শিরোপা জিততে না পারার গভীর বেদনা নিয়ে এতদিন চুপ করে ছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তিন সপ্তাহের বেশি সময় পর অবশেষে নীরবতা ভেঙে তিনি বললেন, জীবন থেমে থাকে না।
বড় স্বপ্ন নিয়েই ওয়ানডে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ আসরে খেলতে গিয়েছিল সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন দল।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেমিফাইনালে ৫১ রানে ৩ উইকেট নেন কামিন্স। ফাইনালে কামিন্স ছিলেন আরও দুর্দান্ত। ১০ ওভারের স্পেলে স্রেফ ৩৪ রান দিয়ে তিনি আউট করেন বিরাট কোহলি আর শ্রেয়াস আইয়ারকে।
বুধবার বিশ্বকাপ নিয়ে দেশে ফেরে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের একটি বহর। কিন্তু হাতেগোনা কয়েকটি গণমাধ্যম ক্যামেরা ছাড়া তাদের স্বাগত জানাতে সেভাবে কোন ভিড় হয়নি।
বিশকাপ জিতে নেওয়ার ঘোর যেন এখনও কাটিয়ে উঠতে পারছেন না অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।
বাংলাদেশ রিভিউয়ে ভালো, এমন কোনো ধারণা কারো মনেই বোধহয় না থাকবে। উল্টো খারাপ বলে উঠতে একটুও দ্বিধায় পড়বেন না কেউ কেউ। তবে ২০২৩ বিশ্বকাপের রিভিউয়ের হিসাব-নিকাশ দেখলে চমকেই উঠতে পারেন।
অবশ্য বিশ্বকাপ দলেই থাকার কথা ছিল না লাবুশেনের
টানা দশ ম্যাচ জিতে দাপটের সঙ্গে ফাইনালে উঠে ভারত হেরে যায় অস্ট্রেলিয়ার কাছে। আসল ম্যাচটা হারলেও গোটা টুর্নামেন্টে তাদের দারুণ খেলার প্রভাব পড়েছে বিশ্বকাপের সেরা একাদশ নির্বাচনে।
বিশ্বকাপ ট্রফিটা প্রায় নিজেদের সম্পত্তি বানিয়ে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া। এই নিয়ে তারা কাপ জিতল ৬বার। বাকিদের কেউ দুইবারের বেশি করতে পারেনি এই অর্জন। গৌরবের ট্রফির জয়ের পাশাপাশি মোটা অঙ্কের অর্থযোগও হচ্ছে...
স্বাগতিকরা সেমিফাইনালের আগে অপরাজিতই থাকল। অস্ট্রেলিয়ার পর দ্বিতীয় দল হিসেবে বিশ্বকাপের কোনো আসরে টানা নয়টি জয় পেল তারা।
ডাচদের বিপক্ষে ওপেনিংয়ে নেমে ৬১ রান করেন রোহিত। ৫৪ বলের আক্রমণাত্মক ইনিংসে ৮ চারের সঙ্গে ২ ছক্কা মারেন তিনি।
মাত্র ৬২ বলে সেঞ্চুরির স্বাদ পান রাহুল। বিশ্বকাপে ভারতের দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডটা নিজের করে নেন তিনি। শেষমেশ তিনি থামেন ৬৪ বলে ১০২ রানে। ৯৪ বলে ১২৮ রানের অপরাজিত ইনিংসে শ্রেয়াস আইয়ার পান...
দুই সংস্করণেই অধিনায়ক হিসেবে বহাল আছেন জস বাটলার। তিনি ছাড়া বিশ্বকাপ স্কোয়াডের যারা টিকে গেছেন নতুন ওয়ানডে দলে তারা হলেন গাস অ্যাটকিনসন, হ্যারি ব্রুক, ব্রাইডন কার্স, স্যাম কারান ও লিয়াম লিভিংস্টোন।
অন্যদিকে শচীনের একটি রেকর্ড ছুঁয়েছেন অধিনায়ক রোহিত শর্মাও। এছাড়া আরও দুটি রেকর্ড গড়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক।
বিশ্বকাপ শেষে ওয়ানডে ক্রিকেট নিয়ে ভেবে-চিন্তেই সিদ্ধান্ত নিবেন স্টোকস
তালগোল পাকানো পরিকল্পনা, মাঠে ইতিবাচক অ্যাপ্রোচের ঘাটতি। সব মিলিয়ে বাংলাদেশকে মনে হয়েছে বিশ্বকাপে একদমই মলিন। ২০০৩ সালের পর তাই বিশ্বকাপে সবচেয়ে বাজে ফল করে ফিরলেন তারা।
গিবসনের অসমাপ্ত কাজ দারুণভাবে সামলে পেসারদের শান দিচ্ছিলেন অ্যালান ডোনাল্ড। তিনিও থাকলেন না। তার বিদায়ের পর এবার আরেকজন এরকম ভালো কোচের প্রত্যাশায় তাসকিন।
এবার বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডার যেন ছিল এক গোলক-ধাঁধার নাম। যে কারো পক্ষে উত্তর মেলানো ছিলো কঠিন। সেই ধাঁধার চক্রে পড়ে নাজমুল হোসেন শান্তরা নিজেরাও ঘুরপাক খেয়েছেন।
সেমির স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে যাওয়ার দিনে শেষমেশ হারই মানতে হলো বাবর আজমদের। তাদের বিপক্ষে ৯৩ রানে জিতল আগের আসরের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড।