দক্ষিণ কোরিয়ায় উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭৬

দক্ষিণ করিয়ায় উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা
ছবি: ইয়নহাপ/রয়টার্স

দক্ষিণ কোরিয়ার একটি বিমানবন্দরে ১৮১ জন আরোহী নিয়ে একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭৬ জনে পৌঁছেছে।

বার্তা সংস্থা ইয়নহাপের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, আজ রোববার ভোরে উড়োজাহাজটি রানওয়ে থেকে ছিটকে গিয়ে দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একটি দেয়ালে ধাক্কা খায়। 

ফায়ার সার্ভিসের বরাত দিয়ে এপি জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭৬ হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৮৩ নারী ও ৮২ জন পুরুষ। ১১ জনের পরিচয় জানা যায়নি। 

১৭৫ জন যাত্রী ও ছয়জন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট নিয়ে জেজু এয়ারের বিমানটি থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে ফেরার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার ভিডিও

রয়টার্স জানিয়েছে, ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে চাকা ছাড়াই উড়োজাহাজটি অবতরণ করে। দেওয়ালে আঘাত করার পর আগুনে ভস্মীভূত হয় এটি। 

ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, এ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুইজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার অভিযান চলছে।

বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তা জানান, জরুরি সেবা বিভাগ বিমানটির লেজের অংশ থেকে লোকজনকে উদ্ধারের চেষ্টা করছে।

যাত্রীদের মধ্যে ১৭৩ জন দক্ষিণ কোরিয়ার ও দুজন থাইল্যান্ডের নাগরিক ছিলেন বলে জানিয়েছে ইয়নহাপ।

বিধ্বস্তের কারণ এখনো জানা না গেলেও স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বিমানের সিস্টেমে পাখি আটকে যাওয়ার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।

উড়োজাহাজ থেকে ক্রেন ব্যবহার করে পুড়ে যাওয়া চেয়ার বের করা হচ্ছে। ছবি: রয়টার্স
উড়োজাহাজ থেকে ক্রেন ব্যবহার করে পুড়ে যাওয়া চেয়ার বের করা হচ্ছে। ছবি: রয়টার্স

দমকল বাহিনীর এক কর্মকর্তা বলেন, 'উড়োজাহাজটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে বলা যায়'। মরদেহ উদ্ধার কার্যক্রমের গতি কমে এসেছে বলেও তিনি জানান। 

মুয়ানের ফায়ার সার্ভিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, 'উড়োজাহাজের বেশিরভাগ অংশ পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে এবং নিহতদের পরিচয় জানা বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে। আমরা তাদের মরদেহ চিহ্নিত করে উদ্ধার করছি। এতে অনেক সময় লাগছে।'

'দেওয়ালের সঙ্গে ধাক্কা খাওয়ার পর আরোহীরা উড়োজাহাজ থেকে ছিটকে বাইরে পড়ে যান। যার ফলে কারও জীবিত থাকার সম্ভাবনা খুবই কম', বলেন তিনি। 

 

Comments

The Daily Star  | English
challenges for police to regain public trust

Cops want own commission with sweeping powers

Independent body to end politicisation, nepotism, corruption

13h ago