রাহাত মিনহাজ, সহকারী অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
বাংলাদেশের শিক্ষাঙ্গন ট্যাগিংমুক্ত ও মব সন্ত্রাস মুক্ত হোক। প্রতিষ্ঠিত হোক নিয়ন-নীতি ও আইনের শাসন।
দেশবাসী অত্যন্ত পরিতাপের সঙ্গে প্রত্যক্ষ করছে সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচারে সামান্য অগ্রগতিও হয়নি।
কোনো কিছু ঘটলেই যেমন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করা যৌক্তিক নয়, আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে উপাচার্যের পদ আকড়ে থাকাও লজ্জার। এতে সব পক্ষের ক্ষতি।
আমার ঠিক জানা নেই মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে সরকার তাদের অবস্থান কবে পরিবর্তন করবে।
‘লালমাটিয়ার ঘটনায় নাগরিক অধিকার ও অবনতিশীল আইন-শৃঙ্খলায় নীতি পুলিশিং নিয়ে সমাজে বড় পরিসরে ভীতি ছড়িয়ে পড়ছে। তা আরও পাকাপোক্ত করেছেন স্বয়ং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।’
কিন্তু এই গ্যারান্টি যাদের কাছে চাইব, আপাতদৃষ্টিতে মনে হয় তারা ভিন্ন বিভ্রমে মগ্ন।
কে ধ্বংস করছে অভ্যুত্থানের এই অমূল্য ফসল? কে প্রতিষ্ঠা করছে ভারতীয় বয়ান?
নতুন বাংলাদেশের পুলিশের উচিত, নাগরিকের মত প্রকাশকে ইতিবাচকভাবে উৎসাহিত করা, ভয়ের সংস্কৃতি ছড়িয়ে দেওয়া নয়।
কেন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো এত দুর্বল হবে? তাহলে কি রাষ্ট্র হিসেবে আমরা এত বছর এগোনোর বদলে শুধুই পিছিয়েছি?
‘এই নির্বিচার হত্যাকাণ্ড আওয়ামী লীগের ভাবাদর্শ প্রচারকারীদের শুধু অসাড়ই করে দেয়নি, অনেকটা বিপদেও ফেলে দিয়েছে। শেখ হাসিনার এমন পলায়নে তারা হতভম্ব, বিস্মিত।’
সুশাসন থেকে বঞ্চিত, পদে পদে বৈষম্যের শিকার, দুর্নীতিপিড়ীত, দ্রব্যমূল্যের যাঁতাকলে পিষ্ঠ মানুষকে আর রাজাকার তকমা দিয়ে দানবীকরণ করে ঠেকিয়ে রাখা যাবে না।
বর্তমান বিরোধী দল বিএনপি যেমন ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার কাফফারা এখনো দিয়ে যাচ্ছে, ঠিক তেমনি এই ছাত্র নির্যাতন ও হত্যার জের হয়তো কাউকে না কাউকে দীর্ঘদিন বহন করতে হবে।
কারণে-অকারণে এই অন্ধ আনুগত্য, স্তুতি-স্তাবকতা আর প্রতিবাদহীন থাকার কারণে শিক্ষকদের আজকের অপাঙ্ক্তেয় হয়ে পড়ার কোনো যোগসূত্র আছে কি না, তা ভেবে দেখা যেতে পারে। আমার ধারণা, এর সংযোগ আছে। শতভাগ আছে।...
২০২৪ সালে এই ক্ষোভ ধ্বংসাত্মক রূপ নেওয়ার আগেই একটি কমিশন গঠন করে কোটা-ব্যবস্থার সংস্কার জরুরি।
‘প্রত্যয়’ পরিকল্পনার সাফাই গেয়ে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের কর্তাব্যক্তিরা ভারতের উদাহরণ টেনেছেন। কিন্তু ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন স্কেল আর বাংলাদেশের স্কেল কি এক? পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা...
নিশ্চিতভাবেই এই আন্দোলনে শিক্ষকদের দাবি ও যুক্তিগুলো যৌক্তিক। কিন্তু দাবি আদায়ে ক্লাস ও অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হওয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
হৃদয়রন্ধ্রের অতি সংবেদনশীল স্থানে শিক্ষকের বাস। শিক্ষকের নশ্বর দেহ পঞ্চভূতে বিলীন হলেও তিনি অনন্তকাল বাস করেন হাজারো শিক্ষার্থীর হৃদয় গহীনে।
চলমান এই বিরোধ সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অচলাবস্থা তৈরি করতে চলছে।