গাজা পুনর্গঠন

ট্রাম্পের প্রস্তাবের বিপরীতে ৫৩ বিলিয়ন ডলারের পরিকল্পনা আরব লিগের

কায়রোর সম্মেলনে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে স্বাগত জানাচ্ছেন মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি | ছবি: এএফপি

গাজা পুনর্গঠনের জন্য ৫৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি পরিকল্পনার অনুমোদন দিয়েছেন আরব লিগের নেতারা।

গার্ডিয়ান ও এএফপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মঙ্গলবার কায়রোতে অনুষ্ঠিত আরব লিগের সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিতর্কিত প্রস্তাবের বিপরীতে একটি বিকল্প পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়।

নতুন এই প্রস্তাবে গাজায় জরুরি সহায়তা, বিধ্বস্ত অবকাঠামো পুনর্গঠন এবং দীর্ঘ মেয়াদি অর্থনৈতিক উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি বলেন, তার সরকারের এই পুনর্গঠন পরিকল্পনা ফিলিস্তিনিদের 'নিজ ভূখণ্ডে থাকার' অধিকার নিশ্চিত করবে।

পরে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, এই পরিকল্পনাকে 'সম্পূর্ণ সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত' জাতিসংঘ।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, গাজার পুনর্গঠনের জন্য একটি ট্রাস্ট তহবিল গড়ে তোলা হবে এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) অধীনে অঞ্চলটি পরিচালিত হবে।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই ট্রাস্ট তহবিল গঠনে সাহায্য করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ফাতাহ বা ফিলিস্তিন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএলও) নিয়ন্ত্রিত একটি সরকারব্যবস্থা। তারা মূলত অধিকৃত পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি জনগণের দায়িত্বে। ২০০৬ সালের ফিলিস্তিনি নির্বাচনের পর থেকে গাজার দায়িত্বে আছে হামাস।

আরব লিগের নতুন পরিকল্পনায় হামাসকে রাখা হয়নি। কিন্তু উপত্যকাটিতে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের শাসন ফিরিয়ে আনার সম্ভাবনাও কম।

ইসরায়েল স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, পিএর কোনো ভবিষ্যৎ ভূমিকা তারা মেনে নেবে না। আবার ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদেই ওয়াশিংটনে অবস্থিত পিএলওর লিয়াজোঁ কার্যালয় বন্ধ করে দিয়েছিলেন।

আরব লিগের বিবৃতিতে বলা হয়, তাদের 'সব প্রচেষ্টা একটি রাজনৈতিক পথচলার সমান্তরালে এগিয়ে যাচ্ছে', যার লক্ষ্য একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। তবে ইসরায়েলি নেতারা বরাবরই এই লক্ষ্যের বিরোধিতা করে এসেছেন।

এর আগে ইসরায়েলি নেতা বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের পর আয়োজিত সম্মেলনে ডোনাল্ড ট্রাম্প তার 'বিস্ফোরক' পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন।

তিনি মত দেন, গাজা এখন আর বসবাসযোগ্য নেই। তিনি সেখান থেকে সব ফিলিস্তিনিকে জর্ডান ও মিশরের মতো দেশে সরিয়ে গাজার দখল নেবেন এবং পর্যটনবান্ধব 'মধ্যপ্রাচ্যের রিভিয়েরা' হিসেবে গড়ে তুলবেন।

সব আরব দেশ এবং বেশ কিছু ইউরোপীয় রাষ্ট্র ট্রাম্পের এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh transition from autocracy to democracy

Transitioning from autocracy to democracy: The four challenges for Bangladesh

The challenges are not exclusively of the interim government's but of the entire political class.

6h ago