নির্বাচন নিয়ে ইইউর প্রতিবেদন প্রকাশের দাবি পিটিআইয়ের

নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে বিক্ষোভ করছেন পিটিআই নেতা-কর্মীরা। ছবি: রয়টার্স
নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে বিক্ষোভ করছেন পিটিআই নেতা-কর্মীরা। ছবি: রয়টার্স

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) গত ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিবেদনটিকে জনসম্মুখে প্রকাশের দাবি জানিয়েছে।

আজ এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানের গণমাধ্যম জিও নিউজ।

পিটিআইর মুখপাত্র রাউফ হাসান ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, 'নির্বাচন নিয়ে ইইউর প্রতিবেদনটি সবার সামনে প্রকাশ করা উচিত।'

নির্বাচনের আগে ইইউর প্রতিনিধিরা পাকিস্তান সফর করেন। হাসান জানান, এই সংস্থাটি পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের (ইসিপি) কাছে এই প্রতিবেদন জমা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

'ইইউর প্রতিবেদন খুবই সংবেদনশীল ও গুরুত্বপূর্ণ', যোগ করেন তিনি।

এমন সময় পিটিআইর মুখপাত্র এই দাবি জানালেন, যখন দলটি আবারও নির্বাচনে বড় আকারে কারচুপি ও ভোটের ফল নিয়ে কারসাজির অভিযোগ আনছে। তাদের মতে, গত মাসের সাধারণ নির্বাচনের ইশতেহার 'চুরি' করা হয়েছে।

এর আগে দলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান আন্তর্জাতিক মুদ্রা সংস্থার (আইএমএফ) কাছে চিঠি লিখে ইসলামাবাদকে নতুন কোন ঋণের অনুমোদন দেওয়ার আগে নির্বাচনী প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখার আহ্বান জানান। ওয়াশিংটন ভিত্তিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি এই দায়িত্ব এড়িয়েছে। তারা জানিয়েছে, তারা শুধু আর্থিক বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করে। অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে তাদের কোনো মন্তব্য নেই।

উল্লেখ্য, ৮ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের পর ইইউ'র পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তানীতি বিষয়ক প্রধান মুখপাত্র পিটার স্ট্যানো জানান, নির্বাচনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব অংশ নিতে পারেননি। তিনি ভোটের সময় গণজমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা, অনলাইন ও অফলাইনে স্বাধীন চিন্তা ও মত প্রকাশে বাধা, ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর বিধিনিষেধ, রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারসহ সার্বিকভাবে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপের অভিযোগ আনেন এবং নিন্দা জানান।

ইইউর এই কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্বাচনকালীন সব ধরনের অনিয়মের সুষ্ঠু ও দ্রুত তদন্ত পরিচালনার আহ্বান জানান। এ ছাড়া তিনি ইলেকশন এক্সপার্ট মিশন প্রতিবেদনে উল্লেখিত সুপারিশগুলোও বাস্তবায়নের কথা উল্লেখ করেন।

ইইউর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যও নির্বাচনী পরিবেশের 'সীমাবদ্ধতা', নির্বাচনে অনিয়ম ও হস্তক্ষেপের অভিযোগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে।

Comments

The Daily Star  | English

No active militant presence in Bangladesh: home adviser

The reports of suspected extremists' deportation from Malaysia shows no links to local terrorist networks, he says

14m ago