দেশ চালাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, শেহবাজের কোনো কর্তৃত্ব নেই: ইমরান খান
গতকাল শনিবার আল-কাদির ট্রাস্ট মামলার শুনানি শেষে আদিয়ালা কারাগারে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ইমরান। তিনি দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের হাতে কোনো কর্তৃত্ব নেই।
আজ রোববার এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডন।
ইমরান সাংবাদিকদের জানান, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের হাতে কোনো কর্তৃত্ব নেই।
'রাজা (শেহবাজ) পেছনে বসে আছে আর (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) মহসিন নাকভি তার বড়লাট হিসেবে (দেশ শাসনের) কাজ চালাচ্ছেন', যোগ করেন তিনি।
পাকিস্তানে গত বছর ৯ মে সহিংসতার পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফের নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তার শুরু হয়। সে সময় অনেকেই গ্রেপ্তার এড়াতে দল ছেড়ে যেতে বাধ্য হন।
ইমরান জানান, কয়েকজন পিটিআই নেতা এখনো নিজেদের স্বার্থে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছেন।
ইমরান সাংবাদিকদের বলেন, পিটিআইর কয়েকজন নেতা 'এখনও প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছে'। খুব সম্ভবত তাদের উদ্দেশ্য দরকষাকষি করা। তবে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী জানান, 'পাকিস্তানের স্বার্থে' তিনি সবার সঙ্গেই আলোচনা করতে রাজি। তিনি দাবি করেন, পিটিআইকে 'ভেঙে' ফেলার উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে।
পিটিআই দলের প্রতিষ্ঠাতা জানান, যদি তিনি সাবেক সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়ার সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন, তাহলে দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে যে কারও সঙ্গেই বৈঠক করতে পারেন।
২০২২ এর এপ্রিলে পিটিআই সরকারের পতনের নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন বাজওয়া—এমন অভিযোগ করেছেন ইমরান খান।
তিনি আবারও দাবি করেন, পিটিআই দলের ইশতেহার চুরি করা হয়েছে এবং 'দলটিকে দখল করে নেওয়ার উদ্যোগ চলছে'।
তিনি জানান, তার স্ত্রী বুশরা বিবির মাধ্যমে তার ওপর চাপ প্রয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং যারা তার স্ত্রীর দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলছেন, তাদের উদ্দেশ্য পিটিআইকে অসংগঠিত করে তোলা।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান সাংবাদিকদের জানান, পাকিস্তান এখন ১৯৭০ এর মতো সংকটের মুখে রয়েছে।
শনিবার উল্লেখিত মামলায় সরকারি পক্ষের পাঁচ সাক্ষীর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। ঈদের পর আবারও এই মামলার কার্যক্রম শুরু হবে।
Comments