হিসেবে ভুল করে ফেলেছিল ইংলিশরা
দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে এদিন টস জিতেছিল ইংল্যান্ডই। কিন্তু ব্যাটিং স্বর্গে ফিল্ডিং বেছে নেন ইংলিশ অধিনায়ক জশ বাটলার। দ্বিতীয় ইনিংসে শিশির ম্যাচে বড় প্রভাব ফেলবে ভেবেই আফগানদের ব্যাটিংয়ে পাঠায় তারা। কিন্তু তেমনটা হয়নি। তাতে ইংলিশ ব্যাটারদের উপর ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন আফগান স্পিনাররা। শেষ পর্যন্ত আসরের প্রথম অঘটনটা দেখেই ফেলে ক্রিকেট বিশ্ব।
মূলত শিশিরের এই হিসেবে ঠিকঠাক ছিল না বলেই সব উল্টে যায় সব। তার সঙ্গে শুরুতে ইংলিশ বোলাররাও ছিলেন সাদামাটা। ফিল্ডিংও ভালো হয়নি। সে সুযোগে চড়াও হয়ে ওঠে আফগান ব্যাটাররা। বিশেষকরে রহমানুল্লাহ গুরবাজ। শুরুটা করেন তিনি। এরপর শেষ দিকে ইকরাম আলী খিলের ফিফটিতে ২৮৪ রানের লড়াকু পুঁজি মিলে আফগানদের।
এরপর বেয়ারস্টোকে শুরুতেই ফিরিয়ে দিয়ে বল হাতে আশার প্রদীপটা জ্বালান ফজলহক ফারুখি। এরপর জ্বলে ওঠেন আফগানদের স্পিন ত্রয়ী। এক হ্যারি ব্রুক ছাড়া আর কেউই তেমন প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেননি। শেষদিকে আদিল রশিদ, মার্ক উডরা কেবল হারের ব্যবধানই কমায়। তাতে ৫৭ বল বাকি থাকতেই জয় ছিনিয়ে নেয় দলটি।
ম্যাচ শেষে ইংলিশ অধিনায়ক জশ বাটলার বলেন, 'টস জিতে এত পরিমাণ রান খরচ করা হতাশাজনক। আমি নিজে লেগসাইডে ম্যাচের প্রথম বলটা ফস্কাই। ওটাই ম্যাচের সুর বেঁধে দিয়েছে। আফগানিস্তানকে কৃতিত্ব দিতেই হবে। আমাদের থেকে অনেক এগিয়ে ছিলো ওরা, ব্যাটিংয়ে এবং বোলিংয়েও। দিন শেষে কাজটা কে কতটা ভালোভাবে করতে পেরেছে, সেটাই আসল ব্যাপার।'
শিশিরের প্রসঙ্গ টেনে আরও বলেন, 'যে স্তরের ক্রিকেট আমরা খেলতে চাই, ব্যাটিং কিংবা বোলিং -কোনো বিভাগেই তা আজ করতে পারিনি। ওদের দারুণ কয়েকজন বোলার রয়েছে। শিশির যতটা ভূমিকা রাখবে ভেবেছিলাম, ততটা হয়নি। ওরা সোজা উইকেট তাক করে বোলিং করে গেছে। আমরা আজ যথেষ্ট ভালো খেলতে পারিনি।'
তবে খুব শীগগিরই ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় দেখান ইংলিশ অধিনায়ক, 'এই হারগুলো অনেক যন্ত্রণা দেয়। দ্রুতই এর ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার কোনো মানে হয় না। আমাদের আত্ম-সমীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। দলের চারিত্রিক দৃঢ়তা রয়েছে। আমাদের সহনশীলতা দেখাতে হবে এবং ঘুরে দাঁড়াতে হবে। চাপের মুখে ছেলেদের সেরাটা দিতে হবে। এর জন্যই আমরা কঠিন পরিশ্রম করছি।'
Comments