টুইটারের সঙ্গে আইনি লড়াইয়ে তথ্য চেয়েছেন মাস্ক
টুইটারের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইর প্রস্তুতি হিসেবে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক কয়েকটি প্রযুক্তিভিত্তিক বিজ্ঞাপন নিরীক্ষা সংস্থার কাছ থেকে কিছু তথ্য চেয়েছেন।
গতকাল বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের ডেলাওয়্যারের এক আদালতে এই বিষয়ে মাস্কের আইনজীবীরা প্রয়োজনীয় নথি জমা দিয়েছেন। মূলত, টুইটারের বট ও স্প্যাম অ্যাকাউন্ট বিষয়ে তথ্য জোগাড়ের চেষ্টা চালাচ্ছেন ইলন মাস্ক।
কিছুদিন আগে, খেয়ালী উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টুইটার কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং ৪৪ বিলিয়ন ডলার দাম হাঁকেন।
তবে পরবর্তীতে মাস্ক অভিযোগ করেন, টুইটার তাদের সেবায় বট ও স্প্যাম অ্যাকাউন্টের আনুপাতিক হার সম্পর্কিত তথ্য গোপন করেছে। বারবার টুইটারের কাছে সঠিক তথ্য চেয়েও পাননি, এ কথা বলে মাস্ক ৪৪ বিলিয়ন ডলারের বিক্রয়-চুক্তি থেকে সরে আসার ঘোষণা দেন। এরপর টুইটার মাস্কের বিরুদ্ধে চুক্তিভঙ্গের অভিযোগে মামলা করে।
আগামী ১৭ অক্টোবর এই মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে।
মাস্কের আইনজীবীরা ইন্টিগ্রাল অ্যাড সায়েন্স (আইএএস) ও ডাবলভেরিফাই নামের ২টি প্রতিষ্ঠানের কাছে টুইটারের ব্যবহারকারী সম্পর্কিত তথ্য চেয়েছেন।
এই ২টি প্রতিষ্ঠান প্রযুক্তির মাধ্যমে নিরপেক্ষভাবে যাচাই করে যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ডিজিটাল বিজ্ঞাপনগুলো সত্যিকারের মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে কী না।
বিজ্ঞাপনদাতারা এ ধরনের সেবার মাধ্যমে নিশ্চিত হয় যে তাদের বিজ্ঞাপনগুলো প্রকৃত ব্যবহারকারীদের কাছেই যাচ্ছে, বট অ্যাকাউন্ট (স্বয়ংক্রিয়, কম্পিউটারের মাধ্যমে পরিচালিত ভুয়া অ্যাকাউন্ট) নয়। এক অর্থে একে বিজ্ঞাপনের 'অডিট' বা নিরীক্ষা বলা যেতে পারে।
এ ক্ষেত্রে সহজ যুক্তি, বট অ্যাকাউন্ট বিজ্ঞাপন দেখে কিছু কিনবে না। ফলে বিজ্ঞাপনের পেছনে খরচটাও বিফলে যাবে।
টুইটার, আইএএস ও ডাবলভেরিফাই তাৎক্ষণিক ভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
টুইটারের এক ব্যবহারকারী ইলন মাস্কের কাছে জানতে চান, কীভাবে টুইটার তার সেবার উপযোগিতা নিরীক্ষা করে। মাস্ক উত্তর দেন, 'এ প্রশ্নগুলো এড়ানোর জন্য টুইটার সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে।'
টুইটারের বিরুদ্ধে পালটা অভিযোগে মাস্ক দাবি করেন, বট অ্যাকাউন্ট বাদ দিয়ে টুইটারের দৈনিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা তাদের দাবির চেয়ে ৬ কোটি ৫০ লাখ কম।
টুইটার এ দাবি মেনে নেয়নি।
Comments