১০ জন নিয়ে উরুগুয়েকে হারিয়ে ফাইনালে কলম্বিয়া
৩৯ মিনিটে গোল দিয়ে এগিয়ে গেলেও প্রথমার্ধের একদম শেষ দিকে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লেন ড্যানিয়েল মুনোজ। দ্বিতীয়ার্ধের পুরোটা তাই একজন কম নিয় খেলল কলম্বিয়া। তবে তাতেও সুযোগ কাজে লাগাতে পারল না উরুগুয়ে। দারুণ জয়ে কোপা আমেরিকার ফাইনালে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ হয়ে গেল কলম্বিয়া।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় সকালে শার্লটে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে কলম্বিয়া জিতেছে ১-০ গোলে। দলের হয়ে ম্যাচ জেতানো গোল করেন জেফারসন লেরমা। ২০০১ সালের পর এই প্রথম কোপার ফাইনালে উঠল কলম্বিয়া। সেবার মেক্সিকোকে হারিয়ে প্রথমবার মহাদেশীয় এই আসরে চ্যাম্পিয়নও হয়েছিলো দলটি।
দ্বিতীয়ার্ধে একজন বেশি নিয়ে খেলায় স্বাভাবিকভাবেই বল দখলের হার উরুগুয়ের বেশি ছিলো। তবে একজন কম নিয়েও ধারালো ফুটবল উপহার দিয়ে সুযোগ বেশি তৈরি করেছে কলম্বিয়া। ১১ শট নিয়ে ৪টি লক্ষ্যে রেখতে পেরেছে তারা। ১১ শটের ২টি লক্ষে রাখতে পেরেছে উরুগুয়ে।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ করে প্রেসিং ফুটবল খেলতে থাকে কলম্বিয়া। তবে বারবার ফাউল হওয়ায় বাধাগ্রস্ত হয় ম্যাচের গতি। ৩৯ মিনিটে কাঙ্খিত মুহূর্ত পায় কলম্বিয়া। পুরো আসরে দারুণ ফুটবল খেলা হামেস রদ্রিগেজের কাছ থেকে বল পেয়ে হেডে জালে জড়িয়ে দেন লেরমা।
এই টুর্নামেন্টে রদ্রিগেজের এটি ৬ষ্ঠ অ্যাস্টিস্ট। তাতে তিনি ছাড়িয়ে যান লিওনেল মেসিকে। ২০২১ সালের কোপা জয়ের পথে ৫টি অ্যাসিস্ট করেছিলেন মেসি। এক আসরে ৬ অ্যাসিষ্ট করে এখন সেই রেকর্ড রদ্রিগেজের।
এক গোলে এগিয়ে ৫ মিনিট পর আরেকটি সুযোগ পায় কলম্বিয়া। সেটা হাতছাড়া হওয়ার পর বিশাল ধাক্কা খায় দলটি। ম্যানুয়াল উগার্তেকে বুকে ধাক্কা দিয়ে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে বেরিয়ে যান মুনোজ। এর আগে ৩২ মিনিটে তিনি পেয়েছিলেন প্রথম হলুদ কার্ড।
বিরতির পর একজন কম নিয়ে রক্ষণে শক্তি বাড়ায় কলম্বিয়া। ১১ জন নিয়ে পুরো একটা অর্ধ বাড়তি সুবিধা পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি উরুগুয়ে। একাধিক সুযোগ নষ্ট করেন দারউইন নুনেজ। অভিজ্ঞ লুইস সুয়ারসকে নামিয়েও কাজ হয়নি। সুযোগ হারান তিনিও। উল্টো আরও গোল পেতে পারত কলম্বিয়া। ৮৮ মিনিটে উরুগুয়ের গোলরক্ষক রচেটের ভুলে বল পেয়ে যান উরুবে। তিনি সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন। যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে উরিবের শট বারে লেগে প্রতিহত হয়ে যায়।
Comments