বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারি: ১৬ মামলার তিন তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব
বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারিতে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ জড়িত কিনা তার ব্যাখ্যা জানতে এ ঘটনায় দায়ের করা দুর্নীতির ১৬ মামলার তিন তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেছেন আদালত।
তারা হলেন—দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক মোহাম্মদ মোরশেদ আলম, উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম ও মো. সিরাজুল হক। তদন্ত করে ইতোমধ্যে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন তারা।
বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চুসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে ১৩ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করা মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে। দুই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোরশেদ আলম ও একটি মামলায় অভিযোগপত্র দাখিলকারী মোহাম্মদ সিরাজুল হককে হাজির হতে বলা হয়েছে ৫ ফেব্রুয়ারি।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক আবুল কাশেম মামলাগুলোর তদন্তে কিছু ত্রুটি খুঁজে পেয়ে এ আদেশ দেন।
এই তিনজনসহ পাঁচজন তদন্ত কর্মকর্তা ৫৯টি দুর্নীতি মামলার সবগুলোই তদন্ত করে বাচ্চুসহ অন্যদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছেন।
তাদের ব্যাখ্যা পাওয়ার পর বিচারক সিদ্ধান্ত নেবেন যে সবগুলো মামলায় বাচ্চুসহ ১৪৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হবে কিনা।
২০২৩ সালের ১২ জুন দুই হাজার ২৬৫ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ৫৯টি মামলায় বাচ্চুসহ ১৪৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।
কমিশন অবশ্য ২০০৯ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে ব্যাপক আত্মসাতের সময় ব্যাংকটির শীর্ষে থাকা তৎকালীন বোর্ড সদস্যদের জড়িত করেনি।
২০০৯ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে এক সময়ের সবল সরকারি এই ব্যাংক থেকে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হয়। এর মধ্যে ৯৫ শতাংশের বেশি অনুমোদন দিয়েছে বোর্ড।
২০১৫ সালে এই কেলেঙ্কারির ঘটনায় দুদক ৫৬টি মামলা করলেও বোর্ড সদস্যদের কাউকেই আসামি করা হয়নি। পরে আরও চারটি মামলা দায়ের করা হয়।
Comments