স্থানীয় মৎস্য বিভাগ ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেও এর যৌক্তিক উত্তর পাওয়া যায়নি।
চালান দুটি চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে সিঙ্গাপুর ও সৌদি আরবে রপ্তানির চেষ্টা করা হচ্ছিল।
বাণিজ্য তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ভারতের প্রধান রপ্তানি পণ্য তুলা রপ্তানি কমেছে প্রায় ১০ শতাংশ।
ডলার ঘাটতি ও টাকার অবমূল্যায়নের কারণে আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়ায় এ দৃশ্য দেখা যাচ্ছে।
তবে আগের অর্থবছরের রপ্তানি তথ্য প্রকাশ করেনি বাংলাদেশ ব্যাংক।
তথ্য সংশোধনের পর বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, এ সময়ে প্রকৃত রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৪০ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার, যা ইপিবির দেওয়া তথ্যের চেয়ে ১০ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার বা ২১ শতাংশ কম।
তথ্যের নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত ও নীতিগুলো প্রমাণ-ভিত্তিক করতে চায় সরকার। এজন্য বিশ্ববাজারে বিক্রির রিয়েল-টাইম তথ্য প্রকাশে একটি প্ল্যাটফর্ম চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এই কেলেঙ্কারির জন্য কাকে দায়ী করা উচিত?
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শ অনুযায়ী কেন্দ্রীয় ব্যাংক গরমিল সমন্বয়ের পর রপ্তানি ১৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার কমে ৩৩ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
রপ্তানি প্রবৃদ্ধির ধীর গতি ও রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে যাওয়া অর্থনীতির জন্য ভালো সংবাদ নয়, বরং তা উদ্বেগজনক।
গত বছরের আগস্টে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি তার আগের বছরের চেয়ে ৩৬ শতাংশ বেড়েছিল, যা এবার হয়েছে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশীয় আইটি প্রতিষ্ঠানগুলোর আয় আগের বছরের তুলনায় ৭ দশমিক ৪২ শতাংশ কমে ৫৪৮ দশমিক ১০ মিলিয়ন ডলার হয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি বেড়েছে। কারণ স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) হিসেবে ভারত থেকে কিছু সুবিধা পেয়েছে বাংলাদেশ।
চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৭০০ টন আম রপ্তানি হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় ১ হাজার টন বেশি।
চলতি বছরের জুলাইয়ে বাংলাদেশের রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৫ দশমিক ২৬ শতাংশ বেড়েছে।
গত অর্থবছরে চীনে বাংলাদেশের রপ্তানি ৬৭৭ মিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে, যা গত ৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
আইএমএফের শর্তে বাজারভিত্তিক ঋণের সুদহার নির্ধারণের ধারাবাহিকতায় এবার প্রি-শিপমেন্ট ঋণের সুদ হারও বাড়তে যাচ্ছে।
ভারতে উৎপাদিত আপেলের ২ শতাংশেরও কম বাংলাদেশ ও নেপালে রপ্তানি হয়।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুসারে, ২০২১-২২ অর্থবছরে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১০ দশিমিক ৪১ বিলিয়ন ডলার।