৩ ইসলামি ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির তদন্ত শেষ হয়নি ৪ মাসেও

হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে এস আলম গ্রুপের প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা ঋণ উত্তোলনের ঘটনার তদন্ত ৪ মাসেও শেষ হয়নি।

ঋণ কেলেঙ্কারির ওই ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এবং পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) আজ বৃহস্পতিবারের মধ্যে হাইকোর্টে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা ছিল।

হাইকোর্টের গত ৪ ডিসেম্বরের আদেশের পরও আজকের দিন পর্যন্ত বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি কেউ।

এ অবস্থায় বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সংস্থাগুলোকে আরও ১ মাসের সময় দিয়েছেন এবং এ বিষয়ে শুনানি ও পরবর্তী আদেশের জন্য ৯ মে তারিখ নির্ধারণ করেছেন।

গত বছরের নভেম্বরে সংবাদপত্রে এ ৩ ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর ৪ ডিসেম্বর হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তদন্তের আদেশ দিয়েছিলেন।

এছাড়া, এস আলম গ্রুপকে ইসলামী ব্যাংক থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকা উত্তোলন সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ব্যাখ্যা এবং এ সংক্রান্ত প্রাসঙ্গিক নথি উপস্থাপনও করতে বলেছিল আদালত।

ঋণ কেলেঙ্কারিতে জড়িতদের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে না, অর্থ, আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, দুদকের চেয়ারম্যান এবং বিএফআইইউ ও সিআইডির প্রধানদের কাছে তা জানতে চেয়ে একটি রুল জারি করেছিলেন আদালত।

এর মধ্যে শুধু দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খানের মাধ্যমে হাইকোর্টে একটি কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট জমা দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে যে ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির অভিযোগ তদন্তের জন্য কমিশন ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে।

দুদক প্রাসঙ্গিক নথি চেয়ে ব্যাংকগুলোর কাছে চিঠিও দিয়েছে এবং কাগজপত্র পাওয়ার পর কমিশন তদন্ত শুরু করবে বলে খুরশিদ আলম খান আজ আদালতে কমপ্লায়েন্স রিপোর্টের বরাত দিয়ে বলেছেন।

জানতে চাইলে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'হাইকোর্টের আদেশ পেতে দেরি হওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংক, বিএফআইইউ এবং সিআইডি তাদের তদন্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে জমা দিতে পারেনি।'

হাইকোর্ট আজ ওই ৩ ব্যাংককে ঋণ লেনদেনকারী কর্মকর্তাদের নাম-ঠিকানাসহ একটি তালিকা আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

গত ২৪ নভেম্বর দৈনিক প্রথম আলোর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, নভেম্বরে ইসলামী ব্যাংক থেকে একটি 'অসাধু গোষ্ঠী' ২ হাজার ৪৬০ কোটি টাকা তুলে নিয়েছে। এছাড়া গত বছর ৮টি প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে ইসলামী ব্যাংক।

২৯ নভেম্বর ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ আরেকটি প্রতিবেদনে বলে, এস আলম গ্রুপ এবং এর সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো ইসলামী ব্যাংক থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে, যা ব্যাংকগুলোর ঋণদান সীমার অনেক বেশি।

 

Comments

The Daily Star  | English

Inside the lives of ride-sharing drivers

On the bustling streets of Dhaka, where traffic moves like molasses and the air hangs heavy with exhaust fumes, a new breed of urban warriors has emerged.

13h ago