিষয়টি এড়িয়ে গেছে।

এ বিষয়ে সিকদার ইন্স্যুরেন্সের দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মুঠোফোনে দ্য ডেইলি স্টারের কাছে মন্তব্য করতে রাজি হননি। তারা ই-মেইলেরও কোনো জবাব দেননি।

বিএসইসি গত সেপ্টেম্বরে সিকদার ইন্সুরেন্সের আইপিও অনুমোদন করে। আইপিও বা প্রাথমিক গণপ্রস্তাব হলো পুঁজিবাজারে শেয়ার ইস্যু করার একটি পদ্ধতি।

ন্যাশনাল ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণকারী সিকদার পরিবারের দুই সদস্য ব্যাংকের সাবেক পরিচালক এবং সিকদার ইন্স্যুরেন্সেরও মালিক। বিমা কোম্পানিটি ১০ টাকা অভিহিত মূল্য বা ফেস ভ্যালুতে এক কোটি ৬০ লাখ সাধারণ শেয়ার ইস্যু করে ১৬ কোটি টাকা সংগ্রহ করছে।

সিকদার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা জয়নুল হক সিকদারের ছেলে রিক হক সিকদার ও রন হক সিকদারের বিমা প্রতিষ্ঠানটিতে আট শতাংশ এবং ব্যাংকে দুই শতাংশ করে শেয়ার আছে।

গত ২১ ডিসেম্বর আইপিওর সাবস্ক্রিপশন শুরু হয়ে আজ বৃহস্পতিবার শেষ হচ্ছে।

প্রতিষ্ঠানটি আইপিও থেকে পাওয়া অর্থ ফ্লোর স্পেস কেনা ও ফিক্সড ডিপোজিটে বিনিয়োগের পরিকল্পনা করেছে। এর বাইরে আগামী তিন মাসের মধ্যে চারে কোটি ৮০ লাখ টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করা হবে, যদিও ইতোমধ্যে কোম্পানিটি নিয়মের অতিরিক্ত শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করেছে।

২০২২ সালের আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, প্রতিষ্ঠানটির মোট সম্পদের ১৮১ কোটি ২৯ লাখ টাকার মধ্যে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করেছে ১৩১ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।

অর্থাৎ, প্রতিষ্ঠানটি তার সম্পদের ৭২ দশমিক আট শতাংশ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করেছে। বিমা সংক্রান্ত নিয়ম অনুসারে, একটি নন-লাইফ বিমা প্রতিষ্ঠান তার সম্পদের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারে।

আশ্চর্যজনকভাবে ১৩১ কোটি ৯৮ লাখ টাকার মধ্যে প্রায় ১৩১ কোটি ২৯ লাখ টাকা বা মোট বিনিয়োগের ৯৯ দশমিক নয় শতাংশ বিনিয়োগ করা হয়েছে এনবিএলে।

সিকদার ইন্সুরেন্সের নিয়ম লঙ্ঘনের শেষ এখানেই নয়।

আইডিআরএ'র নিয়ম বলছে—একটি নন-লাইফ বিমা প্রতিষ্ঠান এর সম্পদের পাঁচ শতাংশের বেশি একক শেয়ারে বিনিয়োগ করতে পারবে না। ন্যাশনাল ব্যাংকে সিকদার ইন্স্যুরেন্সের বিনিয়োগ ৭২ শতাংশের বেশি।

অন্যদিকে, প্রতিষ্ঠানটি সরকারি ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ করেছে আড়াই কোটি টাকা। এটি মোট সম্পদের এক দশমিক ৩৭ শতাংশ। নিয়ম অনুযায়ী এটি কমপক্ষে সাড়ে সাত শতাংশ হতে হবে।

তালিকাভুক্তির বিষয়ে বিএসইসিতে পাঠানো পর্যবেক্ষণে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ট্রেজারি বন্ড বিনিয়োগের মানদণ্ড পূরণে বিমা প্রতিষ্ঠানটির ব্যর্থতার কথা উল্লেখ করেছে।

প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক বিবরণীতে দেখা গেছে—বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ অনুযায়ী, ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত শ্রমিকদের মুনাফা তহবিলে ৫৬ লাখ টাকা রাখা হয়েছে। তবে ওই টাকা তাদের মধ্যে বিতরণ করা হয়নি বলে জানিয়েছে ডিএসই।

এনবিএলের আর্থিক প্রতিবেদন বলা হয়েছে, সিকদার ইন্স্যুরেন্সের এক প্রতিনিধি এনবিএলের মনোনীত পরিচালক।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের এক শিক্ষক ডেইলি স্টারকে বলেন, 'যখন কোনো বিমা প্রতিষ্ঠান এর সম্পদের সিংহভাগ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে, তখন শেষ পর্যন্ত তা এর ভবিষ্যতকে সমস্যায় ফেলে দেয়।'

তিনি আরও বলেন, 'জনগণের তহবিলকে তাদের নিজস্ব স্বার্থে ও তারা ন্যাশনাল ব্যাংকে বেশি অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ করেছেন।'

তিনি মনে করেন, 'শেয়ারের দাম কমে গেলে বা ব্যাংকটি লভ্যাংশ দিতে ব্যর্থ হলে প্রতিষ্ঠানটির তারল্য প্রবাহ কমে যাবে। তখন বিমা কোম্পানিটি বড় সমস্যায় পড়তে হবে।

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ থেকে নগণ্য আয়

২০২১ ও ২০২২ সালে সিকদার ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার বিনিয়োগ থেকে শেয়ার বিক্রি বাবদ আয় (ক্যাপিটাল গেইন) ছিল শূন্য। আর লভ্যাংশ বাবদ আয় ২০২১ সালে ছিল শূন্য এবং এর পরের বছর ছিল ১০ হাজার ৮৩৩ টাকা।

তবে এই লভ্যাংশ আয় ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে আসেনি। প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক প্রতিবেদনে জানা গেছে, বরং এই আয় এসেছে সিলকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ও সি পার্ল কক্সবাজার বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা'তে এক লাখ টাকারও কম বিনিয়োগের মাধ্যমে।

ন্যাশনাল ব্যাংক গত দুই বছর কোন লভ্যাংশ দিতে পারেনি, চলতি বছরেও দিতে পারবে কিনা সংশয় রয়েছে। কারণ ২০২৩ সালের প্রথম নয় মাসে ব্যাংকের লোকসান এক হাজার ১২৩ কোটি টাকা ও ২০২২ সালে লোকসানের পরিমাণ ছিল তিন হাজার ২৬০ কোটি টাকা।

শুধু শেয়ারেই বিনিয়োগ নয়, সিকদার ইন্স্যুরেন্স তাদের ফিক্সড ডিপোজিটের বেশির ভাগই এই ব্যাংকে রেখেছে। মোট স্থায়ী আমানতের ১৮ কোটি ৯০ লাখ টাকার মধ্যে বিমা প্রতিষ্ঠানটি ন্যাশনাল ব্যাংকে জমা রেখেছে ১০ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।

ন্যাশনাল ব্যাংকে বিনিয়োগের কারণ কী?

বিএসইসির সুপারিশে কর্পোরেট সুশাসন নিশ্চিত করতে চলতি বছরের ২১ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় ব্যাংক এনবিএল'র পর্ষদ পুনর্গঠন করার আগে সিকদার পরিবারের চার সদস্য ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদে ছিলেন।

নতুন ব্যাংক কোম্পানি আইনে বলা হয়েছে—একই সঙ্গে একই পরিবারের তিনজন বোর্ডে থাকতে পারবেন। তাই চলতি মাসে অনুষ্ঠেয় বার্ষিক সাধারণ সভায় ব্যাংকটিকে তা তিনে নামিয়ে আনতে বলা হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নন-লাইফ বিমা প্রতিষ্ঠানের এক শীর্ষ কর্মকর্তা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সিকদার ইন্স্যুরেন্সের সম্পদ ব্যাংকটিতে পরিবারের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে ব্যবহার করা হয়েছে। কারণ ব্যাংকের শেয়ারে বিনিয়োগের মাধ্যমে তারা একটি পরিচালক পদ অতিরিক্ত দখলে রাখতে পারবে'।

তার মতে, 'বোর্ড বাধ্য না করলে কোনো প্রতিষ্ঠান এত দুর্বল ব্যাংকে তহবিল রাখবে না।'

এক বিশ্লেষক এই বিনিয়োগকে চরম ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে বলেন, 'যখন কোনো বিমা প্রতিষ্ঠান তার প্রধান সম্পদ এমন কোনো প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করে যে প্রতিষ্ঠানটি চরম সংকটে আছে, তখন এটি পরিচালকদের প্রভাব ছাড়া হতে পারে না।'

যদিও আর্গুস ক্রেডিট রেটিং সার্ভিসেস লিমিটেডের বিশদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, পুঁজিবাজারে বিমা প্রতিষ্ঠানটির প্রচুর বিনিয়োগ আছে। তবে এটি ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত অডিট করা আর্থিক বিবরণীর ওপর ভিত্তি করে এর দীর্ঘমেয়াদী রেটিংকে আগের বছরের 'এ' থেকে 'এ প্লাস'-এ উন্নীত করেছে।

টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে ক্রেডিট রেটিং এজেন্সির এক কর্মকর্তা এই প্রতিবেদককে ইমেইলে প্রশ্ন করতে বলেন। সেই মোতাবেক গত ২০ ডিসেম্বর ইমেইল পাঠানো হলেও এর কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।

আইডিআরএর নিয়ম ভঙ্গ নিয়ে আপত্তি জানায়নি অডিটর জি কিবরিয়া অ্যান্ড কোং। জি কিবরিয়া অ্যান্ড কোং-এর অংশীদার মোহাম্মদ শওকত আকবর ডেইলি স্টারের ইমেইলের জবাব দেননি। নানাভাবে কয়েকদিন অপেক্ষা করানোর পর তিনি ইমেইলের জবাব দেওয়া থেকে বিরত থাকেন।

এসব বিষয়ে বিএসইসির মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আইপিও অনুমোদনের আগে কোনো প্রতিষ্ঠান সিকিউরিটিজ রুলস মেনে চলছে কিনা তা দেখে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।'

তিনি আরও বলেন, 'যেহেতু সিকদার ইন্স্যুরেন্স সব সিকিউরিটিজ বিধি মেনে চলেছে এবং আইডিআরএ থেকে অনাপত্তি পত্র পেয়েছে, তাই আমরা অনুমোদন দিয়েছি। এনওসি দেওয়ার আগে নিয়ম লঙ্ঘনের বিষয়টি চিহ্নিত করা প্রাথমিক নিয়ন্ত্রকের (আইডিআরএ) দায়িত্ব ছিল।'

'একটি দুর্বল ব্যাংকে বেশিরভাগ তহবিল বিনিয়োগ করা সিকিউরিটিজ নিয়ম লঙ্ঘন নয়' উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, 'বরং এটি আইডিআরএ'র নিয়ম লঙ্ঘন।'

আইডিআরএ'র চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নিয়ন্ত্রক সংস্থা সব বিমা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বিনিয়োগ সংক্রান্ত কাগজপত্র চেয়েছে।'

'কেউ নিয়ম ভেঙেছে কিনা তা আমরা যাচাই করছি' জানিয়ে তিনি বলেন, 'ইতোমধ্যে তাদের কয়েকজনকে নিয়ম মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছি।'

'কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এখনো বিনিয়োগের তথ্য জমা দেয়নি। সিকদার ইন্স্যুরেন্স কী করেছে তাদের আর্থিক প্রতিবেদন না দেখে বলতে পারব না,' বলে মন্তব্য করেন মোহাম্মদ জয়নুল বারী।

তিনি আরও বলেন, 'এ কোম্পানিটি আমার কাছ থেকে এনওসি নেয়নি। আমি যোগ দেওয়ার আগে এনওসি পেয়েছে কিনা তা আমি জানি না।'

মোহাম্মদ জয়নুল বারী ২০২২ সালের মাঝামাঝি আইডিআরএতে যোগ দিয়েছেন।

২০২০ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত আইডিআরএ প্রধানের দায়িত্বে থাকা এম মোশাররফ হোসেনকে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

সিকদার ইন্স্যুরেন্সের কোম্পানি সেক্রেটারি আব্দুর রাজ্জাক এ প্রতিবেদককে ইমেইল করতে বললেও তিনি ইমেলের জবাব দেননি। সিকদার ইন্স্যুরেন্সের চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার মো. মঈন উদ্দিন এই প্রতিবেদককে এ বিষয়ে প্রতিবেদন না লেখার অনুরোধ করে অন্য কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

এ বিষয়ে জানতে চেয়ে ইমেইল করা হলে কোন জবাব দেননি কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার সোনার বাংলা ক্যাপিটাল।

ঝুঁকিতে সাধারণ বিনিয়োগকারী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আল-আমিন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সিকদার ইন্স্যুরেন্সের আর্থিক প্রতিবেদনে যেহেতু নিয়ম লঙ্ঘনের প্রমাণ পাওয়া গেছে, তাই অডিটরের উচিত ছিল এটি চিহ্নিত করা।'

তিনি আরও বলেন, 'এ বিষয়ে অন্তত শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রকের প্রশ্ন করা উচিত ছিল। কারণ, বিমা প্রতিষ্ঠানটি এমন একটি ব্যাংকে বিনিয়োগ করেছে যার আর্থিক অবস্থা ভালো না। আর এ ধরনের বিনিয়োগ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকিতে ফেলবে।'

আইডিআরএ'র সাবেক সদস্য সুলতান-উল-আবেদীন মোল্লা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'প্রতিষ্ঠানগুলো যেন উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ বাজারে বিনিয়োগ করে বেশি ঝুঁকি না নেয়, সে জন্য তারা নিয়ম মানছে কিনা, তা আইডিআরএ'র পর্যবেক্ষণ করা উচিত।'

বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার উচিত শেয়ার বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় প্রথমে আইপিও প্রক্রিয়া স্থগিত করা এবং এরপর আইডিআরএ'র সঙ্গে পরামর্শ করা।'

Comments

The Daily Star  | English

Enforced disappearances: Eight secret detention centres discovered

The commission raised concerns about "attempts to destroy evidence" linked to these secret cells

3h ago