যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে রাজি হামাস, ইসরায়েল বলছে ‘এই চুক্তি আমরা করিনি’

কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে রাজি হয়েছে হামাস।
যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে রাজি হামাস, ইসরায়েল বলছে ‘এই চুক্তি আমরা করিনি’
ফাইল ফটো | ছবি: এএফপি

কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে রাজি হয়েছে হামাস। তবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা এই চুক্তি করেনি।

সোমবার আল জাজিরা ও দ্য টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

হামাসের এক কর্মকর্তা বলেন যে, যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে তারা সম্মত হয়েছেন, তা তিন ধাপে সম্পন্ন হবে।

হামাসের ডেপুটি চিফ খলিল আল-হাইয়া বলেন, চুক্তির প্রতিটি পর্যায় ৪২ দিনের।

প্রথম ধাপে ইসরায়েলি-ফিলিস্তিনিদের মধ্যে বন্দি বিনিময় হবে, যার মধ্যে ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিকরাও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

দ্বিতীয় ধাপে গাজায় ইসরায়েলি উপস্থিতি পুরোপুরি প্রত্যাহার করতে হবে।

হামাস এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলেছে, তাদের প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ কাতারি এবং মিশরীয় মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়েছেন যে, তারা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলছে, গাজায় বন্দি-জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাব বিবেচনা করা হবে, যদিও গাজায় অভিযান অব্যাহত থাকবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেন, হামাস যে চুক্তিতে সম্মতি জানাচ্ছে, সেটি মিশরের প্রস্তাব এবং এতে এমন কিছু আছে যা ইসরায়েল গ্রহণ করবে না।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী সোমবার হামলার হুমকি দিয়ে রাফাহ থেকে বাসিন্দাদের 'অবিলম্বে সরে যাওয়ার' আহ্বান জানানোর পর, গাজা থেকে সেখানে আশ্রয় নেওয়া ফিলিস্তিনিরা পূর্ব রাফাহ ছেড়ে যেতে শুরু করেন।

গত ৭ অক্টোবর থেকে প্রায় সাত মাস যুদ্ধের মধ্যে অন্তত ১০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি রাফায় আশ্রয় নিয়েছেন।

মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি আলোচনা গত শনিবার ‍শুরু হয়।

আল জাজিরা জানায়, এই চুক্তি সম্পাদন হলে গাজায় ইসরায়েলি অভিযান সাময়িকভাবে বন্ধ হবে এবং বিনিময়ে জিম্মিরা মুক্তি পাবেন।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

6h ago