৩০০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে চায় বাংলাদেশ: টিপু মুনশি

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, রপ্তানি, ডলার, রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা,
রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘চতুর্থ বাংলাদেশ লেদার ফুটওয়্যার অ্যান্ড লেদারগুডস ইন্টারন্যাশনাল সোর্সিং শো-ব্লিস ২০২৩’ উপলক্ষে লেদার গুডস এন্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফেকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এলএফএমইএবি) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: সংগৃহীত

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ২০৪১ সালের মধ্যে রপ্তানি আয় ৩০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে চায় বাংলাদেশ। এ লক্ষ্য অর্জনে দেশের রপ্তানি খাতকে বহুমুখীকরণ করতে সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে তা বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করছে।

আজ রোববার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে 'চতুর্থ বাংলাদেশ লেদার ফুটওয়্যার অ্যান্ড লেদারগুডস ইন্টারন্যাশনাল সোর্সিং শো-ব্লিস ২০২৩' উপলক্ষে লেদার গুডস এন্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফেকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এলএফএমইএবি) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, 'দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে প্রভাবিত করার অন্যতম হাতিয়ার রপ্তানি বহুমুখীকরণ। বাংলাদেশ বর্তমানে এশিয়ার অন্যতম রপ্তানিমুখী দেশ হিসেবে বিশ্ববাজারে আর্বিভূত হয়েছে। রপ্তানিমুখী প্রবৃদ্ধি সুসংহত করতে এবং রপ্তানি বহুমুখী করার লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিদেশি ক্রেতা-ব্র্যান্ডস ও বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে উদ্ভাবনী নীতি প্রণয়ন ও ব্যবসাবান্ধব নীতি সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।'

'দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি আয় করা চামড়া, চামড়াজাত পণ্য ২০৪১ সালের মধ্যে ৩০০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।'

টিপু মুনশি আরও বলেন, 'রপ্তানি আয়কে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চামড়াজাত পণ্য  গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। বিশ্ববাজারে চামড়াজাত পণ্য সরবরাহের জন্য বাংলাদেশ একটি নির্ভরযোগ্য গন্তব্য হিসেবে দ্রুত স্থান করে নিচ্ছে। বিশ্ববাজারে প্রবেশ করতে হবে। আমাদের পণ্যের কোয়ালিটি অনেক এগিয়ে গেছে যা আন্তর্জাতিক মান ধরে রেখেছে। এসব পণ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে তুলে ধরতে ব্র্যান্ডিংয়ের বিকল্প নেই। ব্লিস-২০২৩ এই লক্ষ্য অর্জনে অসামান্য অবদান রাখবে।'

'বর্তমানে আমাদের টোটাল রপ্তানির তৈরি পোশাক খাত ৮৩ ভাগ দখল করে আছে। কিন্তু, এই খাত একদিনে এই জায়গায় আসেনি! চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের একটি বিশাল সম্ভাবনা আছে। এটি অনেক সম্ভাবনাময় একটি খাত। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চামড়া শিল্পখাতসহ সকল রপ্তানি শিল্পগুলোর সমান নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে।'

Comments

The Daily Star  | English

The ceasefire that couldn't heal: Reflections from a survivor

I can’t forget the days in Gaza’s hospitals—the sight of dismembered children and the cries from phosphorus burns.

5h ago