ইরানে হামলার উদ্দেশ্য শাসক পরিবর্তন নয়: যুক্তরাষ্ট্র

অনেক জল্পনা কল্পনার পর অবশেষে ইরানে সরাসরি হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ওয়াশিংটন দাবি করেছে, দেশটির তিন পরমাণু স্থাপনায় হামলার পেছনে ইরানের শাসক পরিবর্তনের কোনো পরিকল্পনা নেই।
আজ রোববার এই তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি আরও জানান, হামলার আগে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে তেহরানের কাছে সরাসরি বার্তা পাঠিয়ে দরকষাকষি ও আলোচনার আহ্বান জানানো হয়েছিল।
তবে 'অপারেশন মিডনাইট' নাম দেওয়া সামরিক অভিযানের খুঁটিনাটি বিষয় অত্যন্ত গোপনীয় রাখা হয়েছিল। ওয়াশিংটন ও ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে মার্কিন সেনাবাহিনীর মধ্যপ্রাচ্য বিষয় সদর দপ্তরের কয়েকজন কর্মকর্তা ছাড়া এই অভিযান সম্পর্কে তেমন কেউ জানতেন না।
এই অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে সাতটি বি-২ বোমারু বিমান ইরানে উড়ে যায়। বিমানগুলো ১৪টি বাঙ্কার বাস্টার বোমা নিক্ষেপ করেছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফস এর চেয়ারম্যান জেনারেল ড্যান কেইন।
যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার বিষয়ে ইরানকে হুশিয়ারি দিয়েছেন হেগসেথ। তিনি জানান, এ ধরণের কোনো উদ্যোগ দেওয়া হলে মার্কিন বাহিনী নিজেদের সুরক্ষা দেবে।
পেন্টাগনে সাংবাদিকদের বলেন হেগসেথ, 'ইরানের শাসক পরিবর্তন এই অভিযানের উদ্দেশ্য ছিল না।'
'প্রেসিডেন্ট (ট্রাম্প) একটি নিখুঁত অভিযান চালিয়ে ইরানের পরমাণু প্রকল্প আমাদের জাতীয় স্বার্থের প্রতি যেসব হুমকি সৃষ্টি করেছে তা নির্মূল করার অনুমোদন দিয়েছেন', যোগ করেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের এই অভিযানে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যে বড় আকারে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গাজায় ২০ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসন, লেবাননে ইসরায়েলের হামলা ও সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদের পতন—সব মিলিয়ে একেবারে উত্তপ্ত অবস্থায় আছে ওই অঞ্চলটি।
হেগসেথ আরও জানান, মার্কিন যুদ্ধবিমান হামলা শেষ করে ইরানের আকাশসীমা থেকে বের হয়ে আসার পর পেন্টাগন দেশটির আইনপ্রণেতাদের এই অভিযানের বিস্তারিত জানিয়েছে।
হেগসেথ বলেন, এটি একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে পরিচালিত অভিযান ছিল এবং আগে থেকেই অভিযানের গণ্ডি নির্ধারণ করা ছিল।
'প্রেসিডেন্ট আমাদেরকে স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন। এই অভিযানটিতে (সেনাদের) ইচ্ছামতো কাজ করার কোনো সুযোগ ছিল না', যোগ করেন তিনি।
Comments