মসজিদে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ২১, হামাসের 'কমান্ড সেন্টার' দাবি

দেইর আল বালাহর এই মসজিদটি সেপ্টেম্বরে ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংস হয়। ফাইল ছবি: রয়টার্স
দেইর আল বালাহর এই মসজিদটি সেপ্টেম্বরে ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংস হয়। ফাইল ছবি: রয়টার্স

গাজার দেইর আল বালাহ এলাকার একটি মসজিদে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এই হামলায় অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছেন।

আজ রোববার এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা।

যথারীতি, ইসরায়েলের দাবি, এই মসজিদটি হামাসের 'নিয়ন্ত্রণকেন্দ্র' হিসেবে ব্যবহার হচ্ছিল।

শুরুতে নিহতের সংখ্যা ১৮ বলে জানানো হয়েছিল।

গাজার দেইর-এল-বালাহ এলাকায় আল-আকসা মার্টিয়ার্স হাসপাতালের পাশে সাহদা আল-আকসা মসজিদে বিমান হামলার এই ঘটনাটি ঘটেছে।

বছরখানেক ধরে চলা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে বাস্তুচ্যুত হওয়া বহু ফিলিস্তিনি ওই মসজিদে আশ্রয় নিয়ে ছিলেন।

সামাজিক মাধ্যম এক্সে প্রকাশিত বিবৃতিতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) দাবি করেছে, 'দেইর-এল-বালাহ এলাকায় সাহদা আল-আকসা মসজিদটি নিজেদের সামরিক কর্মকাণ্ডের নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করছিল হামাস।

এই কেন্দ্রকে হামাস 'কমান্ড ও কন্ট্রোল কমপ্লেক্স' হিসেবে ব্যবহার করছিল বলে ওই এক্স বার্তায় জানানো হয়। তাই সেখানে বোমা হামলা চালানো হয়েছে। তবে এ অভিযোগের বিষয়ে কোনো তথ্যপ্রমাণ দেওয়া হয়নি।

ইসরায়েলে হামাসের নজিরবিহীন হামলার এক বছর পূর্ণ হচ্ছে আগামীকাল সোমবার (৭ অক্টোবর)।

হামাসের হামলায় এক হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হন ও তাদের হাতে ২৫০ জিম্মি আটক হন। সেদিন থেকেই ইসরায়েল গাজায় প্রতিশোধমূলক, নির্বিচার হামলা অব্যাহত রেখেছে। এক বছরের এই যুদ্ধে মাত্র ১৪ দিন যুদ্ধবিরতি দেওয়া হয়েছিল গত নভেম্বরে। বিমান হামলার পাশাপাশি স্থল অভিযানে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৪১ হাজার পেরিয়েছে।

এরই মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশেও এই যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়েছে।

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

4h ago