একটি ডিম ১২ টাকা, তেলের লিটার ১৬৯, নিত্যপণ্যের দাম নির্ধারণ করল সরকার
নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে ডিম, আলু, পেঁয়াজ ও সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
আলুর কেজি সর্বোচ্চ ৩৬ টাকা, ডিম প্রতি পিস ১২ টাকা, পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৬৫ টাকা এবং প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ও খোলা সয়াবিন তেলের দাম ৫ টাকা কমিয়ে যথাক্রমে ১৬৯ টাকা ও ১৫৯ টাকা করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
আজ বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত নিত্যপ্রয়োজনীয় কৃষি পণ্যের উৎপাদন, চাহিদা ও মূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা আবহাওয়াজনিত কারণে বাজারে দ্রব্যমূল্যের ওপর নেতিবাচক কোনো প্রভাব পড়বে কি না, জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, 'দৈব-দুর্বিপাক তো আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না। যেমন: বাংলাদেশের রংপুর-মুন্সিগঞ্জ থেকে আলু আসে। ধরেন কোনোভাবে সেখান থেকে আর আসতে পারছে না। সেটা তো উপরওয়ালার ইচ্ছা। আশা করছি, কোনো নেতিবাচক প্রভাব প্রড়বে না।'
বেশি দামে বিক্রি করলে কী ধরনের শাস্তি হবে, জানতে চাইলে তিনি জানান, সেক্ষেত্রে যে আইন আছে, সে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সর্বোচ্চ কী ধরনের শাস্তি হতে পারে জানতে চাইলে টিপু মুনশি বলেন, 'আমাদের যে ভোক্তা অধিকার, তারা জরিমানা করতে পারে। মামলাও করতে পারে। তবে যদি আমাদের মোবাইল কোর্ট হয়, ম্যাজিস্ট্রেট থাকে তারা কিন্তু স্পটে জেলও দিতে পারে। এক্ষেত্রে আমরা অলআউট অ্যাকশনে নামব।'
তিনি আরও বলেন, 'যদি দেখা যায় কেউ মজুদ করে রেখেছে, স্টোরেজের মতো ব্যাপার, যেটা নীতির বাইরে, নিয়মের বাইরে, সেটা ডিসিরা কিন্তু আইনে আওতায় ধরতে পারে।'
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, 'এক্ষেত্রে আইনে যা যা আছে, আমরা তার সর্বোচ্চ প্রয়োগ করব। এই দাম ফিক্সড রাখার জন্য।'
আলুর মূল্য নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, 'নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে গিয়ে ঠাকুরগাঁও অঞ্চলের আলু উঠবে। ডিসেম্বরের শেষে গিয়ে অন্য অঞ্চলের আলু উঠবে। আমাদের যে পরিমাণ আলু দরকার, সেটা আমাদের হাতে আছে। আমরা কোনো অবস্থাতেই মনে করি না আলুর সংকট আছে, কেউ ক্রাইসিস তৈরি করতে পারবে। যদি পথে পথে কোনো বাধা না থাকে, যদি স্টোরেজের কোনো ঝামেলা না থাকে, তাহলে আমরা সেটা মেইনটেইন করতে পারবে।'
Comments