ইংল্যান্ডের হারে ‘দুঃখ’ পাওয়ার কথা হাসিমুখে বললেন কামিন্স
প্রশ্নের সময়ই হাসির রোল উঠল সংবাদ সম্মেলনে। প্যাট কামিন্সও জোর করে হাসি আটকানোর চেষ্টা করলেন উত্তর দেওয়ার সময়। তবে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক যে সফল হলেন তা বলার উপায় নেই। হাসিমাখা মুখে জানালেন, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের হারে দুঃখ পেয়েছেন তিনি।
বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংলিশদের শিরোপা ধরে রাখার আশা কার্যত শেষ। ভারতের মাটিতে এবারের বিশ্বকাপে ভীষণ দুরবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে তারা। তারকায় ঠাসা দল নিয়ে পাঁচ ম্যাচ খেলে মাত্র একটিতে জিতে জস বাটলারের দল রয়েছে পয়েন্ট তালিকার নয়ে। সেমিফাইনালের আশা উজ্জ্বল রাখতে আগের দিন বৃহস্পতিবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের বিকল্প ছিল না তাদের। তবে বেঙ্গালুরুতে মাত্র ১৫৬ রানের গুটিয়ে গিয়ে লঙ্কানদের কাছে ৮ উইকেটে বিধ্বস্ত হয় তারা।
ক্রিকেটে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের কথা উঠলে আসে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের নাম। তাদের দ্বৈরথের ইতিহাস সুপ্রাচীন। তবে নিজেদের মধ্যকার লড়াইয়ের আলাপের বদলে শুক্রবারের সংবাদ সম্মেলনে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইংলিশদের দুর্দশা নিয়ে মুখ খুলতে হয় কামিন্সকে।
আগামীকাল শনিবার ধর্মশালায় নিউজিল্যান্ডকে মোকাবিলা করতে যাওয়া অজিদের অধিনায়কের কাছে এক সাংবাদিকের প্রশ্ন ছিল এমন, 'প্যাট, আপনি অন্যান্য দলে আপনার ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের কথা উল্লেখ করেছেন। আগের রাতে ইংল্যান্ডের হার দেখে আপনার হৃদয় ভেঙে গেছে বলেই মনে করি। তো এক ম্যাচ পরই তাদের মুখোমুখি হবেন জেনে আপনার প্রতিক্রিয়া কি ছিল?'
প্রশ্ন শোনার সময়ই হাসি হাসি মুখ হয়ে গিয়েছিল ডানহাতি পেসার কামিন্সের। তিনি জবাব দেন, 'হ্যাঁ, এক ম্যাচ পরই আমরা তাদের বিপক্ষে খেলব। তাই আমরা তাদের দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখব।'
এই পর্যায়ে কয়েক মুহূর্ত সময় নেন কামিন্স। এরপর ঝকঝকে সাদা দাঁত দেখিয়ে হাসিমুখে যা যোগ করেন সেটা আসলেও তার মনের কথা ছিল কিনা তা নিশ্চিত নয়, 'তবে হ্যাঁ, এটা দেখাটা দুঃখজনক ছিল। আর বেশি কিছু আসলে বলার নেই।'
প্রতিবেশী নিউজিল্যান্ডের পর আগামী ৪ নভেম্বর ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া। ওই ম্যাচের ভেন্যু আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম। পাঁচ ম্যাচে তিন জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট চতুর্থ স্থানে থেকে সেমির দৌড়ে ভালোভাবে টিকে আছে কামিন্সের দল।
Comments