ব্যাংকগুলো এলসি খুলতে প্রতি ডলারে ১২০ টাকা পর্যন্ত নিচ্ছে। রেমিট্যান্স ও রপ্তানি বিলের ক্ষেত্রে প্রতি ডলারের দাম ১১৮ টাকার বেশি।
ক্রলিং পেগ পদ্ধতি চালুর পরদিনেই খোলাবাজারে মার্কিন ডলারের দাম ১২৫ টাকা পর্যন্ত উঠেছে।
মুদ্রানীতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, ভবিষ্যতে বাজারভিত্তিক বিনিময় হার ব্যবস্থা চালুর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ক্রলিং পেগ পদ্ধতি চালু করা হবে।
তবে তালিকাভুক্ত ২৯ পোশাক কারখানার মধ্যে ১৩টির মুনাফা কমেছে এবং পাঁচটি নতুন করে লোকসান গুণেছে।
গত তিন সপ্তাহের মধ্যে তৃতীয়বারের মতো ব্যাংকগুলো ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময় হার বাড়িয়েছে। গত দুই বছরের মধ্যে টাকার বিপরীতে ডলারের দাম প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়ে যেতে দেখা যায়।
গত বুধবার বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এবিবি) রপ্তানিকারক ও প্রবাসীদের কাছ থেকে প্রতি ডলার ১১০ টাকায় কেনার এবং আমদানিকারকদের কাছে...
মানি চেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি এ কে এম ইসমাইল হক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, রোববার সন্ধ্যায় ডলারের দাম ১২৩ টাকায় নেমে এসেছে।
‘কেন্দ্রীয় ব্যাংক সতর্ক করে দিয়ে বলেছে যে—ব্যাংকগুলো যদি এবিবি-বাফেডা নির্ধারিত হারকে না মেনে চলে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
খোলা বাজারে একদিনে মার্কিন ডলারের দাম ৫-৬ টাকা বেড়ে গেছে। আজ মানি এক্সচেঞ্জগুলোতে প্রতি ডলার বিক্রি হয়েছে ১২৭ টাকায়। অথচ একদিন আগেও এর দাম ছিল ১২১-১২২ টাকা। সংশ্লিষ্টরা জানান, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ...
দেশের ইতিহাসে আন্তঃব্যাংক লেনদেনে ডলারের বিনিময় হার এটাই সর্বোচ্চ।
মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার মান আরও কমেছে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে প্রতি ডলার এখন ১০৪ দশমিক ৫ টাকায় বিক্রি করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রবাসীদের ক্ষেত্রে ব্যাংক প্রতি ডলারের মূল্য ১০৮ টাকা দেবে। তবে এর সঙ্গে সরকার ঘোষিত ২ দশমিক ৫ শতাংশ প্রণোদনা যোগ হবে।
এতদিন প্রতি ডলারের বিনিময়ে ১০৩ টাকা পেতেন রপ্তানিকারকরা।
মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার দরপতনের কারণে গত এক বছরে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো ৬৫ হাজার কোটি টাকা লোকসান করেছে বলে জানিয়েছেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর।
যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি কমাতে সুদের হার বাড়ানোর ইঙ্গিত দেওয়ায় বিশ্ববাজারে ডলারের দাম গত ২০ বছরে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।